Logo
শিরোনাম

রাত এলে উৎকণ্ঠা বাড়ে হাওরে

প্রকাশিত:বুধবার ২০ এপ্রিল ২০22 | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১১৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সুনামগঞ্জের হাওরে হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ ঠেকানোর যুদ্ধ চলছে। বাঁধে ফাটল ও ধস ঠেকাতে লড়াই করছেন কৃষকসহ জেলা-উপজেলা প্রশাসনের সংশ্নিষ্টরা। কৃষকরা বলছেন, হাওর নিয়ে দিনের চেয়ে রাতে বেশি উৎকণ্ঠায় থাকেন তারা। কারণ তিন দিন ধরে দিনে আবহাওয়া ভালো থাকলেও রাত ৯টার পর ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। গত রোববার রাত ৯টায় দিরাইয়ের হুরামন্দিরা হাওরের বাঁধ ভাঙার পর এ উৎকণ্ঠা আরও বেড়েছে। তবে জনবল কম থাকায় বাঁধ ঠেকানো যায়নি বলে দাবি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

জামালগঞ্জের হালি হাওরের হেরাকান্দি বাঁধ, মহালিয়া হাওরের হিজলা গ্রাম সংলগ্ন বাঁধ ও পাগনা হাওরের বৌগলাখালি ক্লোজার ঝুঁকিতে থাকায় কৃষকসহ সবাই জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। মহালিয়া হাওরের ৭ ও ৮ নম্বর পিআইসি এবং হালি হাওরের আছানপুর গ্রামের উত্তরদিকের হেরাকান্দি বাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। এই হাওরের হিজলা গ্রামের পূর্বদিকের বাঁধের সুড়ঙ্গপথ ছুঁয়ে পানি ঢোকার গতি বাড়তে থাকলে প্রশাসন ও কৃষকের ২৪ ঘণ্টার চেষ্টায় সেটি রক্ষা করা গেছে। গতকাল সকাল থেকে সেখানে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ হেরাকান্দি বাঁধ রক্ষায় এক্সক্যাভেটর দিয়ে মাটি ফেলা হচ্ছে। তবে বাঁধের গোড়ায় বলগেট দিয়ে বালু না ফেললে এ বাঁধ রক্ষা করা যাবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

পাগনা হাওরের গজারিয়া অংশের স্লুইস গেটের কপাট পানির চাপে ভেঙে গিয়ে হাওরে রবিবার রাতে পানি ঢোকা শুরু হয়েছিল। পরে উপজেলা প্রশাসনসহ স্থানীয়দের চেষ্টায় প্রায় ৪ হাজার মাটির বস্তা ফেলে জলকপাট নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এদিকে, দিরাইয়ের বোয়ালিয়া, তুফানখালি বাঁধে বুরুঙ্গা ঠেকানোর কাজ চলছে। শাল্লার ছায়ার হাওর উপ-প্রকল্পের ৮২ নম্বর বাঁধ এবং বরাম হাওরের ২১-২২ নম্বর বাঁধেও ভাঙন ঠেকানোর কাজ চলছে।

হালি হাওরপাড়ের আছানপুর গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম জানিয়েছেন, হালি হাওর রক্ষা করতে হলে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হাওরের ভেতরের অংশের হেরাকান্দি বাঁধঘেঁষা প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে যে গর্ত আছে, সেগুলো ভরাট করা। বর্তমানে যে জায়গায় মাটি ফেলা হচ্ছে, সেখানে জরুরি ভিত্তিতে বলগেট দিয়ে বালু ফেলা প্রয়োজন।

জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব বলেন, মহালিয়ার বিপজ্জনক অবস্থা ঠেকানোর চেষ্টা হচ্ছে। বাঁধে ছোট ছোট কিছু গর্ত বন্ধ করার চেষ্টা চলছে। হেরাকান্দি বাঁধেও কাজ চলছে। বলা যায়,মহালিয়া হাওর এখন অনেকটা শঙ্কামুক্ত।

দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুন বলেন, রাতে বাঁধে ফাটল বা ধস দেখা দিলে সমস্যা বেশি হয়। হুরামন্দিরা হাওরের বাঁধে রাত ৯টায় ফাটল দেখা দিয়েছিল। ওই সময় ওখানে লোকজন কম ছিল। বেশি মানুষ থাকলে হয়তো বাঁধটি রক্ষা করা যেত। গতকাল সকাল থেকে বোয়ালিয়া বাঁধে সংস্কার কাজ হয়েছে বলে জানান তিনি।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ জানিয়েছেন, বুধবার (২০ এপ্রিল) থেকে আবহাওয়া ভালোর দিকে যাবে। উজানে ও সুনামগঞ্জে বৃষ্টি কমে যাবে।

নিউজ ট্যাগ: সুনামগঞ্জ

আরও খবর