Logo
শিরোনাম

স্ত্রীর যৌতুক মামলা : স্বামী নিজেই জানে না বউ কার

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মার্চ 20২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ৩১০৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বগুড়ার ধুনটে বিয়ে না করেও বউয়ের যৌতুক মামলার আসামি হয়েছেন শরীফ মেলামাইন কোম্পানির জোনাল ম্যানেজার টিএম আল জুবায়ের (৪৩)। তিনি উপজেলার নছরতপুর গ্রামের মৃত হাবিবর রহমানের ছেলে। এ ঘটনার পর থেকে গ্রামে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জুবায়ের গাজীপুর জেলা শহরে শরীফ মেলামাইন কোম্পানির জোনাল ম্যানেজার পদে চাকরি করেন। তার শিক্ষা সনদপত্রের ফটোকপি কৌশলে হাতিয়ে নেন নছরতপুর গ্রামের মৃত তাহের মন্ডলের ছেলে জুয়েল মাহমুদ (৩৫)।

জুবায়েরের শিক্ষা সনদপত্রের ফটোকপি দিয়ে জুয়েল মাহমুদ গাজীপুর এলাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। পরে একই কারখানায় চাকরি করার সুবাদে আলমিনা খাতুন নামে এক সহকর্মীর সাথে জুয়েল মাহমুদের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। আলমিনা কিশোরগঞ্জের অস্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের মেয়ে।

২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর জুয়েল মাহমুদ নিজের নাম গোপন রেখে শিক্ষা সনদ অনুযায়ী আল জুবায়েরের নাম ও পরিচয় ব্যবহার করে দুই লাখ টাকা রেজিস্ট্রি কাবিনমূলে আলমিনা খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের ৩ বছর পর জুয়েল মাহমুদ বউকে ছেড়ে পালিয়ে যান। এই কারণে আলমিনা খাতুন বাদী হয়ে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ আদালতে বিয়ের কাবিননামায় লিখিত নাম অনুসারে আল জুবায়েরের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন।

কিশোরগঞ্জ আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পেয়ে আল জুবায়ের প্রতারণার বিষয়টি টের পান। এর পরে এ ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধানে আল জুবায়ের বেশ কিছু তথ্য পান, জুয়েল মাহমুদ তার নাম ব্যবহার করে আলমিনা খাতুনকে বিয়ে করেছেন। এ ঘটনায় বর্তমানে আল জুবায়ের আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। অন্যদিকে প্রতারক জুয়েল মাহমুদ এখনো পলাতক।

ভুক্তভোগী আল জুবায়ের বলেন, জুয়েল মাহমুদের প্রতারণার শিকার হয়ে আমার মানসম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তার প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পেতে থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছি।

এ ঘটনার বিষয়ে ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার বর্মন বলেন, আল জুবায়েরের জিডির আরজি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেছে।

নিউজ ট্যাগ: যৌতুক মামলা

আরও খবর