Logo
শিরোনাম

যে ১০ দেশের ভিসা পাওয়া সবচেয়ে কঠিন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | ১৩৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিভিন্ন দেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় ভিসার। কোনো কোনো দেশ অন-অ্যারাইভাল ভিসা দিলেও বেশিরভাগ দেশে যাওয়ার জন্য আগেই ভিসা নিতে হয়। আপনার পাসপোর্টে যদি কোনো সমস্যা না থাকে, তাহলে বেশিরভাগ দেশের ভিসা পেতে তেমন অসুবিধা হবে না। তবে কিছু দেশ আছে, যারা ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে খুবই কঠোর প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। চলুন জেনে নিই, কোন কোন দেশের ভিসা পেতে আপনাকে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হবে।

রাশিয়া: রাশিয়া খুব সহজে বিদেশিদের ভিসা দেয় না। এই দেশটির ভিসা পেতে আপনাকে বেশ জটিল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। জটিলতার কারণ হলো, ফরমে থাকা প্রশ্নের সংখ্যা। সেই সঙ্গে গত ১০ বছরে আপনি যেসব জায়গায় গিয়েছেন, সেসব তথ্যও দিতে হবে।

চীন: চীনের ভিসা পাওয়াও দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। বেশ কিছু দেশের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই ৭২ ঘণ্টার জন্য চীন ভ্রমণ করতে পারে। কিন্তু এর বেশি সময় থাকতে হলে প্রয়োজন ভিসা, যার প্রক্রিয়া কিছুটা ক্লান্তিকর। সব ধরনের প্রস্তুতি এবং প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র সঙ্গে নিয়েই চীনের ভিসার জন্য আবেদন করুন।

চীনের ভিসা পাওয়া দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া।

ইরান: ইরান ভ্রমণের জন্য ভিসার আবেদন করতে হলে আপনার প্রয়োজন হবে একটি ভেরিফিকেশন কোড। মনে রাখবেন, আপনার পক্ষে কোডের আবেদন করবে ইরানের একটি সরকারি ট্রাভেল এজেন্সি এবং দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোড দেবে। দেশটিতে ই-ভিসা চালু হলেও প্রক্রিয়া সহজ হয়নি।

তুর্কমেনিস্তান: ভিসার কঠোর নীতিমালার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে কম ভ্রমণ করা দেশগুলোর একটি তুর্কমেনিস্তান। যারা এই দেশ ভ্রমণ করতে আগ্রহী, তাদের তুর্কমেন স্টেট মাইগ্রেশন সার্ভিসের তিন কপি ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। সেই সঙ্গে তুর্কমেনিস্তানের কোনো স্পন্সরের দাওয়াতপত্র লাগবে। এটি পেতে প্রায় ২০ দিন সময় লাগে।

সৌদি আরব: পর্যটকের জন্য ই-ভিসা চালু করলেও আগের মতো সব নিয়মকানুন মানার পর আপনি এই দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। মনে রাখবেন, পর্যটক হিসেবে আপনার কিছু নির্দিষ্ট নিয়মের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সৌদি আরবে ভিসার কঠোর নীতিমালার অন্যতম কারণ হলো প্রতিবছর এখানে হজ করতে যাওয়া বিপুল সংখ্যক হাজি।

পাকিস্তান: পাকিস্তানে যেতে চাইলে ভ্রমণপিপাসুদের প্রথমেই স্পন্সর জোগাড় করতে হবে। স্পন্সর পাকিস্তানের কোনো ব্যক্তিও হতে পারে, আবার ট্যুর কোম্পানিও হতে পারে। স্পন্সরকে একটি আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্র, ভ্রমণকারীর সঙ্গে সম্পর্কের বিস্তারিত এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্য জমা দিতে হবে।

কিউবা: মূলত আমেরিকানদের জন্য কিউবার ভিসা পাওয়া কঠিন। দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি না পেলে আমেরিকানদের পিংক ট্যুরিস্ট কার্ড দেওয়া হয়, যা অন্য দেশের নাগরিকদের দেওয়া গ্রিন ট্যুরিস্ট কার্ড থেকে আলাদা।

আফগানিস্তান: রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আফগানিস্তানে যাওয়া কোনোভাবেই সহজ বিষয় নয়। বেশিরভাগ দেশের সরকারই তাদের নাগরিকদের এই দেশে যেতে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আফগানিস্তানে যাওয়ার জন্য প্রথমেই আপনাকে ভিসার আবেদন করতে হবে। তবে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, চীন, ইরান ও তাজিকিস্তানের মতো দেশের কূটনৈতিক পাসপোর্ট থাকলে আর ভিসার আবেদন করতে হবে না।

উত্তর কোরিয়া: উত্তর কোরিয়ার ভিসা পাওয়া ভীষণ কঠিন। এর জন্য এমন ট্যুরিস্ট এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে হবে, যারা রাষ্ট্র অনুমোদিত ট্যুর দেয়। দক্ষিণ কোরিয়া অথবা আমেরিকান পাসপোর্টধারীরা এই দেশের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন না। যদি আপনি ভিসা পেয়েও যান, তবুও ইচ্ছামতো দেশ ঘুরে দেখতে পারবেন না। কারণ আপনি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না বা দেশটির নেতাকে নিয়ে বাজে কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে নিজের মতো হাঁটা বা হোটেল থেকে বের হওয়াও মানা।

শাদ: খুব সুন্দর দেশ শাদও এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত। দেশটির ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া বেশ ক্লান্তিকর। কারণ, এই প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য তাদের কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। আরও মজার বিষয় হলো, আবেদন ফরম শুধু ফরাসি ভাষায় পাওয়া যায়। তার মানে আবেদনকারীর এই ভাষা জানা ছাড়া উপায় নেই।


আরও খবর

অরণ্যযাপনের আগে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন

বৃহস্পতিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩