Logo
শিরোনাম

ভাসানচরের পথে আরো দুই হাজার রোহিঙ্গা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | ২২৮৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

চতুর্থ পর্যায়ে চট্টগ্রাম থেকে জাহাজে করে দুই হাজার ১২ জন রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বোট ক্লাব থেকে আজ সোমবার সকালে পাঁচটি জাহাজে করে তাদের ভাসানচরের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে গতকাল রবিবার রাতে নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন শিবির থেকে ৪১টি বাসে করে তাদের চট্টগ্রামে আনা হয়। দুই হাজার ১২ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ রাতে চট্টগ্রাম পৌঁছায়। পতেঙ্গা বিএফ শাহীন কলেজ মাঠ, বোট ক্লাব ও আশপাশের এলাকায় অস্থায়ী ট্রানজিট শিবিরে তাদের রাখা হয়। পরে আজ সোমবার সকালে নৌবাহিনীর পাঁচটি বিশেষ জাহাজে করে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভাসানচরে।

রোহিঙ্গা অধিবাসী মনির জানান, তিনি নিজ ইচ্ছায় ভাসানচরে ফিরছেন। সেখানে তাঁদের আত্মীয়-স্বজনরা আগে গেছেন। একটু সুখ-শান্তির আশায় তাঁরা সেখানে যাচ্ছেন। তবে তিনি নিজের দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে চান। নিজের জন্মভূমিতে ফেরার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

নৌবাহিনী সূত্র জানিয়েছে, যেসব রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হবে, তাদের জন্য খাবার, নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীসহ অন্তত এক মাসের রসদ সরকার মজুদ রেখেছে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চরম নজিরবিহীন নৃশংসতার শিকার হয়ে বিভিন্ন সময়ে দেশটি থেকে সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। মাঝে দুই দফায় রোহিঙ্গাদের রাখাইনে প্রত্যাবাসনের জন্য দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলেও তাদের পাঠানোর প্রক্রিয়া সফল হয়নি। মূলত মিয়ানমার কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি। ফলে বহুদিন ধরেই কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে তারা বসবাস করে আসছে। সেখানে চাপ কমানোর জন্য সাময়িকভাবে রোহিঙ্গাদের একটি অংশকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হচ্ছে।

ভাসানচরে এরই মধ্যে তৈরি করা হয়েছে এক হাজার ৪৪০টি ক্লাস্টার হাউস ও ১২০টি শেল্টার স্টেশন। গুচ্ছ গ্রামের আদলে নির্মাণ করা হয়েছে এসব ক্লাস্টার হাউস। প্রতিটি ক্লাস্টার হাউসে ১২টি গৃহ। প্রতি গৃহে রয়েছে ১৬টি কক্ষ। একেক কক্ষে চারজনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের তুলনায় ভাসানচরে অনেক ভালো প্রাকৃতিক নান্দনিক পরিবেশে বসবাস করতে পারবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর