Logo
শিরোনাম

১১ মে: ইতিহাসের এই দিনে

প্রকাশিত:বুধবার ১১ মে ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১৩৮৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আজ ১১ মে ২০২২, বুধবার। ২৮ বৈশাখ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ। গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ১৩১ তম দিন। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ইতিহাসে আজকের ঘটনাবলী:

৩৩০ কনস্তানতিপল রোম সাম্রাজ্যের নতুন রাজধানী হয়।

৯১২ আলেকজান্ডার বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সম্রাট হন।

১৭৪৫ অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও হল্যান্ডের মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে ফরাসি বাহিনী জয়যুক্ত হয়।

১৮১২ ইংল্যান্ডের কমন্স সভায় প্রধানমন্ত্রী স্পন্সার পারসিভেল নিহত।

১৮৫৭ সিপাহী বিদ্রোহ: সৈনিকরা ব্রিটিশদের কাছ থেকে দিল্লি অধিকার করে নেয়।বাহাদুর শাহকে সম্রাট ঘোষণা।

১৮৬৭ লুক্সেমবার্গ স্বাধীনতা অর্জন করে।

১৯৩৫ জার্মানীর বার্লিন শহরে প্রথম টেলিভিশন প্রেরণ যন্ত্র আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে এবং এর মাধ্যমে প্রথমবারের মত পৃথিবীতে টেলিভিশনের অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হয়।

১৯৪০ জার্মান বাহিনীর আগ্রাসনের শিকার বেলজিয়ামকে রক্ষা করার জন্য বৃটিশ ও ফরাসী সেনাদের যৌথ বাহিনী বেলজিয়ামে প্রবেশ করে।

১৯৪৯ ইসরায়েল জাতিসংঘে যোগ দেয়।

১৯৭২ বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় মেক্সিকো।

১৯৮৫ কুরআন দিবস: কুরআনের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জে আট জন পুলিশের গুলিতে শাহাদাত বরণ করেন।

১৯৯৪ ফিলিস্তিনি পুলিশ গাজায় এলে ২৭ বছরের ইজরায়েলি দখলদারির অবসান ঘটে।

১৯৯৭ দাবাখেলুড়ে কম্পিউটার ডীপ ব্লু প্রথমবারের মতো বিশ্বজয়ী দাবাড়ু হিসেবে গ্যারি কাসপারভকে পরাজিত করে।

১৯৯৮ ভারত সরকার দেশটির মরুরাজ্য রাজস্থানের ভূগর্ভে ৩টি পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালায়।

২০১৬ বাংলদেশের শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

২০১৮ বাংলাদেশ সরকার তাদের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ ১১ মে ২০১৮ ইডিটি, বাংলাদেশ মান সময় ১২ মে ভোর ০২:১৪ তে কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করে ।

২০১৮ আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দল তাদের ইতিহাসের প্রথম টেস্ট ম্যাচে অংশগ্রহণ করে । তবে প্রথম দিন মেঘে ভেসে যাওয়ায় কোনো খেলা এদিন গড়ায়নি ।

ইতিহাসে আজকে যাদের জন্ম:

১৮৫৪ জন্মগ্রহণ করেছিলেন জ্যাক ব্ল্যাকহাম, তিনি ছিলেন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। (মৃ. ১৯৩২)

১৮৬৪ জন্মগ্রহণ করেছিলেন এটেল লিলিয়ান উইনিচ, তিনি ছিলেন বৃটিশ লেখিকা ৷

১৮৮৮ জন্মগ্রহণ করেছিলেন আসফ আলী, তিনি ছিলেন উর্দু কবি, সাংবাদিক আইনজ্ঞ।

১৮৮৮ জন্মগ্রহণ করেছিলেন আরভিং বার্লিন, তিনি ছিলেন মার্কিন পপ গানের রাজা।

১৮৯২ জন্মগ্রহণ করেছিলেন মার্গারেট রাদারফোর্ড, তিনি ছিলেন ইংরেজ অভিনেত্রী। (মৃ. ১৯৭২)

১৯০৪ জন্মগ্রহণ করেছিলেন সালভাদর দালি, তিনি ছিলেন স্পেনীয় চিত্রকর। (মৃ. ১৯৮৯)

১৯১৬ জন্মগ্রহণ করেছিলেন নীরদ মজুমদার, তিনি ছিলেন চিত্রশিল্পী।

১৯১৬ জন্মগ্রহণ করেছিলেন কামিলো হোসে সেলা, তিনি ছিলেন এস্‌পানিয়ার ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার ও প্রাবন্ধিক, নোবেল বিজয়ী। (মৃ. ২০০২)

১৯১৮ জন্মগ্রহণ করেছিলেন রিচার্ড ফাইনম্যান, তিনি ছিলেন মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী, নোবেল বিজয়ী। (মৃ. ১৯৮৮)

১৯২৪ জন্মগ্রহণ করেছিলেন অ্যান্টনি হিউইশ, তিনি ছিলেন ব্রিটিশ রেডিও জ্যোতির্বিজ্ঞানী, নোবেল বিজয়ী।

১৯৩০ জন্মগ্রহণ করেছিলেন এড্সগার ডাইকস্ট্রা, তিনি ছিলেন ওলন্দাজ কম্পিউটার বিজ্ঞানী। (মৃ. ২০০২)

১৯৪১ জন্মগ্রহণ করেন ইয়ান রেডপাথ, তিনি ছিলেন অস্ট্রলীয় ক্রিকেটার।

১৯৬৭ জন্মগ্রহণ করেন সু গার্ডনার, তিনি উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক।

১৯৭৩ জন্মগ্রহণ করেন জেমস হ্যাভেন, তিনি মার্কিন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক।

১৯৮৪ জন্মগ্রহণ করেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, তিনি স্পেনীয় ফুটবলার।

ইতিহাসে আজকে যাদের মৃত্যু:

১৯১৫ মৃত্যুবরণ করেন ভাই বালমুকুন্দ, তিনি ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী ও অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী।

১৯১৫ মৃত্যুবরণ করেন বসন্তকুমার বিশ্বাস, তিনি ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী ও অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী।

১৯৮১ মৃত্যুবরণ বব মার্লে, তিনি ছিলেন জামাইকান রেগে শিল্পী, গীটার বাদক ও গীতিকার।

১৯৮৫ মৃত্যুবরণ করেন কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনি ছিলেন বাঙালি শিক্ষাবিদ, ভাষাতত্ত্ববিদ ও খ্রিষ্টধর্মপ্রচারক। (জ. ১৯৩১)

১৯৯৬ মৃত্যুবরণ করেন নামডি আযিকিওে, তিনি ছিলেন নাইজেরিয়ান সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ ও ১ম প্রেসিডেন্ট।

১৯৯৯ মৃত্যুবরণ করেন একবাল আহমাদ, তিনি ছিলেন পাকিস্তানি লেখক, সাংবাদিক, ও যুদ্ধবিরোধী কর্মী। (জ. ১৯৩৩/৩৪)

২০০৩ মৃত্যুবরণ করেন আর্নি তোশ্যাক, তিনি ছিলেন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। (জ. ১৯১৪)

২০০৪ মৃত্যুবরণ করেন আল্ফ ভ্যালেন্টাইন, তিনি ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার।

২০১৬ মৃত্যুবরণ করেন টনি কোজিয়ার, তিনি ছিলেন বার্বাডীয় ক্রিকেট সাংবাদিক, লেখক ও রেডিও ধারাভাষ্যকার। (জ. ১৯৪০)


আরও খবর

২০ ফেব্রুয়ারি: ইতিহাসের এই দিনে

সোমবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০23

১৯ ফেব্রুয়ারি : ইতিহাসের এই দিনে

রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর