Logo
শিরোনাম

১০ বিভাগে বিএনপির সমাবেশ আজ

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ শনিবার ঢাকাসহ ১০ বিভাগে সমাবেশ করবে বিএনপি। এ দিন যুগপৎ আন্দোলনে থাকা বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দল এবং জোট রাজধানীর আটটি স্থানে সমাবেশ করবে। এ সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এবারও অহিংস কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। প্রাথমিকভাবে দেশব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করার পক্ষে মতামত দিয়েছেন আন্দোলনের কর্মসূচি চূড়ান্ত করার দায়িত্বে থাকা নেতারা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট নেতাদের সঙ্গে আরও আলোচনা করে কর্মসূচি চূড়ান্ত করবেন বলে দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

গত ২৫ জানুয়ারি সমাবেশ থেকে ১০ দফা দাবিতে বিভাগীয় সদরে সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল দলগুলো। যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি ঢাকার বাইরে ২৪ ডিসেম্বর এবং ঢাকায় ৩০ ডিসেম্বর পালিত হয়। দ্বিতীয় কর্মসূচি ১১ জানুয়ারি, তৃতীয় ১৬ জানুয়ারি এবং চতুর্থ দফায় ২৫ জানুয়ারি কর্মসূচি পালন করে বিএনপি এবং সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোট। এ ছাড়া এককভাবে বিএনপি রাজধানী ঢাকায় ২৮ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চার দিন পদযাত্রা কর্মসূচি করে।

এদিকে আজ শনিবারের পূর্বঘোষিত সমাবেশে শান্তিপূর্ণভাবে বড় ধরনের জমায়েত ঘটাতে গত কয়েকদিন ধরে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয়, মহানগর ও জেলা নেতারা দেশের বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ, উঠান বৈঠক ও প্রস্তুতি সভা করেছেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিব ভার্চুয়াল বৈঠক করেন সারাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নিয়ে।

বিএনপি নেতারা জানান, এ সমাবেশে বিপুল উপস্থিতি নিশ্চিত করতে মহানগর ও জেলায় ব্যাপক প্রচার চালানো হয়েছে। তারা আশা করছেন, প্রতিটি সমাবেশে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ঢল নামবে। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা গ্রেপ্তার এবং ঢাকার সমাবেশ প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় ১০ ডিসেম্বরের পর নেতাকর্মীরা ঝিমিয়ে পড়ে। এখান থেকে বিএনপিকে উজ্জীবিত করাই বিভাগীয় সমাবেশের লক্ষ্য। সমাবেশে উপস্থিতির মাধ্যমে আবারও সাংগঠনিক শক্তির জানান দিতে চায় বিএনপি।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শান্তিপূর্ণভাবে এ সমাবেশ সফল করতে কর্মসূচি ঘোষণার পরপর দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়। দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সমাবেশ সফলে প্রতিটি সাংগঠনিক বিভাগে অন্তত ৬ লাখ লিফলেট বিতরণ করা হয়। সমাবেশে যোগদানে উৎসাহিত ও দলের দাবি-দাওয়া বিষয়ে জনগণকে জানাতে ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, হাটবাজার, পাড়া-মহল্লায় পদযাত্রা, প্রচারপত্র বিতরণ, পথসভা, মিছিল ও গণসংযোগ করা হয়। গত ২৬ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থানীয় নেতারা ছাড়াও দলের কেন্দ্রীয় নেতারা গিয়ে প্রচারে অংশ নেন।

অপরদিকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দূরবর্তী জেলার নেতাকর্মীরা যাতে সমাবেশে যোগ দিতে না পারে- এ জন্য ক্ষমতাসীনদের দিক থেকে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেন, এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। খবর পেয়েছি, দূরবর্র্তী জেলার নেতাকর্মীদের আসার জন্য বাস ভাড়া দেওয়া হচ্ছে না।

এদিকে যানজট হবে- এ কারণ দেখিয়ে ফরিদপুর শহরের মধ্যে বিএনপিকে সমাবেশ আয়োজনের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একে কিবরিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সমাবেশ আয়োজনের জন্য দলীয় কার্যালয়ের সামনে শহরের কাঠপট্টি এলাকায় ফরিদ শাহ সড়ক কিংবা অম্বিকা ময়দানের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ করে দেওয়ায় বিকল্প হিসেবে সরকারি ইয়াছিন কলেজের মাঠ প্রস্তাব করা হয়েছিল। প্রশাসন সেটিও নাকচ করে দিলে পরবর্তী বিকল্প হিসেবে শহরের কমলাপুর মহল্লায় অবস্থিত ময়েজ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় মাঠের প্রস্তাব দিলে প্রশাসন সেটিও বাতিল করেছে। এখন অনিচ্ছা সত্ত্বেও কোমরপুর আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউট মাঠে সমাবেশ করতে হচ্ছে।

রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীতেও পছন্দের জায়গায় সমাবেশ করার অনুমতি পায়নি বিএনপি। রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ইশা জানিয়েছেন, রাজশাহী নগরীর বাটার মোড় এলাকা বরাদ্দ চেয়ে পুলিশে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু অনুমতি মেলেনি। তবে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে সোনাদীঘি মোড়ে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।

জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ঢাকা মহানগরে চারটি পদযাত্রায় নেতাকর্মী ছাড়াও খেটে খাওয়া মানুষের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। সরকারের অত্যাচার-নির্যাতন যত বাড়বে, আন্দোলন তত শক্তিশালী হবে। এর মধ্য দিয়েই অর্জিত হবে চূড়ান্ত বিজয়।

ঢাকার সমাবেশ : দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ করবে বিএনপি। ঢাকার সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সমমনা দল ও জোটগুলোর মধ্যে বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ, বেলা ১১টায় বিজয়নগর পানির ট্যাংক সংলগ্ন সড়কে ১২-দলীয় জোট, বেলা ১১টায় পুরানা পল্টনে ১২-দলীয় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, বিকাল ৩টায় পূর্ব পান্থপথের এফডিসি সংলগ্ন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বিকাল ৪টায় আরামবাগে মোস্তফা মোহসীন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরাম ও বাবুল সর্দার চাখারীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ পিপলস পার্টি, বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের (পূর্ব প্রান্তে) সামনে চার দলের গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য সমাবেশ করবে। এ ছাড়া ১৫ সংগঠনের সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট’ বেলা ১১টায় পুরানা পল্টন মোড়ে সমাবেশ করবে বলে জানায় জোটের সমন্বয়কারী মুহাম্মদ সাইদুর রহমান।

যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি গণমিছিল ছাড়া আর কোনো কর্মসূচি পালন করেনি জামায়াতে ইসলামী। আজও আনুষ্ঠানিকভাবে দলটির কোনো কর্মসূচি নেই।

ঢাকার বাইরে : ঢাকার বাইরে স্থায়ী কমিটির নেতাদের মধ্যে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন কুমিল্লায় (টাউন হল ময়দান) ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, রাজশাহীতে (সোনা মসজিদ মোড়) মির্জা আব্বাস, খুলনায় (সিটি করপোরেশনের সামনে সোসাইটি মোড়) গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, বরিশালে (জেলা স্কুল মাঠ) ড. আবদুল মঈন খান, চট্টগ্রামে (মহানগর বিএনপি অফিসের সামনে) নজরুল ইসলাম খান, ময়মনসিংহে (পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠ) আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিলেটে (রেজিস্ট্রার মাঠ) সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে ফরিদপুরে (কমলপুর হাইস্কুল মাঠ) বরকত উল্লাহ বুলু, রংপুরে (মহানগর বিএনপি অফিসের সামনে) মোহাম্মদ শাহজাহান। বিএনপির দপ্তর সূত্র জানায়, প্রতিটি বিভাগে সমাবেশের প্রস্তুতির কাজ শেষ পর্যায়ে।

নিউজ ট্যাগ: বিএনপির সমাবেশ

আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর