বিপিএলের দ্বিতীয়
কোয়ালিফায়ারে জেতা ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট শেষ করলো রংপুর রাইডার্স। রংপুরকে ১৯ রানে
হারিয়ে বিপিএল ফাইনালে উঠেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
মঙ্গলবার মিরপুরের
শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রংপুর রাইডার্সকে ১৯ রানে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
শুরুতে ব্যাট
করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান করে সিলেট। জবাব দিতে নেমে ৭ উইকেটে ১৬৩ রানের বেশি
করতে পারেনি রংপুর।
টস হেরে আগে ব্যাট
করতে নেমে নাজমুল হাসান শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাটে সিলেটের শুরুটা হয় দারুণ। ৫৩ বলে
৬৫ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন তারা। নবম ওভারে এসে এই জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান। ৩০ বলে
৪০ রান করে সাজঘরে ফেরেন সিলেটের ওপেনার। পরের ওভারেই উইকেট হারান আরেক ওপেনার হৃদয়।
২৫ বলে ২৫ রান করেন তিনি।
তিনে নেমে ব্যাট
হাতে ঝড় তুলতে থাকেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। জাকির হাসানও নেমে ব্যাট চালাতে থাকেন। তবে
টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ১৩ বলে ১৬ রান করে বিদায় নেন তিনি। একই কাজ করেন রায়ার্ন বার্লও।
৬ বলে ১৫ রানের ইনিংস খেলে তিনি উইকেট হারান। কিছুক্ষণ পর থিতু হয়ে থাকা মাশরাফিও বিদায়
নেন ডোয়াইন ব্র্যাভোর বলে। এর আগে খেলে যান ১৬ বলে ২৮ রানের দারুণ এক ইনিংস।
ব্যাট হাতে মুশফিকুর
রহিম এদিন ছিলেন ব্যর্থ। ৫ বলে ৬ রান করে আউট হন তিনি। শেষদিকে থিসারা পেরেরা ও জর্জ
লিন্ডের ২১ বলে ৩৬ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় সিলেট। ১৫ বলে ২১ রান করে রান
আউট হন থিসারা। লিন্ডা করেন ১০ বলে অপরাজিত ২১ রান। রংপুরের হয়ে জোড়া উইকেট পান হাসান
মাহমুদ ও দাসুন শানাকা। একটি করে উইকেট শিকার করেন মেহেদী হাসান ও ডোয়াইন ব্রাভো।
জবাব দিতে নেমে
শুরুটা ভালো হয়নি রংপুর রাইডার্সের। ৪ বলে ১ রান করে আউট হয়ে যান দলের সঙ্গে যোগ দেওয়া
স্যাম বিলিংস। তার বিদায়ের পর শামীম হোসেন পাটোয়ারীর সঙ্গে ৩১ রানের জুটি গড়েন রনি
তালুকদার। ১ চার ও সমান ছক্কায় ১১ বলে ১৪ রান করে রুবেল হোসেনের বলে শামীম আউট হলে
ভাঙে এই জুটি।
এরপর ক্রিজে এসে
রীতিমতো ঝড় তোলেন নিকোলাস পুরান। এই ব্যাটার ১ চার ও ৪ ছক্কায় ১৪ বলে ৩০ রান করে লুক
উডের বলে ক্যাচ দেন জর্জ লিন্ডের বলে। ৪ চারে ২৪ বলে ৩৩ রান করেন অধিনায়ক নুরুল হাসান
সোহান। তাদের বিদায়ের পরও দলের হাল ধরে ছিলেন রনি তালুকদার।
কিন্তু এই ব্যাটারও
আউট হয়ে যান জাকির হোসেনের দক্ষতায়। তানজিম হাসান সাকিবের বলে একটু এগিয়ে আসেন রনি।
তিনি ফেরার আগেই দারুণ থ্রোতে তাকে রান আউট করেন উইকেটরক্ষক জাকির। ৭ চার ও ২ ছক্কায়
৫২ বলে ৬৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এরপর ডোয়াইন ব্রাভোর
আগে ক্রিজে আসেন মেহেদী হাসান। এই অলরাউন্ডারেরও উইকেটের পেছনে দারুণ এক ক্যাচ নেন
জাকির হোসেন। ১৯তম ওভারে এসে কেবল ৩ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন লুক উড।