জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
ভারতীয় কোল ঘেঁষা জেলা জয়পুরহাট। কোরবানি ঈদ উপলক্ষ্যে গড়ে উঠেছে রমরমা পশুর হাট-বাজার। সেখানে স্থান পাচ্ছে বিভিন্ন জাতের দেশী-বিদেশী শাহীওয়াল পশুসহ ভারতীয় আমদানী করা গরু।
এ জেলায় সবচেয়ে বড় পশু হাট জয়পুরহাট পৌরসভা হাট ও বাজার। যা শহরের নতুনহাট নামে পরিচিত। যেখানে ক্রেতা সমাগমের পাশাপাশি কোরবানীর পশুর ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে বাড়ছে জেলায় বেচা-কেনা। তবে খামারিদের দাবি চাহিদা অনুযায়ী পশু বিক্রি করতে পারছে না তারা। কারণ হাটে ব্যাপক ভারতীয় গরুর আমদানি থাকায় দেশীয় পশুর দাম কম হাঁকাচ্ছেন ক্রেতারা। অন্যদিকে, ক্রেতাদের দাবি গরুর দাম সহনীয় রয়েছে, চাহিদা অনুসারে কোরবানীর পশু কেনা যাচ্ছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এ জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৩৫টি কোরবানির পশুর হাট বসেছে। আর প্রায় ২০ হাজার খামারে কোরবানির জন্য গবাদিপশু মজুদ রয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৬৬০টি।
জয়পুরহাট পৌরসভা হাট ও বাজার (নতুনহাট) এর পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মিলন বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছরে দেশী-বিদেশী কোরবানির পশুর ব্যাপক উপস্থিত থাকলেও বিক্রি কম। দেশের করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং বন্যা পরিস্থিতির ফলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা অনেকটা কমে গেছে। তবুও নির্বিঘ্নে স্বাস্থ্য বিধি মেনেই কেনা-বেচা চলছে। হাটে রয়েছে সার্বিক নিরাপত্তায় র্যাব, পুলিশ, সিসি ক্যামেরা, পল্লী-পশু চিকিৎসকসহ সবধরনের ব্যবস্থা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহফুজার রহমান বলেন, গতবারের চেয়ে এবারে কোরবানীর সংখ্যা বেশি হবে। কারণ সাধারণ মানুষের হাতে টাকা এসেছে, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। গবাদি পশুর খাদ্যমূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও, খামারীরা ব্যবসা করছে।
ভারতীয় গরুর ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, সরকারি ভাবে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে তার মধ্য দিয়েও বছরের কোন সময়টাতে গরু ঢুকলে বিজিবি ক্রপ করে তা সরকারি বিধি মোতাবেক নিলাম করে। যা সাধারণ লোক কিনে নিয়ে প্রতিপালন করে বাজারে তুলেছে।
এদিকে, খামার ব্যবসায়ীরা দাবি করছে বাজারে ভারতীয় আমদানী করা গরু দেখা যাচ্ছে। এই গরুগুলো বর্তমান সময়ে আমদানি করা কোন নিলামে ক্রয় করা নয়, কেউ রশিদের কাগজ দেখাতে পারবে না। হাট পরিচালকের স্বাস্থ্য বিধি মেনেই কেনা-বেচার কথা বললেও দেখা যায়নি তেমন কোন ব্যবস্থা, নেই কোন মাস্ক। আরো অভিযোগ আছে জেলার প্রত্যেক গো হাটে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণে প্রশাসনের কোন ভূমিকা নেই।