প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের লক্ষ্যে ১২ থেকে ১৩ জনের নামের তালিকা করেছে সার্চ কমিটি। রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বৈঠক শেষে এ কথা জানান কমিটির প্রধান আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
তিনি বলেন, আজকের
বৈঠকে আমরা ১২-১৩ জনের নাম প্রস্তুত করতে পেরেছি। আগামী ২২ তারিখ রাষ্ট্রপতির কাছে
সুপারিশের জন্য ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করা হবে। আশা করছি ২৪ ফেব্রুয়ারি আমরা তা রাষ্ট্রপতির
কাছে জমা দিতে পারব।
এর আগে সুপ্রিম
কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে বৈঠক শুরু হয়।
এই কমিটির জমা দেয়া তালিকা থেকেই একজনকে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার’ এবং চারজনকে ‘নির্বাচন কমিশনার’ পদে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। অবশ্য শনিবার সার্চ কমিটি যে ২০ জনের নামের তালিকা প্রাথমিকভাবে তৈরি করেছে, সেখানে কারা রয়েছেন সে বিষয়টি জানানো হয়নি।
বৈঠকে অংশ নিয়েছেন
সার্চ কমিটির সভাপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, কমিটির সদস্য হাইকোর্ট বিভাগের
বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, সরকারি
কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ
ছহুল হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
এই কমিটি গত ১২
ফেব্রুয়ারি কয়েক দফায় বিশিষ্ট জনদের মতামত নেয় সার্চ কমিটি। বিশিষ্ট জনদের মতামত নিতে
পরদিন ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলেও বৈঠক হয়। দুদিনের সভায় অধ্যাপক, গণমাধ্যমের শীর্ষ পর্যায়ের
ব্যক্তি, সরকারি সাবেক কর্মকর্তা, সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা, পেশাজীবী সংগঠনের
নেতাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন।
পরে সার্চ কমিটির
কাছে আসা ৩২২ জনের নামের তালিকা করা হয়। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
থেকে এসব নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। পরদিন চার সাংবাদিকের সঙ্গে বৈঠকে বসে সার্চ
কমিটি।
প্রধান নির্বাচন
কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠনে
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ
কমিটি গঠন করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আইন অনুযায়ী কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য ১০ জনের নামের তালিকা সুপারিশ করতে হবে।