Logo
শিরোনাম

১৯ অক্টোবর: ইতিহাসের এই দিনে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | ২৫৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image
১৯৯৬ - বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সোনারগাঁয়ে শিল্পাচার্য জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর-এর উদ্বোধন হয়

১৯ অক্টোবর গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ২৯২তম (অধিবর্ষে ২৯৩তম) দিন। বছর শেষ হতে আরো ৭৩ দিন বাকি রয়েছে। জেনে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি, জাতীয় দিবস সমূহ এবং এই দিনে কোন কোন বিশিষ্টজন জন্মগ্রহণ ও মৃত্যু বরণ করেছেন।

 

ঘটনাবলি

    ১৩৮৬ - জার্মানীর সর্বাপেক্ষা প্রাচীন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

    ১৩৮৬ - ওসমানীয় বাহিনী বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়া দখল করে।

    ১৭৮১ - যুক্তরাষ্ট্রে ব্রিটিশ সেনা প্রধান লর্ড কর্ণওয়ালিস মার্কিন সেনা প্রধান জর্জ ওয়াশিংটনের কাছে আত্মসমর্পণ করার মাধ্যমে আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের অবসান ঘটে।

    ১৮১২ - প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার কারণে নেপোলিয়ন মস্কো ত্যাগে বাধ্য হন।

    ১৮৮৮ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন।

    ১৯২৩ - কামাল পাশার নেতৃত্বে আধুনিক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র তুর্কি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

    ১৯৪২ - চলচ্চিত্রবিষয়ক প্রথম মাসিক পত্রিকা চিত্রপঞ্জি প্রকাশিত হয়।

    ১৯৪৪ - ফিলিপাইনে মার্কিন সেনাদের সাথে জাপানী সৈন্যদের সংঘর্ষ শুরু হয়।

    ১৯৫০ - জাতিসংঘ বাহিনী উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ং ইয়ং দখল করে।

    ১৯৫১ - ব্রিটেন সুয়েজ খান অঞ্চল অধিকার করে।

    ১৯৫৪ - একদল অস্ট্রেলীয় অভিযাত্রী কর্তৃক পৃথিবীর ষষ্ঠ উচ্চতম পর্বত চো ওইয়ু বিজয়।

    ১৯৬২ - ভারত-চীন সীমান্ত সংঘর্ষ শুরু হয়।

    ১৯৬৫ - চীন-নেপাল আনুষ্ঠানিক প্রত্যক্ষডাক-ব্যবস্থা চালু হয় ।

    ১৯৭২ - বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় হন্ডুরাস।

    ১৯৭২ - বাংলাদেশ ইউনেস্কোর সদস্যপদ লাভ করে।

    ১৯৭৩ - স্পেনে বন্যায় ২শ লোকের প্রাণহানি ঘটে।

    ১৯৭৬ - ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আলী হাসান সালামাহ্ ইহুদীবাদী ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মুসাদের ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে লেবাননে শাহাদাত বরণ করেন।

    ১৯৭৭ - দক্ষিণ আফ্রিকার ১৮ টি বর্ণবাদ বিরোধী সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা।

    ১৯৮৩ - বামপন্থী সামরিক অভ্যুত্থানে গ্রেনেডার প্রধানমন্ত্রী মবিশ নিহত।

    ১৯৮৬ - দক্ষিণ আফ্রিকার সীমান্তে বিমান দুর্ঘটনায় মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট সামোর মাশেল ৩০ জন সহযাত্রীসহ নিহত হন।

    ১৯৮৮ - ভারতে পৃথক বিমান দুর্ঘটনায় ১৬৪ জন নিহত।

    ১৯৯১ - বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারের অবসান হয়।

    ১৯৯৩ - পিপলস পার্টির নেত্রী বেনজীর ভুট্টো দ্বিতীয় বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়।

    ১৯৯৬ - বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক সোনারগাঁয়ে শিল্পাচার্য জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর-এর উদ্বোধন হয়।

    ১৯৯৬ - পেইচিংয়ে চীনের প্রথম হট এয়ারশীপ চীন ১ নম্বর” সাফল্যের সঙ্গে আকাশে উড়ে ।

 

জন্ম

    ১৬০৫ - টমাস ব্রাউন, ইংরেজ সাহিত্যিক।

    ১৮৬৪ - ওগ্যুস্ত ল্যুমিয়ের, ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চলচ্চিত্রের অগ্রদূত।

    ১৮৭০ - মাতঙ্গিনী হাজরা, ভারতীয় বিপ্লবী, স্বাধীনতা আন্দোলনের শহিদ।

    ১৮৭৭ - নিরালম্ব স্বামী, প্রকৃত নাম যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ ঘোষের সহযোগী ভারতের জাতীয়তাবাদী স্বাধীনতা সংগ্রামী।

    ১৮৯৭ - সেলিমুজ্জামান সিদ্দিকী, পাকিস্তানি শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী।

    ১৮৯৯ - গুয়াতেমালার নোবেলজয়ী (১৯৬৭) কথাশিল্পী মিগুয়েল আনজেল আন্তুরিয়াস ।

    ১৯০৩ - রাইচাঁদ বড়াল, প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি সুরশিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক।

    ১৯১০ - সুব্রহ্মণ্যন চন্দ্রশেখর, ব্রিটিশ ভারতে জন্মগ্রহণকারী মার্কিন জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী।

    ১৯২৪ - নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, ভারতীয় বাঙালি কবি।

    ১৯২৮ - বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরী ।

    ১৯৬১ - সানি দেওল, ভারতীয় অভিনেতা ও প্রযোজক।

    ১৯৮৩ - রেবেকা ফার্গুসন, সুয়েডীয় অভিনেত্রী।

 

মৃত্যু

    ১৭৪৫ - ইংরেজ সাহিত্যিক জোনাথন সুইফট ।

    ১৯২২ - চন্দ্রশেখর মুখোপাধ্যায়,যশস্বী বাঙালি লেখক।

    ১৯৩৬ - মহান চীনা সাহিত্যিক লু স্যুন।

    ১৯৩৭ - আর্নেস্ট রাদারফোর্ড, নিউজিল্যান্ডীয় নিউক্লীয় পদার্থবিজ্ঞানী।

    ১৯৭২ - কিথ জনসন, বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট প্রশাসক।

    ১৯৭৪- ফররুখ আহমদ,বাঙালি কবি।

    ১৯৮৭ - লোকগীতি সংগ্রাহক ও সম্পাদক মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন।

    ১৯৯৫ - শিল্পপতি জহুরুল ইসলাম।

    ২০০৩ - বসনিয়ার বিশিষ্ট লেখক ও রাজনীতিবিদ আলী ইজ্জাত বেগুভিচন।

    ২০০৪ - কেনেথ আইভার্সন, টুরিং পুরস্কার বিজয়ী কম্পিউটার বিজ্ঞানী।

    ২০১৪ - বাংলাদেশের ইতিহাসবিদ ও জাতীয় অধ্যাপক সালাহ্উদ্দীন আহমদ ।

    ২০১৮ - প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর।

 

ছুটি ও অন্যান্য

    মাদার টেরিজা দিবস - আলবেনিয়া।


আরও খবর

২০ ফেব্রুয়ারি: ইতিহাসের এই দিনে

সোমবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০23

১৯ ফেব্রুয়ারি : ইতিহাসের এই দিনে

রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর