Logo
শিরোনাম

১০০ মহাসড়ক উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২১ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

দেশের ৫০টি জেলায় ১০০টি জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা মহাসড়ক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব মহাসড়কের মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২ হাজার ২১ কিলোমিটার। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব মহাসড়ক উদ্বোধন করেন তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত ছিল টাঙ্গাইল ও খুলনা জেলা। বাকি জেলাগুলো প্রজেক্টরের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছে। গণভবন প্রান্ত থেকে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

২০২১ কিলোমিটার মহাসড়কের মধ্যে ২০৬ দশমিক ৫৪ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক, ৬২১ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং ১১৯৩ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার জেলা মহাসড়ক। এসব মহাসড়ক নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা।

১০০ মহাসড়কের নামের তালিকা:

ঢাকা প্রশাসনিক বিভাগ (মোট সড়ক সংখ্যা: ৩২টি)

১ জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা সড়ক

২ এলঙ্গা-জামালপুর জাতীয় মহাসড়ক

৩ সালনা (রাজেন্দ্রপুর)-কাপাসিয়া-টোক-মঠখোলা মহাসড়ক

৪ মাওনা-ফুলবাড়ীয়া-কালিয়াকৈর-ধামরাই-নবীনগর (ঢুলিভিটা) মহাসড়ক

৫ হেমায়েতপুর-সিংগাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক

৬ জিঞ্জিরা-কেরাণীগঞ্জ-নবাবগঞ্জ-দোহার-শ্রীনগর মহাসড়ক (কদমতলী থেকে জনি টাওয়ার লিংকসহ)

৭ ইজতেমা মহাসড়ক (আর-৩০৩)

৮ ভবেরচর-গজারিয়া-মুন্সীগঞ্জ জেলা মহাসড়ক

৯ জিরাবো-তৈয়বপুর-দিয়াখালী-তাজপুর জেলা মহাসড়ক

১০ মাতুয়াইল-নিউটাউন-কোনাপাড়া-মানিকান্দি-শেখেরজায়গা জেলা মহাসড়ক

১১ তুরাগ-রুহিতপুর-বাউরভিটা জেলা মহাসড়ক (জেড-৫০৫৯)

১২ শ্রীপুর-বৈরাগীরচালা জেলা মহাসড়ক

১৩ কালীগঞ্জ-তুমুলিয়া-উলুখোলা জেলা মহাসড়ক

১৪ গোলড়া-সাটুরিয়া জেলা মহাসড়ক

১৫ নিমতলী-সিরাজদিখান-কাকালদী জেলা মহাসড়ক

১৬ মুন্সীগঞ্জ (হাসাড়া)-আলমপরি-শিবরামপুর-(সিরাজদীখান)-নওয়াবপুর (কাসুর) জেলা মহাসড়ক

১৭ শিবপুর-দুলালপুর-লাকপুর-হাতিরদিয়া জেলা মহাসড়ক

১৮ জিহাসতলা-শেখেরচর জেলা মহাসড়ক

১৯ রাজবাড়ি-বাগমারা জৌকুড়া ফেরিঘাট সংযোগ সড়ক

২০ আহ্লাদীপুর-রাজবাড়ি-পাংশা-কুমারখালী-কুষ্টিয়া সড়ক (তত্ত্বীপুর-মাচমাড়া অংশসহ)

২১ শরীয়তপুর-নড়িয়া (ভোজেস্বর বাইপাসসহ) সড়ক

২২ বোয়ালমারি (সাতৈর) মোহাম্মাদপুর সড়ক

২৩ রাজবাড়ী-বালিয়াকান্দি-জামালপুর-মধুখালী সড়ক

২৪ বিজয়পাশা-তালারহাট-জয়নগরঘাট সড়ক

২৫ গোয়ালন্দ (জামতলা) গোদারবাজার-পাংশা-হাবাসপুর সড়ক

২৬ ভাঙ্গাব্রীজ-বোতলা-কমলাপুর-আইসার-ধামুসা-পিরেরবাড়ী-সড়ক

২৭ পাকুল্লা-দেলদুয়ার-এলাসিন সড়ক প্রশস্তকরণ (দেলদুয়ার-এলাসিন অংশ)

২৮ ভাতকুড়া (করটিয়া)-বাসাইল-সখিপুর সড়ক প্রশস্তকরণ (ভাতকুড়া-বাসাইল অংশ)

২৯ টাঙ্গাইল-দেলদুয়ার সড়ক

৩০ ঘাটাইল (পোড়াবাড়ী)-শালিয়াজানী-গোপালপুর-সরিষাবাড়ী (জগন্নাথগঞ্জ) সড়ক

৩১ ভরাডোবা-সাগরদিঘী-ঘাটাইল-ভূঞাপুর সড়ক

৩২ উজানপুর-বাজিতপুর-অষ্টগ্রাম সড়ক

ময়মনসিংহ প্রশাসনিক বিভাগ (মোট সড়ক সংখ্যা: ৬টি)

৩৩ ইসলামপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিস-হাকিম চেয়ারম্যানবাড়ি-ঋষিপাড়া সড়ক

৩৪ নান্দাইল-আঠারবাড়ী-কেন্দুয়া সড়ক

৩৫ ময়মনসিহ-গফরগাঁও-টোক সড়ক

৩৬ নেত্রকোণা-পূর্বধলা-হোগলা-ধোবাউড়া সড়ক (জেড-৩৭০৭) (নেত্রকোনা-নারায়নডহর পর্যন্ত)

৩৭ ত্রিশাল-বালিপাড়া-নান্দাইল (কানুরামপুর) সড়ক

৩৮ ভালুকা-গফরগাঁও-হোসেনপুর সড়ক

চট্টগ্রাম প্রশাসনিক বিভাগ (মোট সড়ক সংখ্যা: ১৫টি)

৩৯ হাটহাজারী-ফটিকছড়ি-মানিকছড়ি-মাটিরাঙ্গা-খাগড়াছড়ি সড়ক

৪০ বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-নারায়নহাট-ফটিকছড়ি সড়ক (হেঁয়াকো-ফটিকছড়ি অংশ)

৪১ রাউজান-বাহ্মনছড়ি (শহীদ জাফর সড়ক)

৪২ প্রীতিলতা সড়ক (পটিয়া-বোয়াখালী-কানুনগোপাড়া সড়ক)

৪৩ মইজ্জারটেক-বোয়ালখালী-কানুনগোপাড়া-উদরবন্যা সড়ক

৪৪ মইজ্জারটেক-বিএনডিসি মৎস বন্দর ফেরীঘাট সড়ক

৪৫ ইয়াংচা-মানিকপুর-শান্তিবাজার সড়ক

৪৬ লক্ষ্মীপুর-চরআলেকজান্ডার-সোনাপুর সড়ক

৪৭ সোনাপুর (মান্নাননগর)-চরজববর-ষ্টীমারঘাট সড়ক

৪৮ ভূঁঞারহাট-চেয়ারম্যানঘাট সড়ক

৪৯ সোনাইমুড়ী-সেনবাগ-কল্যান্দী সড়ক

৫০ চাঁপাপুর-টমছমব্রিজ-বার্ড-কালিরবাজার-বরুড়া সড়ক

৫১ নিমসার-বরুড়া সড়ক

৫২ খাজুরিয়া-পয়েলগাছা-বরুড়া সড়ক

৫৩ লাকসাম (বিনয়ঘর)-বাইয়ারাবাজার-ওমরগঞ্জ-নাঙ্গলকোট সড়ক

সিলেট প্রশাসনিক বিভাগ (মোট সড়ক সংখ্যা: ৪টি)

৫৪ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক [পূর্বের নাম: সিলেট (ওসমানী বিমানবন্দর বা্ইপাস)-সালুটিকর-কোম্পানীগঞ্জ সড়ক]

৫৫ কুলাউড়া-পৃথিমপাশা-হাজীপুর-শরিফপুর জেলা মহাসড়ক (জেড-২৮২২)

৫৬ চুনারুঘাট-সাটিয়াজুড়ী-নতুনবাজার সড়ক

৫৭ সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক

খুলনা প্রশাসনিক বিভাগ (মোট সড়ক সংখ্যা: ১৬টি)

৫৮ যশোর-বেনাপোল সড়ক

৫৯ দৌলতদিয়া-ফরিদপুর (গোয়ালচামট)-মাগুরা-ঝিনাইদহ-যশোর-খুলনা-মোংলা (দ্বিগরাজ) সড়ক (মাগুরা শহর অংশ)

৬০ খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা সড়ক (খুলনা অংশ)

৬১ খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা সড়ক (সাতক্ষীরা অংশ)

৬২ নওয়াপাড়া-বাগেরহাট-পিরোজপুর সড়ক

৬৩ আহলাদিপুর-রাজবাড়ী-পাংশা-কুমারখালী-কুষ্টিয়া (চৌরহাস) সড়ক

৬৪ চড়াইকোল আর-৭১১-শিলাইদহ লিংক রোড সড়ক

৬৫ বাগেরহাট-চিতলমারী সড়ক

৬৬ চিতলমারী-পাটগাতী (টুঙ্গিপাড়া) সড়ক

৬৭ আড়পাড়া-কালিগঞ্জ সড়ক (ঝিনাইদহ অংশ)

৬৮ আড়পাড়া-কালিগঞ্জ সড়ক (মাগুরা অংশ)

৬৯ আড়পাড়া-শালিখা সড়ক

৭০ খালিশপুর-মহেশপুর-দত্তনগর-জিন্নানগর-যাদবপুর সড়ক

৭১ চুড়ামনকাঠি-চৌগাছা সড়ক

৭২ নড়াইল-ফুলতলা সড়ক

৭৩ কচুয়া (পিংগুরিয়া)-তেলিগাতী-হেরমা-রামপাল সড়ক

রংপুর প্রশাসনিক বিভাগ (মোট সড়ক সংখ্যা: ১৫টি)

৭৪ খানসামা-রানীরবন্দর সড়ক

৭৫ বীরগঞ্জ-খানসামা-দারোয়ানী সড়ক

৭৬ চিরিরবন্দর-আমতলী বাজার সড়ক

৭৭ বীরগঞ্জ-কাহারোল সড়ক

৭৮ পঞ্ছগড়-গোয়ালপাড়া-রুহিয়া

৭৯ গাইবান্ধা-গোবিন্দগঞ্জ ভায়া নাকাইহাট জেলা মহাসড়ক

৮০ সোনাহাট সেতু এ্যাপ্রোচ হতে সোনাহাট স্থলবন্দর পর্যন্ত সড়ক

৮১ নীলফামারী বাইপাস সড়ক

৮২ রানীসংকৈল-হরিপুর সড়ক

৮৩ জয়পুরহাট-রাজাবিরাট-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক

৮৪ ধূপণী বেলকা সড়ক

৮৫ দারিয়াপুর-কামারজানি সড়ক

৮৬ মধুপুর-শ্যামপুর জেলা মহাসড়ক

৮৭ সাহেবগঞ্জ-হারাগাছ জেলা মহাসড়ক

৮৮ লালমনিরহাট-মোঘলহাট সড়ক

রাজশাহী প্রশাসনিক বিভাগ (মোট সড়ক সংখ্যা: ৮টি)

৮৯ জয়পুরহাট-আক্কেলপুর-বদলগাছি সড়ক

৯০ ক্ষেতলাল-গোপিনাথপুর-আক্কেলপুর সড়ক

৯১ নন্দিগ্রাম -তালোড়া-দুপচাঁচিয়া-আক্কেলপুর জেলা মহাসড়ক

৯২ নন্দিগ্রাম-কালিগঞ্জ-রাণীনগর জেলা মহাসড়ক

৯৩ হরিশপুর বাইপাস মোড় হতে বনবেলঘরিয়া বাইপাস মোড় সড়ক

৯৪ রাজশাহী-নওহাটা-চৌমাসিয়া সড়ক

৯৫ সিরাজগঞ্জ-কড্ডা-সমেশপুর সড়ক

৯৬ উল্লাপাড়া-লাহিড়ীমোহনপুর-ভাঙ্গুড়া (ময়দানদিঘী বাজার) সড়ক

বরিশাল প্রশাসনিক বিভাগ (মোট সড়ক সংখ্যা: ৪টি)

৯৭ বরিশাল-ঝালকাঠি-ভান্ডারিয়া-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক

৯৮ পটুয়াখালী-আমতলী-বরগুনা-কাকচিড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক

৯৯ মাদারীপুর-পাথারিয়ারপাড়-ডাসার-আগৈলঝড়া জেলা মহাসড়ক

১০০ গুইংগারহাট-চরপাতাস্কুল-দলিলখাঁর হাট-দৌলতখান হ্যালিপ্যাড-দৌলতখান বাজার জেলা মহাসড়ক

এর আগে, গত ৭ নভেম্বর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে দেশের ২৫টি জেলায় নবনির্মিত ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী সভাপতি শেখ হাসিনা।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর