Logo
শিরোনাম

১৬ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে ইউজিসির সতর্কতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৮ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১৭৯০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

দেশে অননুমোদিত ভবন বা ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, অননুমোদিত প্রোগ্রাম, মামলা-মোকদ্দমাসহ নানা সমস্যা রয়েছে এমন ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ (আপডেট) করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। চলতি ভর্তি মৌসুম সামনে রেখে সম্প্রতি এই হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। তালিকায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক বা জনসাধারণের সচেতনতার্থে ইউজিসির ওয়েবসাইটে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের পাশে লাল তারকা চিহ্ন প্রদান করা হয়েছে।

এর আগে গত ২ জুন জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছিলেন, রাজধানীতে বেসরকারি আটটি বিশ্ববিদ্যালয় অবৈধ ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়া অবৈধ ক্যাম্পাস রয়েছে আরও দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের।

ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, উচ্চশিক্ষায় ভর্তির এই সময়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সতর্ক করতেই সম্প্রতি ওয়েবসাইটের তালিকাটি হালনাগাদ করা হয়েছে। সেখানে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের পাশে লাল তারকা চিহ্ন প্রদান করা হয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে ভর্তি হতে হবে। পরে কোনো সমস্যায় পড়লে দায়ভার নেবে না ইউজিসি। দেশে বর্তমানে ১০৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন আছে।

এ ব্যাপারে মঙ্গলবার (৮ জুন) ইউজিসির (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, সম্প্রতি সংসদে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অবৈধ ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং দুটিতে অবৈধ ক্যাম্পাস থাকার কথা বলেছেন।

অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্যা রয়েছে তা সম্প্রতি আপডেট করে ইউজিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের পাশে লাল তারকা চিহ্ন প্রদান করা হয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে অননুমোদিত ক্যাম্পাস অথবা প্রোগ্রামসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে।

ইউজিসির দেওয়া তালিকা অনুযায়ী, অবৈধ ভবনে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি এবং নর্দান ইউনিভার্সিটি।

এ দিকে, দেশের ৩ বিশ্ববিদ্যালয়ে অননুমোদিত প্রোগ্রাম পরিচালিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। এরমধ্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি প্রোগ্রামের অনুমোদন নিয়ে সেই প্রোগ্রামের আড়ালে আরও ১০টি প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ বলে জানিয়েছে ইউজিসি। অননুমোদিত প্রোগ্রামগুলো হলো- বিবিএ ইন জেনারেল, বিবিএ ইন ফিন্যান্স, বিবিএ ইন এইচআরএম, বিবিএ ইন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস, বিবিএ ইন মার্কেটিং, বিবিএ ইন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম, বিবিএ ইন অ্যাকাউন্টিং, বিবিএ ইন ইকোনমিক্স, বিবিএ ইন এন্টারপ্রেনিউরশিপ এবং বিবিএ ইন সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট।

গণবিশ্ববিদ্যালয়ে অননুমোদিতভাবে পরিচালিত বিবিএ, পরিবেশ বিজ্ঞান, এমবিবিএস, বিডিএস এবং স্কাইকোথেরাপি প্রোগ্রামগুলো হাইকোর্ট ডিভিশন ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে পরবর্তী ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। এ স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়টি এসব প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ইন কুরআনিক সায়েন্স অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ প্রোগ্রামটি অননুমোদিতভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, ব্রিটেনিয়া ইউনিভার্সিটি, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও কুইন্স ইউনিভার্সিটিতে মালিকানা দ্বন্দ্ব রয়েছে। এছাড়া ইবাইস ইউনিভার্সিটির দুজন মালিক একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরমধ্যে একটি গ্রুপ ধানমন্ডি, অন্য গ্রুপ উত্তরায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। একসময় কোর্টের রায়ে ধানমন্ডি বাড়ি নম্বর-২১/এ, সড়ক নম্বর-১৬ (পুরাতন-২৭), ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯ ঠিকানাটি কমিশনের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছিল। ওই স্থগিতাদেশের কার্যকারিতা ভ্যাকেট হয়ে যাওয়ায় ইবাইস ইউনিভার্সিটির ওই ঠিকানা কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে বাতিল করা হয়। তাই বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোনো ঠিকানা নেই। আর দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লায় শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় শুরুর অনুমতি দেওয়া হয়নি।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের Civil Petition for Leave to Appeal No. 1967/2018 (out of Writ petition no. 4263/2018) এর আদেশ অনুযায়ী দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লার ঠিকানা এবং প্রোগ্রামগুলো ইউজিসির ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশনা চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে। কমিশন থেকে শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় শুরুর অনুমতি এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।

এ দিকে, সরকার কর্তৃক নতুন করে অনুমোদন দেওয়া ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুমতি পায়নি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- রূপায়ন এ কে এম শামসুজ্জাহা বিশ্ববিদ্যালয়, আহসানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খান বাহাদুর আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহ মখদুম ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটি, মাইক্রোল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং আর টি এম আল কবির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংসদে বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০২০ এর ধারা ১৩ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে প্রদত্ত সাময়িক সনদে উল্লেখিত স্থানে/শহরের বাইরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা পরিচালনার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু রাজধানীতে বেসরকারি আটটি বিশ্ববিদ্যালয় অবৈধ ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

তিনি বলেন, এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে অননুমোদিত ভবনগুলো বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থী, অভিভাবক বা জনসাধারণের সচেতনতার্থে ইউজিসির ওয়েবসাইটে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের পাশে লাল তারকা চিহ্ন প্রদান করা হয়েছে এবং গণবিজ্ঞপ্তিতেও এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

ব্যবস্থা গ্রহণের প্রসঙ্গ টেনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ এবং নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ পরিদর্শনপূর্বক তদন্ত করার জন্য অতি সম্প্রতি ইউজিসি কমিটি গঠন করেছে। পাশাপাশি কমিটির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কমিটি গঠন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আর উত্তরা ও বনানীতে ইবাইস বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি অবৈধ ক্যাম্পাস এবং উত্তরায় দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লার একটি অবৈধ শাখা রয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর