Logo
শিরোনাম

শীতের আমেজে বাড়ছে পুরাতন কাপড়ের চাহিদা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ২৫৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

পুরো দেশের ন্যায় কক্সবাজারেও শুরু হয়েছে কনকনে ঠাণ্ডা। সকাল সন্ধ্যা সমান তালেই হিমেল হাওয়ার সঙ্গে শীত বয়ে যাচ্ছে। এতেই নতুন কাপড়ের প্রতি মধ্যবিত্ত আর উচ্চবিত্তদের চাহিদা থাকলেও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য তা নাগালের বাইরে। তাই তাদের একমাত্র ভরসা পুরনো কাপড়। তবে শীতের নতুন কাপড়ের চেয়ে বিদেশি পুরনো কাপড়ের চাহিদা বেশি বলে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। বিদেশি পুরনো শীতের কাপড়ের দাম তুলনামুলক কম। তাছাড়া এই কাপড়গুলো দেখতে সুন্দর, মানসম্পন্ন ও টেকসই হওয়ায় ক্রেতাদের এসব কাপড়ে আগ্রহ বেশি। কিন্তু পুরাতন শীতবস্ত্রের দাম গতবারের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। পুরানো কাপড়ের মধ্যে কোট, জ্যাকেট, সোয়েটার, ট্রাউজার, ওভারকোট, হাফ ও ফুল হাতা গেঞ্জি, কম্বল, মেয়েদের কার্টিগান, হাতমোজা ও পা মোজা বেশি দেখা যায়। ফুটপাতের বাজারগুলোতে প্রতিদিনই শত শত মানুষ শীতের গরম কাপড় কিনতে ভীড় জমাচ্ছে।

পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি বছর তারা শীতের সময় মহাজনদের কাছ থেকে গরম কাপড়ের গাইড নিয়ে তা খোলা বাজারে খুচরা বিক্রি করেন। গত বছরের তুলনায় একটি কাপড়ের গাইট বা বেলের দাম ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা বেড়েছে। 

পুরাতন কাপড়ের ব্যবসায়ী আবুল কাশেম বলেন, শীত উপলক্ষে চীন, তাইওয়ান, জাপান, কোরিয়া ও রাশিয়া থেকে পুরাতন শীতবস্ত্র আসছে। পরিবহন খরচ, অন্যান্য খরচের কারণে, কাপড়ের বেলের দাম বেড়ে গেছে। আমরা পাইকারী বিক্রির জন্য চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে কাপড়ের বেল ট্রাকে করে আনি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করি। সবকিছুর দাম বাড়ছে ফলে কাপড়ের দামও বাড়ছে।

কক্সবাজার এন্ডারসন রোডের পুরানো কাপড়ের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত বছর বাচ্চাদের যে কাপড় ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল তা এবার ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ।

কক্সবাজার শহর ছাড়াও কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলার হাট বাজারে পুরনো কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের আগ্রহ যেন একটু বেশি। এর মূল কারণই হলো এখানকার কাপড়ের দাম কম। এ কারণেই নিম্ন ও মধ্য আয়ের ক্রেতাদের চাহিদা বেশি। দোকান ছাড়াও ফুটপাতে, বিভিন্ন দোকানের সামনে,এছাড়া ভ্যানগাড়ী করেও অলি গলিতে ব্যবসায়ীরা এসব কাপড় বিক্রি করেন।

কাপড় কিনতে আসা খোরশেদ আলম জানান,  পুরাতন কাপড়ের মধ্যে অনেক ভালো মানের কাপড় পাওয়া যায়। তবে বেছে কিনতে হয়। গত বছরের চেয়ে এবছর প্রতিটি কাপড়ের দাম দ্বিগুন।

কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়া এলাকার নিম্ন আয়ের ক্রেতা আলতাজ উদ্দিন জানান, আমরা দিন আনে দিন খায় এমন মানুষের সংখ্যায় বেশি। আমাদের মতো গরিব মানুষ শীতে নতুন গরম কাপড় কিনতে পারে না। তাই ছেলে-মেয়েদের নিয়ে অনেক কষ্টে দিন যাপন করতে হয়। তাই ফুটপাতের দোকানে বাচ্চাদের জন্য কিছু গরম কাপড় কিনছি।

উখিয়া উপজেলার কোট বাজারের পুরনো কাপড় বিক্রেতা আবুল বশর জানান, ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে এ বছর কয়েক লট মাল আনা হয়েছে। ভালো বিক্রিও হয়েছে। ক্রেতারা প্রচুর। কোনো কোনো লটে অনেক ভালো কাপড় থাকে। সেই ভালো কাপড় খুঁজে নিতে ক্রেতাদের থাকে বাড়তি আগ্রহ।


নিউজ ট্যাগ: কক্সবাজার

আরও খবর