Logo
শিরোনাম

সিলেটে পরিবহণ ধর্মঘট অব্যাহত

প্রকাশিত:বুধবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ১৮১০জন দেখেছেন
এস এম মনির

Image

সিলেটে পরিবেশ ধ্বংসের কারণে বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গ্রিল সংযোজনে পুলিশের নির্দেশনা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে পরিবহণ সংগঠনগুলোর ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে।

এর মধ্যে বন্ধ থাকা পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার থেকে টানা তিন দিনের ধর্মঘটে নামে ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান মালিক ঐক্য পরিষদ, বাস মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ও পাথর ব্যবসায়ী মালিক ঐক্য পরিষদ। আজ বুধবার ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন চলছে।

এ ছাড়া সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গ্রিল সংযোজনের সিদ্ধান্ত বাতিলসহ কয়েকটি দাবিতে গত সোমবার থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে নেমেছিল সিএনজি-অটোরিকশা মালিক ঐক্য পরিষদ। আজ থেকে আবারো ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে নেমেছে সংগঠনটি।

এদিকে, ধর্মঘটের কারণে আজ‌ বুধবার সকালে কদমতলী ও কুমারগাঁও বাস টার্মিনাল থেকে কোনো পরিবহণ ছেড়ে যায়নি। এতে করে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে মানুষকে। বিশেষ করে কর্মজীবী কিংবা জরুরি প্রয়োজনে বের হ‌ওয়া মানুষেরা হেঁটে অথবা বাড়তি খরচ করে মোটরসাইকেলে করে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

এ ছাড়া, বন্ধ রয়েছে পণ্য পরিবহণও। এর ফলে সিলেট প্রায় অচল এবং সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তবে, রেল ও আকাশপথ স্বাভাবিক রয়েছে। তবে মানুষের ভীড় বাড়ায় টিকেট পাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

সিলেট বিভাগের অন্য তিন জেলায়ও ধর্মঘট চলবে জানিয়ে গোলাম হাদী ছয়ফুল বলেন, আমরা সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার নেতাদের সঙ্গে আলাপ করেই এ কর্মসূচি দিয়েছি।

পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকাতে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর সিলেটের জাফলং, ভোলাগঞ্জ, শাহ আরেফিন টিলা, বিছনাকান্দি ও লোভাছড়াএই পাঁচ কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে আন্দোলন করে আসছেন পাথর ব্যবসায়ীরা। এবার তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন পরিবহণ ব্যবসায়ীরাও।

নিউজ ট্যাগ: পরিবহণ ধর্মঘট

আরও খবর