আজ ঈদ
সিলেটে স্ত্রী
ও শাশুড়ির গলা কেটে নিজের গলায় ছুরি চালিয়েছেন শাহজাহান (৩০) নামে এক যুবক। তিনজনকেই
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক
বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তবে কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে সেটি জানা যায়নি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা
সাড়ে ৭টার দিকে নগরের বাদামবাগিচার ২ নং রোডের ২৩ / ২ নং বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা
নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান
মোহাম্মদ মাইনুল জাকির।
পুলিশ ও স্থানীয়রা
জানান, গত ১ আগস্ট বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান আহমদের (৩০)
স্ত্রী সুলতানা বেগম ফারজানা ও শাশুড়ি রোকসানা বেগম (৫১) নগরীর বাদাম বাগিচার বকুল
মিয়ার বাসা ২৩ / ২ ভাড়া নেন। ওই বাসায় শাহজাহান ও সুলতানা দম্পতির দুই সন্তান তানহা
(৮) ও মাহবুবুল আলমকে (৬) নিয়ে বসবাস করেন সুলতানা ও তাঁর মা। শাহজাহান মাঝেমধ্যে আসতেন।
আজ সন্ধ্যা সাড়ে
৭টায় হঠাৎ শাহজাহান ধারালো ছুরি দিয়ে তাঁর স্ত্রী সুলতানার গলা কেটে শাশুড়ির গলা কেটে
ফেলেন। এরপর নিজের গলায় ছুরি চালান। সন্তানদের কান্নাকাটির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন
এগিয়ে আসেন এবং স্থানীয় কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম ও পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে
কাউন্সিলর শামীম লোকজন সঙ্গে নিয়ে আহত সুলতানা ও রোকসানাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পুলিশ এসে শাহজাহানকেও ওসমানীতে পাঠায়। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক
বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
ওসমানী মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘তিনজনের অবস্থাই খারাপ। এর মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর
শরীর প্রায় রক্তশূন্য হয়ে গেছে। তাঁদের আগে রক্ত দিতে হবে। এরপর অপারেশন করা যাবে।
আর শাশুড়ির অবস্থা একটু ভালো আছে। ২৪ ঘণ্টা পার না হলে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে
না।’
এ বিষয়ে সিলেট
মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ মাইনুল জাকির
বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
ঘটনায় ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করেছি। তবে কী কারণে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে আমরা তা
জানার চেষ্টা করছি।’
