Logo
শিরোনাম

সরিষাবাড়ীতে আসামী ছিনতাইয়ের চেষ্টা: হামলায় ৬ পুলিশ আহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ১৫৬০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে এজাহারভুক্ত আসামী গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার তারাকান্দি যমুনা সার কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এসময় হামলাকারীদের মধ্য থেকে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও প্রতক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, স্থানীয় এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ধানমন্ডি থানায় জিডি করার পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের লোকজন বৃহস্পতিবার রাতভর এলাকায় আতশবাজি ফোটায়। এ ঘটনার পর শুক্রবার সকালে তারাকান্দি যমুনা সার কারখানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। এসময় পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে রফিক গ্রুপে যুক্ত হওয়া ও বিএনপি নেতা এবং ৩ মামলার আসামী মোর্শেদকে আটক করে পুলিশ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারাকান্দি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এসময় তদন্ত কেন্দ্রের প্রধান গেট বন্ধ করে দিলেও উপর দিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফ, এসআই সোহাগ, এসআই সুলতান, এএসআই মেহেদী, কনস্টেবল খোকনুজ্জামান ও সোলায়মান আহত হয়।

এদিকে এ ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন আহমেদ। অপর দিকে আসামী ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকের বিরুদ্ধে এবং পুলিশ ফাড়িতে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান এমপির সমর্থকরা।

এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ৩টি মামলার আসামী মোর্শেদের নেতৃত্বে ৬০-৭০ জন লোক যমুনা সার কারখানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে সকাল থেকে কারখানা এলাকায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় পুলিশের উপর চড়াও হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে ও এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দোষীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার এসবের কিছু জানা নেই। আর আমার লোকেরা থানায় হামলা করবে কেন? যে গ্রেফতার হয়েছে সেও তো আমার লোক না। এলাকায় কোন ঘটনা হলেই আমার লোকের দোষ হয়। আমরা পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করি। হামলা ভাংচুরের রাজনীতি করি না।

নিউজ ট্যাগ: জামালপুর

আরও খবর