পর্নো ছবি ও ভিডিও স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় যুবকদের কাছে বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার ছয় তরুণকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে গতকাল বুধবার রাত ১০টায় তাঁদের নাটোরের সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম ও জামতলি বাজার থেকে র্যাব গ্রেপ্তার করে। র্যাবের দাবি, তাঁদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ পর্নোগ্রাফি ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে।
নাটোর র্যাব ক্যাম্প ও সিংড়া থানা সূত্রে
জানা যায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা গতকাল রাত ১০টার দিকে সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম
ও জামতলি বাজারের কয়েকটি মুঠোফোন মেরামতের দোকানে অভিযান চালায়। এ সময় দোকানের কম্পিউটার
ও অন্যান্য ডিভাইসে অশ্লীল ছবির আলামত পাওয়া যায়। এসব ছবি ও ভিডিও এলাকার স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থী
ও যুবকদের মধ্যে অর্থের বিনিময়ে সরবরাহ করা হতো বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
অভিযোগের ভিত্তিতে দুই বাজার থেকে কম্পিউটারের
৬টি সিপিইউ, ১৪টি হার্ডডিস্ক, ৬টি মনিটর, ৬টি কি–বোর্ড, ৬টি মাউস,
২১টি কার্ডরিডার ও ১৬টি কেবল জব্দ করা হয়। একই সময় বাজারের মুঠোফোন ও কম্পিউটারের মেকার
মো. রুবেল (২৪), সাইফুল ইসলাম (৩০) মো. জুয়েল (২৪), শাহ সুফি (২৪), সাব্বির হোসেন
(২৪) ও রঞ্জন কুমারকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা সবাই সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নের
বাসিন্দা। রাতেই তাঁদের সিংড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। আজ সকালে তাঁদের সিংড়া আমলি
আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী জানান, ওই তরুণদের বিরুদ্ধে র্যাব বাদী হয়ে ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে। এ মামলায় ওই তরুণদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আনীত পর্নোগ্রাফি বিক্রির অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।