Logo
শিরোনাম

ভবনের কাজ শেষ না করেই ৭০ লাখ টাকা তুলে নিলেন ঠিকাদার

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১০৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জে ১১৪ নং প্রগতি বিদ্যানিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কাজ তিন বছরেও শেষ হয়নি। এতে পাঠদানে শিক্ষকদের যেমন হিমশিম খেতে হচ্ছে, তেমনি শিক্ষার্থীদের বসতে হয় গাদাগাদি করে। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্পে ৭৪ লাখ ৫৮ হাজার ৬৮৯ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে জিহাদ ট্রেডাস নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের কাজটি পায়। ওই বছরের ২১ জানুয়ারি ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়। সেখানে ভবন হস্তান্তরের তারিখ ছিল ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর। কিন্তু তিন বছর পার হলেও ভবনের কাজ শেষ হয়েছে ৭০ শতাংশ। বাকি কাজ শেষ না করেই ঠিকাদার ৭৪ লাখ ৫৮ হাজার ৬৮৯ টাকার মধ্যে ৭০ লাখ ২৩ হাজার ৪১৪ টাকা ঠিকাদার উত্তোলন করেছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার আরশি নগর ইউনিয়নের সিকদার কান্দি গ্রামের ১১৪ নং প্রগতি বিদ্যানিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। সেই বছর টিনের ঘর ভেঙে সেখানে তিন কক্ষের একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। তিনটি কক্ষের একটি অফিস কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বাকি দুটি কক্ষে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলে। বিদ্যালয়ে চারজন শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষার্থী রয়েছে ১৫০ জন। এতে ক্লাস নিতে শিক্ষকদের হিমশিম খেতে হয়। ২০১৮ সালে বিদ্যালয়ের একটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে এলজিইডি। তিন বছর আগে কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। বেশ কয়েকবার নিম্নমানের কাজ করার জন্য স্থানীয়ভাবে বাধাও দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে কোনো প্রতিকার হয়নি। ঠিকাদার কাউকে তোয়াক্কা না করে নিজের মতো করে গেছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, তিন রুম একটি ভবন রয়েছে বিদ্যালয়ে। পাশেই বিদ্যালয়ের অসমাপ্ত নতুন ভবন পড়ে আছে। তিন বছর ধরে এই ভবনের কাজ বন্ধ রয়েছে। নতুন ভবনেরও বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন দেখা গেছে। বিভিন্ন জায়গায় ইট সরে গেছে। কোথাও আবার রড বের হয়ে আছে। ভবনে যেই রড ব্যবহার করার কথা ছিল, তা ব্যবহার করা হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। সাইড দেয়ালে রডের ব্যবহার করার কথা থাকলেও সেখানে নেই রড। ভবনটির নির্মাণের শুরু থেকেই অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন তারা।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলে, আমাদের বিদ্যালয়ে বৃষ্টি হলে চাল দিয়ে পানি পড়ে বই-খাতা সব ভিজে যায়। গরমের মধ্যে ক্লাস রুমে বসা যায় না। তখন গাছতলায় গিয়ে ক্লাস করি। শ্রেণিকক্ষ না থাকায় শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের বারান্দায় মাদুর পেতে বসতে হয়। স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী হাবিবা বলে, আমাগো টিনের ঘরের ক্লাসরুম অনেক ছোট। আমাদের গরমের সময় অনেক গরম লাগে। আবার বৃষ্টিতে বই-খাতা ভিজে যায়। ক্লাস করতে আমাদের খুব কষ্ট হয়। তিন বছর ধরে বিল্ডিং করতে আছে কিন্তু কাজ শেষ না হওয়ায় আমরা ক্লাস করতে যেতে পারছি না। বিল্ডিংয়ের কাজ শেষ হলে ক্লাস করতে পারতাম।

সহকারী শিক্ষক জান্নাত বলেন, শ্রেণিকক্ষ না থাকায় শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের বারান্দায় মাদুর পেতে পাঠ দিতে হয়। এখন বৃষ্টির মৌসুম হওয়ায় ক্লাস ওয়ানের সঙ্গে  তাদের বসাতে হয়। বাচ্চাদের জন্য খেলনা ব্যবহার করতে পারি না। আমাদের জরাজীর্ণ ভবন হওয়ায় প্রতিবছর ছাত্র-ছাত্রী কমে পাশের স্কুলে চলে যাচ্ছে।

প্রগতি বিদ্যানিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ২০১৯ সালে কাজ শুরু করে বিদ্যালয়ের। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছিল। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার আগেই বন্ধ হয়ে যায় নির্মাণকাজ। বেশ কয়েকবার খারাপ মালামাল দিয়ে কাজ করার কারণে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। মালামাল এনে আবার নতুন করা কাজ করে। কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আর কাজ করেননি। এখন অর্ধেক কাজ করে ফেলে রেখেছে ঠিকাদার। তিন বছর ধরে কাজ বন্ধ। এলজিইডিতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, নির্মাণকাজ শেষ না করেই তিনি কাজের ৭০ লাখ টাকার বেশি  উত্তোলন করে ফেলেছেন। এখন ভবন নির্মাণ করে দিতে ঠিকাদার নানা ধরনের টালবাহানা করছেন। ফোন দিলে আসছি আসব বলে খালি ঘোরায়।

ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধান শিক্ষক বলেন, প্রায় সব টাকা দেওয়া হলো কীভাবে? আমার থেকে প্রত্যয়নপত্র নিতে হবে টাকা ওঠাতে হলে। কিন্তু একবারও টাকা তোলার জন্য প্রত্যয়নপত্র নেয়নি। কীভাবে এই টাকা উঠল আমি জানি না। এলজিইডি অফিসে গেলে তারা আমাকে বলে, কাজ হয়ে যাবে। আপনার আসা লাগবে না।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুরেশ রায় বলেন, আমি বেশ কয়েকবার ইউএনও অফিসে গিয়েছিলাম কাজটি কেন করছে না তা জানতে। তারা করবে বলে খালি ঘোরাচ্ছে। কিন্তু করছে না।

এ বিষয়ে মেসার্স জিহাদ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী জিয়াউর রহমান বলেন, ভবনটির বেশির ভাগ কাজই করা হয়েছে। আমি ভবনের কাজটি ডামুড্যার একজনকে দিয়ে করিয়েছিলাম। ওর ঝামেলার কারণে কাজটি ফেলে রাখা হয়েছে। আমার সঙ্গে তার কথা হয়েছে। বাকি কাজ শিগগরিই শুরু করব।

নির্মাণকাজ শেষ না করার আগেই কেন এত টাকা বিল দেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী অনুপম চক্রবর্তী বলেন, আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি জানার পর ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে বলছি দ্রুত কাজ শেষ করতে। বিষয়টি খোঁজখবর নিচ্ছি, যাতে ভবনটি শিগগিরই শিক্ষার্থীরা নতুন ভবনে ক্লাস করতে পারে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৫০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর