Logo
শিরোনাম

১৩ অক্টোবর: ইতিহাসের এই দিনে

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৫৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে যুগোশ্লাভিয়ার বিখ্যাত নেতা মার্শাল টিটো সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনা বাহিনীর সহায়তায় জার্মানীর দখলে থাকা যুগোশ্লাভিয়ার রাজধানী বেলগ্রেড মুক্ত করতে সক্ষম হন।

১৩ অক্টোবর গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ২৮৬তম (অধিবর্ষে ২৮৭তম) দিন। বছর শেষ হতে আরো ৭৯ দিন বাকি রয়েছে। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনাবলি

    খ্রিষ্টপূর্ব ৫৩৯ - ইরানে হাখামানেশিয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সাইরাস ইরাকের ঐতিহাসিক বাবেল শহর দখল করে।

    ৬৩৫ - খালিদ বিন ওয়ালিদ সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক জয় করেন।

    ১৫৫৬ - মোগল সম্রাট আকবরের রাজত্বকালের সূচনা হয়।

    ১৭৭০ - তামার পয়সার বদলে আনির প্রচলন শুরু হয়।

    ১৭৯২ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।

    ১৮১২ - কুইন্সটন হাইডমের যুদ্ধ শুরু হয়।

    ১৮১৫ - সিসিলির রাজা জোযামিন মোরাটের মুত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

    ১৮৮৪ - ওয়াশিংটন সম্মেলনে গ্রিনউইচ সার্বজনীন মেরুমধ্যরেখা হিসেবে গৃহীত হয়।

    ১৯২৩ - আঙ্কারাকে তুরস্কের নতুন রাজধানী ঘোষণা করা হয়।

    ১৯৩৭ - চীনের জাতীয় বিপ্লবী বাহিনীর নতুন চতুর্থ আর্মী প্রতিষ্ঠিত হয়।

    ১৯৪৩ - ইতালি জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

    ১৯৪৪ - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে যুগোশ্লাভিয়ার বিখ্যাত নেতা মার্শাল টিটো সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনা বাহিনীর সহায়তায় জার্মানীর দখলে থাকা যুগোশ্লাভিয়ার রাজধানী বেলগ্রেড মুক্ত করতে সক্ষম হন।

    ১৯৪৬ - মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও লর্ড ওয়াডেল এর ফলপ্রসূ আলোচনার পর নিখিল ভারত মুসলিম লীগ ওয়ার্কিং কমিটি কর্তৃক অন্তবর্তীকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থমন্ত্রীর পদে যোগদানের প্রস্তাব গ্রহণ করেন।

    ১৯৬২ - যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে পানামা খাল অঞ্চল নতুন পানামা খালের সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার জন্যে একটি উদযাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

    ১৯৬৬ - শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ছয় দফা আন্দোলন চলাকালে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান অস্ত্র প্রয়োগের ভয় দেখালে তিনি এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান।

    ১৯৮৯ - আধুনিক বিশ্বের বৃহত্তম ব্রোঞ্জ বৌদ্ধ মূর্তি ২৬.৪ মিটার উঁচু থিয়েনথান বৌদ্ধমূর্তির নির্মাণকাজ হংকংয়ের তায়ুএ পাহাড়ে সমাপ্ত হয় ।

    ১৯৯০ - ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও তাত্ত্বিক লে দাক থো মৃত্যুবরণ করেন।

    ১৯৯১ - বাংলার প্রাচীন প্রেক্ষাগৃহ স্টার থিয়েটার আকস্মিক অগ্নিকান্ডে ভস্মীভূত হয়।

    ১৯৯৪ - মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র প্রমাণ করে যে, যুক্তরাষ্ট্রের সারাদেশে কমপক্ষে কয়েক হাজার লোক যুক্তরাষ্ট্রের একটি ব্যক্তিগত আইসক্রিম কোম্পানির উৎপাদিত আইসক্রিম খাওয়ার ফলে বিষক্রিয়ার ঘটনা ঘটে , কিন্তু কেউ মারা যায় নি ।

    ১৯৯৭ - পাঁচ দিনের সফরে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জেমস টি উলফেনসন ঢাকা আগমন করেন।

    ১৯৯৯ - ভারতে হিন্দুত্ববাদী দলের নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন।

    ২০০১ - ভারতীয় সংসদ ভবনে আতঙ্কবাদী হামলা - সব আতঙ্কবাদী সমেত মোট ১৫ জনের মৃত্যু

    ২০০২ - বাঙালি মহীয়সী নারী এবং সংগ্রামী কৃষক নেত্রী ইলা মিত্র মৃত্যুবরণ করেন।

    ২০০৪ - ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি কার্ডিয়াক সেন্টারের যাত্রা শুরু হয়।

    ২০০৬ - শান্তিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংকের নোবেল পুরস্কার লাভ।

    ২০২০ - বাংলাদেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করে "নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ" জারি করা হয়।

 

জন্ম

    ১৮৬২ - পর্যটক ও লেখক মেরি কিংসলে জন্মগ্রহণ করেন।

    ১৮৯০ - কনরাড রিক্টার, মার্কিন ঔপন্যাসিক।

    ১৯১১ - অশোক কুমার, ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা।

    ১৯২৫ - মার্গারেট থ্যাচার, লৌহমানবী হিসেবে খ্যাত যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

    ১৯৩৮ - হুগো ইয়াং, ইংরেজ সাংবাদিক ও লেখক।

    ১৯৪৮ - নুসরাত ফতেহ আলি খান, পাকিস্তানি কাওয়ালি সঙ্গীত শিল্পী।

    ১৯৭৯ - ওয়েস ব্রাউন, ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড়।

    ১৯৯৪ - লিটন দাস, বাংলাদেশী ক্রিকেটার।

 

মৃত্যু

    ১৮২২ - আন্তেনিও কানোভা, ইতালীয় ভাস্কর।

    ১৮৮২ - জোযেফ আর্থার গোবিনো, ফরাসী দার্শনিক ও লেখক।

    ১৯১১ - ভগিনী নিবেদিতা, (আসল নাম মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল), অ্যাংলো-আইরিশ বংশোদ্ভূত ভারতহিতৈষী সমাজকর্মী, লেখিকা, শিক্ষিকা এবং স্বামী বিবেকানন্দের শিষ্যা।

    ১৯৬৪ - প্রেমাঙ্কুর আতর্থী, কথাশিল্পী, সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা।

    ১৯৬৪ - গোলাম মোস্তফা, বাঙালি কবি।

    ১৯৭১ - আবদুল মোনেম খান, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর।

    ১৯৮৩ - অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিনেতা, নাট্যকার ও নাট্য পরিচালক।

    ১৯৮৭ - কিশোর কুমার, ভারতীয় বাঙালি অভিনেতা ও গায়ক।

    ১৯৮৭ - অমলেন্দু বিশ্বাস, বাংলাদেশী যাত্রা অভিনেতা ও পরিচালক।

    ২০০২ - ইলা মিত্র, বাঙালি মহীয়সী নারী, তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী।

    ২০০৬ - ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক, ছোটোগল্পকার ও প্রাবন্ধিক প্রতিভা বসু।

    ২০০৭ - ওবায়েদ উল হক, সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রকার।

    ২০১৩ - জনপ্রিয় বাঙালি সাহিত্যিক চিত্তরঞ্জন মাইতি।

    ২০২০ - রশীদ হায়দার, একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশি লেখক, কথাসাহিত্যিক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, নজরুল ইনস্টিটিউটের সাবেক নির্বাহী পরিচালক।

 

ছুটি ও অন্যান্য

    আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস৷


আরও খবর

২০ ফেব্রুয়ারি: ইতিহাসের এই দিনে

সোমবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০23

১৯ ফেব্রুয়ারি : ইতিহাসের এই দিনে

রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৮৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর