সিলেটে শিশুর
কান্না শুনে দরজা ভেঙেই পুলিশ দেখতে পেল স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ। পাশেই হাঁপিয়ে
হাঁপিয়ে কাঁদছিল তাদের ১৮ মাসের শিশু ঋত্বিক তালুকদার। পাশেই পাওয়া গেল একটি চিরকুট।
চিরকুটের ভাষায় পরকীয়ার ইঙ্গিত রয়েছে বলে পুলিশের ধারণা।
রোববার সিলেট
নগরীর পাঠানটুলায় পল্লবী আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার ধীরেন্দ্র দের সি-২৫নং
বাসার একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকতেন এ দম্পতি।
পুলিশ জানায়,
লাশ দুটি সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাগ ইউনিয়নের রাজাবাজ গ্রামের নির্ণয়
দাসের মেয়ে শিপ্রা দাস ও একই গ্রামের রুকুনি তালুকদারের ছেলে রিপন তালুকদারের। রিপন
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।
ছোট্ট শিশুসন্তান
রেখে দম্পতির রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে হতবাক প্রতিবেশী, বিস্মিত পুলিশও।
পুলিশের একটি
দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ‘আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত
করেছি, তোমরা আমার সন্তানকে খেয়াল রেখ’- এমন কথা রয়েছে চিরকুটে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে
তাদের দুটি মোবাইল নিয়ে কাজ করবে পুলিশ।
প্রতিবেশীদের
ভাষ্য- রোববার সকাল ৯টার দিকে ওই ঘরের মধ্যে শিশুর কান্না শুনতে পান তারা। বাইরে থেকে
অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়া নেই। পরে ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে বিষয়টি জানানো হয় জালালাবাদ
থানা পুলিশকে। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকার পরই হতভম্ব।
জালালাবাদ থানার
ওসি নাজমুল হুদা খান জানান, কী কারণে এই ট্র্যাজেডি, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে
মৃত্যুর আগে কলহ হয়েছিল- এমন বেশকিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে।