Logo
শিরোনাম

সিরাজগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় আটক ৬

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ঢাকা থেকে ভিকটিম উদ্ধারের পর বগুড়া যাবার পথে সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় কড্ডার এলাকায় ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে পুলিশের একটি মাইক্রোবাস। এ ঘটনায় জড়িত ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গত ৭২ ঘণ্টায় উন্নত তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিরাজগঞ্জ, গাজীপুর ও কোনাবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। অভিযানের সময় পুলিশের লুট হওয়া এক জোড়া হ্যান্ডকাপ, ৩টি মোবাইল, দুটি মানিব্যাগ, একটি ওয়াকিটকি, একটি পুলিশের ইউনিফর্ম, একটি ক্রেডিট কার্ড, একটি আইডি কার্ড, নগদ ৬ হাজার ২ শত টাকা ও দুটি কালো ব্যাগ উদ্ধার এবং ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত দুটি বার্মিজ চাকু ও একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। রবিবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আটককৃতরা হলেন সিরাজগঞ্জ শহরের রায়পুর উত্তরপাড়া মহল্লার আব্দুল লতিফ খানের ছেলে ডাকাত সর্দার তুষার আহম্মেদ ওরফে ইউসুফ খান ওরফে অন্তর (২২), একই জেলার চন্ডিদাসগাতী গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে ওয়াজেদ আলী (৩৪), চরমালসাপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে আব্দুল লতিফ খান ওরফে নিকি (২১), পুর্বমোহনপুর গ্রামের বাবু কসাইয়ের ছেলে ইনামুলক হক আশিক (১৯), সয়াধানগড়া গ্রামের মৃত কিসমত আলী শেখের ছেলে আব্দুল মোতালেব ও চক শিয়ালকোল গ্রামের মৃত ফটিকের ছেলে সোহেল রানা (২৮)।

সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল জানান, গত ১২ অক্টোবর রাতে সোনাতলা থানার এসআই আব্দুল খালেক ও কনস্টেবল আবুল কালাম ঢাকা থেকে রুদমিলা আক্তার রিশা নামে একজন ভিকটিমকে উদ্ধারের পর তার চাচা শহিদুল ইসলামকে নিয়ে বগুড়ায় রওনা হয়। মাইক্রোবাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হবার পর কড্ডা এলাকার ১৭নং ব্রিজের ৪ শত গজ পূর্বে পৌঁছালে ডাকাত সর্দার তুষারের নেতৃত্বে ৬ জনের একটি দল মাইক্রোবাসের পিছনে পাথরের ঢিল ছুড়ে। এতে গাড়ীর গ্লাস ভেঙ্গে ঢিলটি  শহিদুল ইসলামের মাথায় লাগলে সে আহত হওয়ায় গাড়ী থামানো হয়। এসময় অতকির্তভাবে ডাকাতদল তাদের উপর হামলা চালিয়ে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ১৪ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পরই পুলিশের তিনটি টিম কাজ শুরু করে এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ৬ ডাকাতকে আটকসহ মালামাল উদ্ধার এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, মহাসড়কে ৬টি ডাকাত দল প্রায় আটটি পয়েন্টে বিভিন্ন সময়ে ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত করে থাকে। তাদেরকেও শনাক্ত করা হয়েছে। অচিরেই তাদেরকে আটক করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। এছাড়াও মহাসড়কে ডাকাতিরোধে টহল টিম বাড়িয়ে ৮টি টহল টিম জোরদার করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ প্রিন্ট ও ইল্ট্রেনিক্স মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর