Logo
শিরোনাম

পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে যুবকের ৭ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ২০ নভেম্বর ২০22 | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

নগরের চকবাজার থানায় এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় শচীন বড়ুয়া (৩০) নামে এক যুবককে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (২০ নভেম্বর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট  মুহাম্মদ আবদুল হালিমের আদালত এই রায় দেন।

রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। 

দণ্ডিত শচীন বড়ুয়া, রাউজান থানার ৯ নম্বর পাহাড়তলী ইউনিয়নের মহামুনি বিমল বড়ুয়ার বাড়ির রতন কান্তি বড়ুয়ার ছেলে। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৪ মার্চে ভুক্তভোগী ছাত্রীর হোয়াটঅ্যাপে ব্যক্তিগত কিছু অশ্লীল ছবি আসে। ছবিগুলো পাঠিয়ে ২০ হাজার টাকা দাবি করে এবং টাকা না পেলে ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখান। পরে টাকার জন্য বিভিন্ন সময় কল করতেন শচীন। এ ঘটনায় পরের দিন ৫ মার্চ চকবাজার থানায় মামলা করেন। মামলার জি.আর নম্বর ২৯/২০। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মো. হাফিজুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। চলতি বছরের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে আসামি শচীন বড়ুয়ার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ সালের ৮ এর ২ ও ৩ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। আদালত এ মামলায় ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে।  পরে রোববার (২০ নভেম্বর) আদালত মামলার রায় ঘোষণা করে।

চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির আবুল কালাম আজাদ বলেন, শচীন বড়ুয়া নামে এক যুবককে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ সালের ৮ এর ২ ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আসামির বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ সালের ৮ এর ৩ ধারার দোষী সাব্যস্ত করে আরও ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪৫ ধারা মতে অর্থদণ্ড ক্ষতিপূরণ হিসেবে ছাত্রীকে দেওয়া হবে। প্রদত্ত কারাদণ্ড একটি পর আরেকটি কার্যকর হবে।


আরও খবর