Logo
শিরোনাম

পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ভাঙচুরে দায়িত্ব হারালেন সেই কর্মকর্তা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০22 | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১৩৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পরীক্ষার্থী ও কক্ষ পরিদর্শকের মোবাইল ফোন ভাঙচুরের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় কেন্দ্রের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ওই শিক্ষা কর্মকর্তাকে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ জেলা-উপজেলায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করে ঘটনাটি দ্রুত সমাধান করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব ও প্রধান শিক্ষক মফিজুল হক জানান, পরীক্ষা চলাকালিন তার কেন্দ্রে দুই কক্ষ পরিদর্শকসহ পরীক্ষার্থীদের ৪টি এনড্রয়েড ও ১৪টি বাটন মোবাইল ফোন জব্দ করে তা ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আরিফুল্লাহকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ ঐ কেন্দ্রে ট্যাগ অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাসিমুল বারী।

এদিকে বিষয়টি জানতে আজ সকালে কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলাউদ্দীন আল আজাদ। তিনি ভেঙ্গে ফেলা মোবাইল ফোনগুলি দেখেন ও ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত শুনেন। এ সময় ঘটনাটি দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেন তিনি।

সচিব আরও জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ফেলার  প্রতিবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রের বিভিন্ন কক্ষে দায়িত্ব থাকা শিক্ষকরা। তারা মঙ্গলবার সকালে পরীক্ষা শুরুর আগে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে অনিহা প্রকাশ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আশ্বাসে দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষকরা।

শিক্ষা কর্মকর্তার মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ফেলার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সাধারণ মানুষের মাঝে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কেউ বলছেন, শিক্ষা কর্মকর্তা ঠিক কাজ করেছেন। আবার কেউবা বলছেন ঠিক করেননি। তবে শাস্তির দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফুল্লাহ বলেন, রাগের মাথায় আমি ফোনগুলো ভেঙ্গে ফেলেছি। বিষয়টি নিয়ে বসার কথা হয়েছে।

জেলা শিক্ষা অফিসার আলাউদ্দীন আল আজাদ বলেন, ঘটনা শুনে তিনি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ফেলার কাজটি ঠিক হয়নি। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ভুল করেছেন। তবে এ বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পাননি। পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।


আরও খবর