Logo
শিরোনাম

পিরোজপুরে ২ যুবলীগ নেতার হাত-পা ভেঙে দিল দুর্বৃত্ত

প্রকাশিত:বুধবার ২০ জানুয়ারী ২০21 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | ১৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

পিরোজপুরের নাজিরপুরে মো. রনি হাওলাদার (২৮) ও মিজানুর রহমান মিঠু (৩২) নামের দুই যুবলীগ নেতার হাত-পা ভেঙ্গে দেয়া সহ মো. ফারুক হওলাদর (৩৫) নামের তিন যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। 

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারী) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের ভীমকাঠী এলাকায়। গুরুতর আহত রনি হাওলাদার ও মিজানুর রহমান মিঠুকে ওই রাতের সাড়ে ১২টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতারে প্রেরণ করা হয়েছে।

আহত রনি হাওলাদার উপজেলার শ্রীরামাকাঠী  ইউনিয়নের বন্দরস্থ  মৃত জব্বার হাওলাদারের ছেলে ও ওই  ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি,  মিজানুর রহমান মিঠু একই এলাকার মৃত চুন্নু মিয়ার ছেলে ও ওই ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এবং বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির  সাধারণ সম্পাদক এবং মো. ফারুক হওলাদার উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের চলিশা গ্রামের মৃত বেলায়েত হোসেন হাওলাদরের ছেলে ও উপজেলা যুবলীগ সহ সভাপতি।

হামলায় আহত ফারুক হাওলাদার জানান, ওই  রাতে তারা ৩ জনে একটি মোটর সাইকেলে করে দলীয় কাজ সেরে নাজিরপুর থেকে শ্রীরামকাঠী বন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময়  শ্রীরামাকাঠী বন্দরের কাছাকাছি ভীমকাঠীর বালা বাড়ির কাছে পৌঁছলে মোটর সাইকেলের আলোতে দেখতে পান প্রধান সড়কের উপর গাছের গুড়ি ফেলা। সেখানে পৌঁছতেই রাস্তার দুপাশে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে থাকা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের  যুগ্ম-আহবায়ক মো. আরিফুর রহমান সবুজ, স্থানীয় মহিউদ্দিন, এনামুল বেপারী, সাইফুল বেপারী, জনি হাওলাদার, বিপ্লব শেখ, লিয়ন, তুফান, অন্তু শেখের নেতৃত্বে প্রায় ২৫/৩০ সন্ত্রাসী দা, লোহার রড সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।

থানা পুলিশের একটি সূত্র জানান, হামলাকারী ও আহতরা একই দলীয়। তবে স্থানীয় রাজনীতির কোন্দলের জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইশিতা সাধক নিপু জানান, হামলায় মিজানুর রহমান মিঠুর বাম হাত-পা ও ডান পা ভেঙ্গে গেছে। এ ছাড়া তার মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর হাড় ভাঙ্গা জখম রয়েছে। রনির দু হাত-পা ভেঙ্গে গেছে। তার মাথায়ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর হাড়ভাঙ্গা জখম রয়েছে। তার নাক-মুখেও আঘাত রয়েছে। গুরুতর আহত দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

থানার অফিসার ইন চার্জ মো. আশ্রাফুজ্জামান জানান, ঘটনাটি শুনে ওই রাতে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থান্দার খাইরুল ইসলাম সেখানে পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় এখনো মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।



আরও খবর