Logo
শিরোনাম

তরমুজ প্রতি পিস হিসাবে ক্রয়ে কেজি দরে বিক্রি

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ৩১১০জন দেখেছেন
Image

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:

গরমের স্বস্তির রসালো ফল তরমুজ নিয়ে টাঙ্গাইলে সৃষ্টি হয়েছে নৈরাজ্য। এবার গরমকে পুজি করে মানুষকে এক ধরনের জিম্মি করে টাঙ্গাইলে চলছে কেজি ধরে তরমুজ বিক্রি। কৃষক তথা মাঠ থেকে পিস হিসাবে তরমুজ ক্রয় বিক্রয় হলেও পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বাড়তি মুনাফা লাভের আশায় কেজি হিসাবে তরমুজ বিক্রি করছে। যে কারণে প্রতি পিচ তরমুজে ক্রয় মূল্যের দ্বিগুনের বেশী লাভ হচ্ছে।

সাধারণ ক্রেতারা এই বাজার ব্যবস্থার প্রতিকার দাবি করেছেন। টাঙ্গাইলের বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ। প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এমন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, বরিশালের প্রধান তরমুজ মোকাম হাট থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা একশ পিস হিসাব করে তরমুজ কিনে থাকেন। তবে তারা খুচরা বাজারে বিক্রি করেন কেজি দরে। কেউ কেউ বলছেন- ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফার জন্য একজোট হয়ে কেজিতে তরমুজ বিক্রির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ব্যবসায়ী সুত্রে জানিয়েছেন, একটি তরমুজ মোটামুটি ৫ কেজি থেকে ১২ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ৫০ টাকা কেজি ধরলেও সবচেয়ে ছোট সাইজের একটি তরমুজের দাম হয় ২শ থেকে আড়াইশ টাকা আর ১২ কেজি ওজনের তরমুজের দাম হয় ৬০০ থেকে ৭শ টাকা।

উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে, মেসার্স আল- মদিনা ফল ভান্ডারের প্রো. মো. মোশাররফ হোসেন সহ একাধিক বিক্রেতারা বলছেন, একশ হিসাবে দাম ধরে তাদের তরমুজ কিনতে হচ্ছে।

এতে ছোট-বড় সব আকারের তরমুজের জন্য একই দাম দিতে হয়। বড় তরমুজ দিয়ে মূলত তারা লাভ করে থাকেন। আবার প্রতি পিচ হিসাবে দাম চাইলে ক্রেতারা দাম শুনে না নিয়েই চলে যায়। কেউ চাইলে না মেপেও দরদাম করে তরমুজ নিতে পারবেন।

কালিহাতী উপজেলার পৌজান হাটে কথা হয় তরমুজ ব্যবসায়ী শাজাহান এর সাথে তিনি জানান, আমরা এলেঙ্গা আড়ত থেকে কেজি হিসাবে কিনে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করছি। আমরা জানি এটা অন্যায়। কিন্তু কি করবো সবাই তো এভাবে বিক্রি করছে। এখন শুধু বরিশালের তরমুজ সারাদেশে বিক্রি হচ্ছে। নাটোরের তরমুজ আসলেই তবে কিছুটা দামও কমতে পারে, কিন্তু বরিশালের তরমুজ সবচেয়ে ভালো দামও একটু বেশি।

তরমুজ ক্রেতা জালাল বলেন, আমি পৌজান হাট থেকে সাড়ে চার কেজি একটি তরমুজ কিনি ৪০ টাকা কেজি ধরে ১৮০ টাকা দিয়ে, বাড়িতে নিয়ে ইফতার সময় তরমুজ কাটা পর দেখি সেটা খাওয়ার মতো না। তরমুজ বিক্রেতারা বেশি লাভের আশায় তরমুজ ফলন হওয়ার আগেই তারা বাজারে বিক্রি করছে।

এদিকে কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি করলে সাধারণ মানুষ পক্ষে রসালো ফল ক্রয় অসম্ভব হয়ে পড়বে, এখনই এর লাগাম টেনে ধরতে হবে না হলে পকেট কাটা পড়বে সাধারণ মানুষের। তারা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা আরো বলেন মূলত মৌসুমের শুরুতে বাজারে আসার সাথে সাথে মানুষের তরমুজ ক্রয় বা খাওয়ার আগ্রহ থাকে। সেই সময় যদি বাজারে এরকম অরাজকতা থাকে তাহলে সাধারন মানুষের আশা বা স্বাদ পূরন হবে না।

এক পথচারী শনিবার সকালে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে, মেসার্স আল- মদিনা ফল ভান্ডার থেকে ৮কেজি ৩'শ ৮০ গ্রাম তরমুজ ক্রয় করে ৩শত ৩৫টাকা বিশ পয়সায়, তিনি বলেন মৌসুমের শুরুতেই মৌসুম ফলের দাম একটু বেশি থাকে কিন্তু এবছর তরমুজ আসার শুরুতেই চলে এসেছে মাহে রমজান আর এই রমজান মাসে প্রচন্ড খড়াতে শুসাধু রসালো তরমুজে রোজাদারদের ইফতারের সময়ে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। তবে তরমুজে যে দাম সে হিসাবে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে। প্রশাসনিক ভাবে বাজার মনিটরিং দরকার।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন বলেন, কেজি দরে তরমুজ বিক্রির বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে খুব দ্রুত বাজার মনিটরিংয়ে যাওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: টাঙ্গাইল তরমুজ

আরও খবর