মর্মান্তিক প্লেন দুর্ঘটনা যেনো নেপালের পিছু ছাড়ছে না। দেশটিতে প্লেন বিধ্বস্তের ঘটনা প্রায়ই খবরের শিরোনাম হচ্ছে। প্রাণ হারাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। রবিবার (১৫ জানুয়ারি) নেপালে আবারও প্লেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত ৬৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মূলত নেপালের বিমান পরিবহনখাত দুর্ঘটনায় জর্জরিত। দেশটিতে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে জটিল ও দূরবর্তী রানওয়ে। সুউচ্চ পর্বতের কারণে দক্ষ পাইলটদেরও পড়তে হয় চ্যালেঞ্জেরে মুখে। ২০১০ সালের পর নেপালে প্লেন দুর্ঘটনার তথ্য-
মে ২৯, ২০২২: এদিন পশ্চিম নেপালের পোখারায় তারা এয়ারের একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয়। ওই ঘটনায় নিহত হয় ২২ জন।
এপ্রিল ১৪, ২০১৯: একটি ছোট প্লেন মাউন্ট এভারেস্টের কাছে উড্ডয়নের সময় রানওয়ে থেকে সরে যায় ও একটি পার্ক করা হেলিকপ্টারকে আঘাত করে। ওই ঘটনায় তিনজন নিহত ও চারজন আহত হয়।
মার্চ ১২, ২০১৮: বাংলাদেশের ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয় নেপালে। সে দুর্ঘটনায় ৭১ আরোহীর মধ্যে প্রাণ হারান ৫১ জন। এটি কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াভহ দুর্ঘটনা ছিল।
ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৬: তারা এয়ার দ্বারা পরিচালিত একটি টুইন অটার প্লেন মায়াগদি জেলার একটি পাহাড়ের কাছে বিধ্বস্ত হয়, এতে ২৩ জন আরোহী নিহত হয়।
ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৪: আরঘাখাঞ্চি জেলায় নেপাল এয়ারলাইন্সের একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয়। ওই ঘটনায় ১৮ জন নিহত হন।
সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১২: এদিন মাউন্ট এভারেস্টমুখী একটি প্লেন নেপালের রাজধানীর কাছে বিধ্বস্ত হয়। এতে প্লেনে থাকা সব আরোহী নিহত হন।
মে ১৪, ২০১২: উত্তর নেপালের জোমসমের বিমানবন্দরের কাছে ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের বহনকারী অগ্নি এয়ারের একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৫ জন মারা যায়, তবে ছয়জন অলৌকিকভাবে রক্ষা পায়।
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১১: মাউন্ট এভারেস্টের চারপাশে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া একটি ছোট প্লেন কাঠমান্ডুর কাছে পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে ১৯ জনের সবাই মারা যায়।ডিসেম্বর ১৫, ২০১০: নেপালের পূর্বাঞ্চলে একটি যাত্রীবাহী প্লেন বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় প্লেনে থাকা যাত্রী ও ক্রুসহ ২২ জন প্রাণ হারান।
আগস্ট ২৪, ২০১০: কাঠমান্ডুর কাছে খারাপ আবহাওয়ায় একটি ছোট অগ্নি এয়ারের প্লেন বিধ্বস্ত হয়, এতে ১৪ জনের সবাই মারা যায়।