Logo
শিরোনাম

রায়পুরা নির্বাচন অফিসে টাকায় মিলছে আইডি কার্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৬২৫জন দেখেছেন
Image

নরসিংদী প্রতিনিধি:

চরম হয়রানি ও অনিয়মের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা নির্বাচন অফিস। জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কাজে গেলেই হতে হয় ভোগান্তির শিকার। অফিসের কর্মচারীদের রূঢ় ব্যবহারে দূর-দূরান্তের ভোটাররা অতিষ্ঠ বলেও অভিযোগ রয়েছে।

ইউপি নির্বাচনের দোহাই দিয়ে কর্মকর্তারা জরুরি কাজগুলো আটকে দেন বছেরর পর বছর। এমনও আছে যে, ২০১৭ সালে নাম সংশোধনী করতে এখনো নির্বাচন অফিসের কর্তাব্যক্তিদের পেছনে ঘুরছেন অনেকে।

আজ পহেলা ফেব্রুয়ারী সকাল ১০ টায় রায়পুরা উপজেলা নির্বাচন অফিসে সংবাদকর্মী গেলে তাকে দেখে সৌদি প্রবাসী আসাদ মিয়া দৌড়ে এসে অভিযোগ করে বলেন, আমি সৌদি থাকার কারণে সঠিক সময়ে ভোটার হতে পারিনি। তাই গত বেশ কিছু দিন যাবৎ আমি রায়পুরা নির্বাচন অফিসে আবেদন কপিসহ ঘুরাঘুরি করছি। কিন্তু কোন সমাধান পাচ্ছি না। উল্টো অফিস কর্মকর্তারা খারাপ আচরণ করছে এবং আবেদন দেরী হবে বলে সাফ জানিয়ে দেয়। কিন্তু টাকা দিলে সব সমাধান হয়ে যায়। পরবর্তীতে আমি কোন উপায় না পেয়ে দালাল ধরে ৮ হাজার টাকা দেওয়ার পরে খুব সহজেই আমার ফাইলটি জমা নিয়েছে এবং খুব দ্রুত ফিঙ্গার করিয়ে দিবে বলে কর্তৃপক্ষ জানান। 

রায়পুরা উপজেলার পলাশতলী গ্রামের হোসেন সরকার জানান, তিনি দুই মাস আগে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু তার ছবি তোলা হচ্ছিল না। ২ দিন আগে এক অফিস সহায়কের নিকট এ বিষয়ে কথা বলছে তিনি বলেন ৫ হাজার টাকা দিলে ছবি তোলার এসএমএস যাবে।

এ বিষয়ে রায়পুরা উপজেলা নির্বাচন অফিসের গেইটে ঢুকলে মূল গেইটের পাশেই অনেক দালাল লক্ষ্য করা যায়। সংবাদকর্মীদের ক্যামেরা দেখে তৎপর হয়ে পরে অনেক দালাল। অপরদিকে আরেক দালালকে দেখা যাচ্ছে প্রায় ৫টি ফাইল নিয়ে দর কষাকষি করছে। এ বিষয়ে তার পরিচয় জানতে চাইলে, তিনি বলেন অফিসকে ম্যানেজ করেই আমরা এখানে কাজ করছি। আপনার সাথে এ বিষয়ে ক্যামেরা সামনে কথা বলতে আমরা রাজি নয়। যদি কিছু বলার থাকে অফিস কর্তৃপক্ষকে বলেন। আমরা অফিসের লোকদেরকে ম্যানেজ করেই এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি।

এদিকে রায়পুরা উপজেলা নির্বাচন অফিসার সুমন মিয়া বলেন, এ সমস্ত বিষয়ে আসলে আমি কিছুই জানি না। তবে নির্বাচনের কারণে জাতীয় পরিচয়পত্রের কাজ সাময়িক বন্ধ ছিল। আজকে থেকে কাজ আবার চালু হয়েছে। এখন আমার অফিসের কোন কর্মকর্তা যদি ঘুষ কিংবা অনিয়মের সাথে জড়িত থাকে কিংবা কেউ যদি তাদের বিরুদ্ধে লিখিত ও মৌখিক অভিযাগ করে তাহলে আমি অবশ্যই উক্ত কমকর্তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিব।


আরও খবর