ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিল (আইবিসি) শ্রম আইন সংশোধনী কমিটিতে এর প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তকরণ, গার্মেন্টস শিল্প সেক্টরের জন্য নতুন নিম্নতম মজুরি কাঠামো ঘোষণার জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১৪০(ক) ধারা মতে উদ্যোগ গ্রহণ ও শ্রমিকদের ২০ রমজানের মধ্যে সব বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবি জানিয়েছে।
সোমবার (৪ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে অয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। সম্মেলনে আইবিসির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল আলম রাজু শ্রম আইন সংশোধন বিষয়ে লিখিত বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধনের লক্ষ্যে সরকার গত মাসে মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠন করেছে। কমিটির ১৮ জন সদসস্যের মধ্যে ১১ জন সরকার পক্ষের। আর মালিক পক্ষের মাত্র তিনজন।
‘আবার সেই তিনজনের মধ্যে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প সেক্টর (বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ) থেকেই দুজন প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। অথচ আইবিসি তৈরি পোশাক শিল্পের বৃহত্তর শ্রমিক সংগঠনের জোট হলেও এই জোট থেকে কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি।’
শ্রমিকদের মজুরি ও অন্যান্য ভাতা পরিশোধের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, কতিপয় পোশাক কারখানা প্রতি বছর প্রায়ই ঈদের পূর্বে শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ না করে পালিয়ে যান অথবা টালবাহানা করেন। এতে অনেক শ্রমিকের আনন্দের ঈদ মুহুর্তেই বিষাদে পরিণত হয়। এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে সতর্ক ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান তিনি।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে সরকার গার্মেন্টস শিল্প সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরি হার ঘোষণা করলে এই সেক্টরের মালিকরা উৎপাদন বৃদ্ধির নামে শ্রমিকদের ওপর অত্যধিক কাজের চাপ বাড়ায়। এতে শ্রমিকদের প্রকৃত মজুরি তেমন বাড়েনি।
সংবাদ সম্মেলনে নিম্নতম মজুরি ঘোষণার দাবি জানিয়ে আইবিসির পক্ষ থেকে বলা হয়, মজুরির হার ঘোষিত হওয়ার পরের তিন বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, করোনার প্রকোপসহ বিভিন্ন কারণে শ্রমিকদের জীবনযাত্রার ব্যয় অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছে।