Logo
শিরোনাম

যে কারণে দেহব্যবসায় ঝুঁকছেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | ৫১৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image
লকডাউন দেওয়ার ফলে অসংখ্য শিক্ষার্থী আর্থিক সংকটে পড়েছেন। ফলে দেহব্যবসার মাধ্যমে উপার্জনকারী তরুণী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী নিজের নগ্ন ছবি বিভিন্ন সাইটে বিক্রি করছে

মহামারি করোনায় নাস্তানাবুদ গোটা বিশ্ব। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস জীবন তো কাড়ছেই, কাড়ছে জীবীকাও। উন্নত বিশ্বের অর্থনীতিতেও ধস নামিয়েছে এই ভাইরাস। আমেরিকা-ইউরোপের দেশগুলোতে বড় বড় শহরগুলোর পাব, হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। বহির্বিশ্ব থেকে ওসব দেশে যাওয়া তরুণ শিক্ষার্থীরা এসব রেস্তোরাঁয় কাজ করত। সেই উপার্জন পড়ালেখা আর জীবীকা নির্বাহের কাজে আসত। এসব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে এসব শিক্ষার্থীদের অনেকে সম্ভ্রম বিক্রির পথ বেছে নিচ্ছেন।

সম্প্রতি এহেন কঠিন অবস্থার মুখোমুখি হওয়া শিক্ষার্থীকে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে বারাঙ্গনাদের ইউনিয়ন ইংলিশ কালেকটিভ অব প্রস্টিটিউটস (ইসিপি)। সংগঠনটি জানায়, তাদের কাছে করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজপড়ুয়া বহু যুবতী সাহায্য চেয়ে হেল্পলাইন্সে যোগাযোগ করছেন। যোগাযোগকারীরা সম্ভ্রম নিয়ে ব্যবসা করতে চান। সেই অর্থ দিয়ে ওই শিক্ষার্থীরা তাদের ফি পরিশোধ করতে চান। ইসিপি বলেছে, এ বছর দেহদানের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনকারী এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা এরইমধ্যে এক-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বারাঙ্গনাদের অধিকারবিষয়ক ওই গ্রুপটি আরও জানায়, লকডাউন দেওয়ার ফলে অসংখ্য শিক্ষার্থী আর্থিক সংকটে পড়েছেন। ফলে দেহব্যবসার মাধ্যমে উপার্জনকারী তরুণী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী নিজের নগ্ন ছবি বিভিন্ন সাইটে বিক্রি করছে। প্রতিদিন এভাবে অর্থ উপার্জন এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরামর্শ চেয়ে প্রতিদিন আটজন যুবতী শিক্ষার্থী ওই ইসিপির কাছে ফোন করছেন। কেননা কোনো বার, দোকানপাট খোলা নেই। আগে সেখানে কাজ করে উপার্জন করতে পারতেন তারা। আবার কিছু কিছু ইউনিভার্সিটি এ খবর জানতে পেরে নিজেদের শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখতে কিভাবে নিরাপদে দেহ বিক্রি করতে হয় তার নির্দেশনাও দিয়েছে।

ইসিপির মুখপাত্র লরা ওয়াটসন বলেছেন, টিউশন ফি পরিশোধ করতে পতিতাবৃত্তিতে যুবতী শিক্ষার্থীদের যুক্ত হওয়ার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কমপক্ষে ৩০ হাজার পাউন্ড ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে এ পেশায় আসতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসিপি। তখন থেকেই তারা যৌনকর্মীদের প্রতি বৈষম্যের প্রতিবাদে, তাদের অধিকার আদায় ও নিরাপত্তা প্রদানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি।


আরও খবর