Logo
শিরোনাম

‘ভারতীয় সাংবাদিকদের সফর দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে’

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১০১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশ সফর দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে। এ ছাড়া মানুষে মানুষে আত্মিক সম্পর্ক আরও গভীরতর করতে অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

আজ রোববার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বাংলাদেশ সফরে আসা ভারতের কলকাতা থেকে ২৫ জন এবং আসাম ও গৌহাটি থেকে সফরে আসা ৯ সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন আর আকাশ থেকে কুড়েঘর দেখা যায় না। বাস্তবিক অর্থে কুড়েঘর হারিয়ে গেছে। এটিই বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আমাদের এই বদলে যাওয়ার পেছনে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সঙ্গে গত ১৪ বছর ধরে আমাদের সুসম্পর্ক প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এবং ভারতের মান্যবর প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। সেই গভীর সম্পর্ক আমাদের উন্নয়ন অভিযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

এর আগে তথ্যমন্ত্রী ভারতীয় সাংবাদিকদের নিয়ে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেল ও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের আত্মাহুতির স্থান পাহাড়তলীস্থ ইউরোপিয়ান ক্লাব পরিদর্শন করেন।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মোহাম্মদ রেজার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বশর মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশীষ সুর, সাধারণ সম্পাদক কিংসুক প্রামাণিক, আসামের সিনিয়র সাংবাদিক মনোজ কুমার গোস্বামী প্রমুখ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা দু’দেশের নাগরিক বটে কিন্তু আমরা একই পাখির কলতান শুনি। একই নদীর অববাহিকায় আমরা বেড়ে উঠি। কাঁটাতারের বেড়া আমাদের এই বন্ধনকে বিভক্ত করতে পারেনি। কাঁটাতারের বেড়া আমাদের সংস্কৃতি ঐতিহ্য কৃষ্টি ভাষা, সবশেষে আমাদের ভালোবাসাকে বিভক্ত করতে পারেনি।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ভারতের সাংবাদিকদের বাংলাদেশে আগমন, বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ সচক্ষে দেখা, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে বদলে গেছে। যে ছেলে ১৪ বছর আগে বিদেশ গেছে সে নিজের দেশে এসে শহর চিনতে পারে না। নিজের গ্রাম চিনতে পারে না। ‘পায়ে চলা মেঠোপথ গেছে বহুদূর, রাখালি বাঁশির সুর সরল মধুর’ সেটি শুধু কবিতায় আছে। এখন সহজে পায়ে চলা মেঠোপথ গ্রামেও খুঁজে পাওয়া যায় না।

তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়। মানুষের আত্মিক খোরাক জোগায়। অনুম্মোচিত বিষয়কে উন্মোচিত করে। সমাজ এবং রাষ্ট্রকে সঠিক পথে প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা ভূমিকা রাখে। এখান থেকে গিয়ে যখন আপনারা কলম ধরবেন কিংবা টেলিভিশনে রিপোর্ট হবে তখন দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে। আমাদের দেশের বদলে যাবার গল্পটা ভারতবাসী জানবে, বিশ্ববাসী জানবে।


আরও খবর