Logo
শিরোনাম

‘ভাইরে চিনস না’ বলেই পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ৬৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে উল্টোপথে আসা এক মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগার পর তার প্রতিবাদ জানালে মারধরের শিকার হয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। এ ঘটনায় চার জনের নাম উল্লেখ করে ১০ থেকে ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করেছে একটি মামলা করেছেন তিনি। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার শান্তিনগর বেইলি রোডের মুখে কেএফসি-র সামনে এই ঘটনা ঘটে। রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) কর্মরত উপপরিদর্শক (এসআই) একেএম মিরাজ হোসেন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ওই দিন বিকালে অফিসে শেষ করে বাসায় ফেরার পথে কেএফসির সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় পাঁচ-ছয়টি মোটরসাইকেলে ১০-১২ জন যুবক উল্টোপথে যাওয়ার সময় আমাকে ধাক্কা দেয়। এর প্রতিবাদ করতেই তারা আমাকে বেধরক মারপিট করে। পুলিশ পরিচয় দেওয়ার পর তারা আরও মারপিট করে। প্রথমে মোটরসাইকেলে থাকা এক যুবক এবং তার সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজন মোটরসাইকেল থেকে নেমেই বলে, ভাইরে চিনস না? ভাই যাইতাছে, আর তুই কথা কইতাছোস-এই বলেই মারতে শুরু করে তারা।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, মারধরের এক পর্যায়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তার গলায় জুতা, বুট ও কেডস দিয়ে চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়েছে। এসময় পকেটে থাকা ম্যানিব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে; যারমধ্যে ১২ হাজার ২৩০ টাকাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এসব অভিযোগ করে রমনা থানায় মামলা করেছেন এসআই একেএম মিরাজ হোসেন। মামলায় চার জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন- তানভীর ইসলাম সজীব (৩৩), হাসান (৩২), ইমন (২৭) ও শাহাবুদ্দিন (২৫)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, স্টিলের হেলমেট দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা ও নাক-মুখে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে তারা। নির্মমভাবে প্রহার করায় আমার মাথা ও নাক-মুখে রক্ত দেখে উপস্থিত লোকজন রমনা থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে থানার টহল টিম এসে আমাকে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঢামেকে চিকিৎসারত অবস্থায় হাসপাতালের বেড খালি না থাকায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে আমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

বর্তমানে শরীরে জখম নিয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মিরাজ হোসেন। তিনি বলেন, পুলিশ পরিচয় দিয়েও রক্ষা পাইনি। ওরা ১০-১২ জন ছিল। আমাকে বেধড়ক মারধর করেছে। নাক-মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। এখন প্রচণ্ড মাথাব্যথা, সঙ্গে শরীরে ব্যথা। চিকিৎসক সিটি স্ক্যান করানোর পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু এখনও সিটি স্ক্যান করানো হয়নি।

ঘটনার দিন রাতেই তানভীর হোসেন সজীব নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান। তিনি বলেন, তাকে গত শুক্রবার আদালতে তুলে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় আর কোনও আসামি গ্রেফতার নেই। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

নিউজ ট্যাগ: রমনা থানা

আরও খবর