Logo
শিরোনাম

পরীক্ষায় ফেল করেও রাবিতে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন ৬০ শিক্ষার্থী

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১১৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ওয়ার্ড কোটায় ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন ৬০ শিক্ষার্থী। এরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তান হিসেবে পোষ্য কোটায় এ সুযোগ পাচ্ছেন। এর আগে অবশ্য এ কোটায় ভর্তির জন্য পূর্বনির্ধারিত ন্যূনতম পাস নম্বর ৪০ থেকে কমিয়ে ৩০ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রোববার (৬ নভেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে ভর্তি পরীক্ষা উপকমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বলেন, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম ৩০ নম্বর পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানরা ওয়ার্ড কোটায় ভর্তি হতে পারবেন। মোট আসনের ৫ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত বলেও জানান তিনি।

এর আগে ২৪ অক্টোবর উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে ভর্তি উপকমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পোষ্য কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাস নম্বর ৪০ থেকে কমিয়ে ৩০ করার প্রস্তাব দেয়া হয়। সি ইউনিটে আবশ্যিকে ২৫ ও ঐচ্ছিকে ১০ নম্বর পাওয়ার শর্ত পূরণ করতে পারেননি পোষ্য কোটায় এমন শিক্ষার্থীদেরও ভর্তির সুযোগ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু বেশির ভাগ সদস্য সম্মত না হওয়ায় প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর (২০২১-২২ সেশন) রাবিতে কোটাসহ চার হাজার ৬৪১টি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন দেড় লাখের বেশি শিক্ষার্থী। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর ৪০। প্রতি বছর পোষ্য কোটায় মূল আসনের ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস নম্বর পেলেই ভর্তির সুযোগ পেতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের বিশেষ বিবেচনায় এ সুযোগ দেয়া হতো। কিন্তু এবার সিদ্ধান্ত পাল্টানো হলো।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কোটার আওতায় থাকা শিক্ষার্থীরা এমনিতেই নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। এরপর পাস নম্বর কমানোর কোনো বৈধতা থাকতে পারে না।


আরও খবর