Logo
শিরোনাম

সিলেটকে হারিয়ে ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ৬৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটিংয়ের শুরুটা হলো না ভালো। এরপর মাশরাফি বিন মুর্তজা ব্যাটিং অর্ডারে উপরে এসে করলেন দারুণ।

কিন্তু পারলেন না পরের ব্যাটাররা, সিলেট পারেনি বড় সংগ্রহ গড়তে। পরে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ক্যাচ ফেলেন মুশফিকুর রহিম। জয় নিয়ে ফাইনালে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১২৫ রানে অলআউট হয়ে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। জবাব দিতে নেমে ১৯ বল আগেই জয় তুলে নেয় কুমিল্লা।

টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কুমিল্লা। দ্বিতীয় ওভারেই উইকেটের দেখা পায় ইমরুল কায়েসের দল। আন্দ্রে রাসেলের ফুলটস বল গাফারির ব্যাটের কানায় লেগে সোজা চলে যায় মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে। ৫ বল খেলে ৫ রান করেন তিনি। দুই বল পর রান আউটের শিকার হয়ে ফেরেন তৌহিদ হৃদয়। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই ব্যাটার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রানের খাতাই খুলতে পারেননি। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে জাকির হাসানকে তুলে নেন মঈন আলী।

মাত্র ১৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সিলেট। অনেকটা অবাক করেই পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করতে আসেন মাশরাফি। শান্তর সঙ্গে গড়েন ৫৬ রানের জুটি। নবম ওভারে রাসেলের শিকার হওয়ার আগে ১৭ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ২৬ রান করেন মাশরাফি। ঠিক পরের ওভারেই তানভীর হাসানের বলে বোল্ড হন শান্ত। 

২৯ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৩৮ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এরপর মুলত ধস নামে সিলেটের ব্যাটিংয়ে। ভেঙে যায় তাসের ঘরের মতো। তিন ওভার বাকি থাকতেই ১২৫ রানে অলআউট হয় তারা। মাঝে দিয়ে ২২ বলে ৪ চারে ২৯ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহিম। কুমিল্লার হয়ে   দুটি করে উইকেট নেন তানভীর, রাসেল ও মোস্তাফিজুর রহমান।

জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সেরও। ১০ বলে কেবল ৭ রান করে রুবেল হোসেনের বলে সাজঘরে ফেরত যান লিটন দাস। অবশ্য অন্য প্রান্তে রীতিমতো ঝড় তুলেন সুনীল নারিন। ৩ চার ও ৪ ছক্কার ঝড়ে এই ক্যারিবীয়ান ২৮ বলে করেন ৩৯ রান, তানজিম হাসান সাকিবের বলে বোল্ড হন তিনি। 

এরপর দ্রুতই জনাথন চার্লস ও ইমরুল কায়েসকে হারিয়ে কিছুটা চাপেও পড়েছিল কুমিল্লা। তবে ২ ছক্কা ও ১ চারে ১৩ বলে ২১ রানের ঝড় তুলেন মঈন আলি। শেষদিকে ম্যাচ জমে উঠতে পারতো, তবে মুশফিকুর রহিম বোলিং প্রান্তে দৌড়ে গিয়ে আন্দ্রে রাসেলের ক্যাচ ফেলে দেন। আরেক প্রান্ত আগলে রাখেন মোসাদ্দেক হোসেন। এই ব্যাটার ২৭ বলে ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।  


আরও খবর