২০২০ সালের ভয়ঙ্কর ৪ ধর্ষণের ঘটনা

আতশবাজির আলোতে ঝলমলে রাজধানী
রবিবার ০১ জানুয়ারী ২০২৩
রসগোল্লার জন্মদিন আজ
মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২
গুলির ঘটনার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে নিজেই গুলিতে নিহত


যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অরল্যান্ডোতে গুলি চালিয়ে এক নারীকে হত্যা করেছিলেন এক ব্যক্তি। সেই খবর সংগ্রহ করতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন একটি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যান। হঠাৎ করে সন্দেহভাজন হত্যাকারী হাজির হয়ে আবারও গুলি চালান। এতে নিহত হন ওই সাংবাদিক। প্রাণ যায় নয় বছরের এক শিশুর। ওই সন্দেহভাজন হামলাকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার সকালে, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার মধ্যাঞ্চলের পাইন হিলে। সেখানকার অরেঞ্জ কাউন্টির শেরিফ জন মিনা বলেন, গুলি চালিয়ে তিনজনকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কেইথ মেলভিন মোজেস নামের এক তরুণকে আটক করা হয়েছে। তাঁর বয়স ১৯ বছর।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত নারীর বয়স ২০ বছর। সকালে তাঁকে গুলি করে হত্যার পর ঘটনাস্থল থেকে চলে যান কেইথ। পরে সেখানে পুলিশ ও সাংবাদিকেরা যান। বিকেলে ঘটনাস্থলে তথ্য সংগ্রহে যান স্থানীয় স্পেকট্রাম নিউজ ১৩ চ্যানেলের এক সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যান।
ওই সময় কেইথ ঘটনাস্থলে ফিরে এসে আবারও গুলি চালান। এতে গুলিবিদ্ধ হন ওই সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যান। পরে পাশের একটি বাড়িতে ঢুকে গুলি ছোড়েন কেইথ। এতে গুলিবিদ্ধ হন এক নারী ও তাঁর নয় বছর বয়সী মেয়ে। দ্রুত তাঁদের সবাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে শিশুটি এবং ওই সাংবাদিকের মৃত্যু হয়।
শেরিফ জন মিনা জানান, এই ঘটনায় শুরুতে নিহত নারীর সঙ্গে সন্দেহভাজন হামলাকারী কেইথের আগে থেকেই পরিচয় ছিল। তবে হতাহতো অন্যদের তিনি চিনতেন না।
পুলিশের পক্ষ থেকে হতাহত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। প্রাথমিকভাবে এই হত্যাকাণ্ডের কারণও জানা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। আটক কেইথের আগে থেকেই অপরাধে সম্পৃক্ততার ইতিহাস রয়েছে।
ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’
শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩
ক্রেডিট সুইসের মন্দায় বিশ্বের ব্যাংকিং খাতে নতুন সঙ্কটের শঙ্কা
বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বছরপূর্তি


এক বছর আগে ইউক্রেনের সীমান্ত এবং রাজধানী কিয়েভের দোরগোড়ায় সর্বাত্মক আক্রমণের জন্য রুশ সেনারা প্রবেশ করে। মস্কো আশা করেছিল দ্রুত জয় পাওয়া সম্ভব হবে। কিন্তু এই যুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, ইউক্রেনের পতন হয়নি, হার মানেনি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে প্রাণঘাতী এই যুদ্ধে ইউক্রেনীয়দের প্রতিরোধ প্রশংসিত হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যে অনেকেই কিয়েভের পতন আশঙ্কা করলেও পরিকল্পনা, সাহস, কৌশল, বিদেশি সামরিক ও আর্থিক সহযোগিতা এবং রণক্ষেত্রে রাশিয়ার ব্যর্থতা মিলে এখন পর্যন্ত ইউক্রেন শত্রুদের ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছে।
বলা হচ্ছে, ২০২২ সালের শেষ দিকে একাধিক ব্যর্থতার পর ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণে রাশিয়া অবস্থান শক্তিশালী করেছে। সম্প্রতি এসব অঞ্চলে আরও সামান্য অগ্রগতি অর্জন করেছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেন ও পশ্চিমারা বলছে, আরেকটি বড় আক্রমণের অংশ এসব অভিযান। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত করতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ বলে মনে হচ্ছে। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় রুশ অর্থনীতি বিপর্যয়ে পড়েনি এবং সংঘাতে মোতায়েন করার মতো লোকবল ও অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে রুশ সেনাবাহিনীর। এখন পর্যন্ত রাশিয়া প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নেতৃত্বাধীন ছোট শক্তির ইউক্রেনকে আক্রমণ করে যাচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের মুখ হয়ে উঠেছেন জেলেনস্কি। নিজ দেশের জনগণের পক্ষে বিশ্বনেতাদের কাছে আর্জি জানাচ্ছেন তিনি। আর ইউক্রেনীয় সেনাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ‘লৌহ জেনারেল’ হিসেবে পরিচয় পাওয়া ভ্যালেরি জালুঝনি।
কিয়েভে কোনও আত্মতুষ্টি নেই। যুক্তরাষ্ট্র ধারণা করছে, চলমান যুদ্ধে উভয় পক্ষের প্রায় ১ লাখ মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। পূর্বাঞ্চলে পরিখা যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ভয়াবহ হচ্ছে। শীতকালে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর ফলে শীতে লাখো ইউক্রেনীয় বিদ্যুৎহীন বা উষ্ণতা ছাড়াই কাটিয়েছেন।
বেসামরিক ভবনে আঘাত হেনেছে ক্ষেপণাস্ত্র। এর মধ্যে গত মাসে ডনিপ্রোর একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৪৪ জন নিহত হয়েছে। ফেব্রুয়ারির মাসের শুরুতে জেলেনস্কি এক ভিডিও বার্তায় বলেছিলে, পরিস্থিতি কঠিন হয়ে পড়েছে।
ইউক্রেন আশঙ্কা করছে, রাশিয়া আক্রমণ জোরদার করতে পারে। এই আশঙ্কা মাথায় রেখে হুমকি মোকাবিলার জন্য বিদেশিদের কাছ থেকে ট্যাংক, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দ্রুত পাওয়ার জন্য তদবির করছে কিয়েভ। এগুলো পেয়ে গেলে জেলেনস্কি ও ইউক্রেনের চাওয়ার তালিকায় রয়েছে যুদ্ধবিমান। কয়েকটি মিত্র দেশ যুদ্ধবিমান সরবরাহে রাজি আছে। কিন্তু মূল অংশীদার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ‘না’ বলে দিয়েছেন।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে লাখো রুশ সেনা ইউক্রেনে প্রবেশ করে। প্রথম দিনে দক্ষিণে খেরসন এবং খারকিভের দিকে সহজেই অগ্রসর হয়। তবে তাদের মূল্য টার্গেট ছিল রাজধানী কিয়েভ। শহরটির ৩০ লাখ মানুষকে অবরোধ, জেলেনস্কিকে বন্দি বা হত্যা করে দ্রুত ইউক্রেনের আত্মসমর্পণের প্রত্যাশা ছিল রাশিয়ার। কিন্তু কিয়েভে রুখে দাঁড়ায় ইউক্রেনীয় ন্যাশনাল গার্ড। শহরের প্রবেশ পথগুলোতে ট্যাংক-বিধ্বংসী ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বলা হয় পেট্রোলবোমা দিয়ে রুশদের ওপর হামলা চালানোর জন্য। প্রথম দিকে কিয়েভের ভেতরে অনিশ্চয়তা ছিল। ছিল আতঙ্কও। বাইরে ছিল রাশিয়ার বিশাল ও দীর্ঘ সামরিক বহর। যা ছিল ৪০ মাইল দীর্ঘ। মনে হচ্ছিল কিয়েভের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু সব প্রতিকূলতার পরও রুশবাহিনী কিয়েভের বাইরেই আটকে যায়।
রুশ সেনারা ইরপিন ও বুচা শহরে পৌঁছায় ঠিকই। কিয়েভের পূর্ব দিকে ব্রোভারিতেও লড়াই হয়েছে। এই তিনটি শহর এখন রুশ নৃশংসতার সাক্ষী হয়ে আছে। শহরের বাইরে রাশিয়া এমন হত্যাযজ্ঞ চালালেও কিয়েভের পতন হয়নি। ইউক্রেনীয় সেনারা প্রস্তুতি নেয় এবং রাশিয়ার রসদ সরবরাহ ব্যবস্থায় আঘাত হানতে সক্ষম হয়। এর ফলে উড়োজাহাজে রুশ সেনারা অবতরণ করতে ব্যর্থ হয়, ধ্বংস হয় রাশিয়ার সাঁজোয়া যান এবং রণাঙ্গন কখনও শহরের ভেতরে আসেনি।
জেলেনস্কি, অনুপ্রেরণাদায়ী নেতা: একদা অভিনেতা, এখন প্রেসিডেন্ট, ইউক্রেনের দৃঢ় প্রতিরোধের মুখ হয়ে উঠেছেন তিনি। গত বছরজুড়ে খুব কম সময় মুখে হাসি ছিল সাবেক এই টেলিভিশন তারকার। পশ্চিমা কর্মকর্তাদের ধারণা, কয়েক হাজার সামরিক ও বেসামরিক প্রাণহানি হয়েছে, লাখো মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছেন। পূর্বাঞ্চল বলা যায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
এমন সংকটকালীন সময়েও কিয়েভ ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় নেননি তিনি। প্রতিদিন রাতে আইফোনের মাধ্যমে ভিডিও বক্তব্য প্রচার করেছেন। লড়াইয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সহযোগিতার জন্য বিশ্বনেতাদের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। নিশ্চিত করেছেন যাতে করে ইউক্রেনীয়দের দুর্ভোগ থেকে বিশ্বের মনোযোগ চলে না যায়। ইউক্রেন যে যুদ্ধে লিপ্ত তা মনে করিয়ে দিতে সব সময় খাকি পোশাক পরছেন ৪৫ বছর বয়সী জেলেনস্কি। ২০২২ সালে টাইম সাময়িকীর ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। বিশ্বনেতাদের সমর্থন ও সহযোগিতা নিশ্চিত করার ফলে সক্ষমতা বাড়ে। আর তাতে আসতে শুরু করে সাফল্য।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র দিয়ে এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইউক্রেনের পাশে থেকেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দ্রুত ইউক্রেনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। ২০২২ সালে ইউক্রেন ৩২ বিলিয়ন ডলার বিদেশি সহযোগিতা পেয়েছে বাজেট ঘাটতি দূর করার জন্য। জানুয়ারি মাসের শেষ দিক পর্যন্ত শুধু যুক্তরাষ্ট্রই ২৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি নিরাপত্তা সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। মার্কিন নিরাপত্তা সহযোগিতার মধ্যে ছিল অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, হিমার্স রকেট লঞ্চার ব্যবস্থা। এগুলো দিয়ে রাশিয়ার অস্ত্র গুদাম, সেনা ও রসদে দূর থেকে হামলা চালাতে পেরেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
অত্যাধুনিক যুদ্ধের ট্যাংকের জন্য ইউক্রেনের তদবিরও সফল হয়েছে। যদিও রণাঙ্গনে এগুলো মোতায়েনে কিছুটা সময় লাগবে। অবশ্য কয়েকজন বিশেষজ্ঞ যুদ্ধের এগুলোর বড় প্রভাব ফেলার বিষয়ে সন্দিহান। পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে ব্রিটেন, জার্মানি ও পোল্যান্ড বড় ধরনের সহযোগিতা করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেক কম।
আক্রমণ ও পাল্টা-আক্রমণ: রুশবাহিনীর কৌশলগত ভুল এবং নৈতিক দুর্বলতা কিয়েভকে পাল্টা-আক্রমণের সুযোগ দিয়েছে। পশ্চিমা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেনকে খাটো করে এবং নিজেদের সেনাবাহিনীর সামর্থ্যকে বড় দেখেছে মস্কো। রাশিয়ার সেনাবাহিনীর তুলনায় ইউক্রেনের বাহিনী অনেক ছোট। কিন্তু তারা সর্বাত্মক হামলার আশঙ্কা করছিল। দক্ষিণ ও উত্তর-পূর্ব দিকে দ্রুত এগোলেও মূল লক্ষ্য কিয়েভ দখলে ব্যর্থ হয় তারা। ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষাবাহিনী কিয়েভের কাছাকাছি হস্তোমেল বিমানঘাঁটি বন্ধ করে দেয়। এর ফলে রাশিয়া আকাশপথে সেনা ও সরঞ্জাম আনতে পারেনি। সড়ক পথে হাজারো সাঁজোয়া যান নিয়ে কিয়েভের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে তা জটিলতায় পড়ে। ইউক্রেন এই বহরে হামলা চালিয়ে রুশবাহিনীকে কিয়েভ দখলের লক্ষ্য বাদ দিয়ে ফেরত আসতে বাধ্য করে।
পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলছেন, যেসব জায়গায় রাশিয়া অগ্রগতি অর্জন করেছে সেগুলোও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। এর ফলে শরতের পাল্টা আক্রমণে বিশাল ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে তারা। মার্কিন হিমার্সসহ পশ্চিমাদের পাঠানো রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় থাকা রুশ গুদাম ও ব্যারাক ঝুঁকিতে পড়ে যায়। ইউক্রেন ও রাশিয়া এখন পূর্বাঞ্চলে ক্ষয়যুদ্ধে লিপ্ত। ভারী লড়াইয়ের মধ্যে রাশিয়া নিয়মিত ছোট ছোট সাফল্য পাওয়ার দাবি করে যাচ্ছে।
সম্প্রতি সেখানে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে। ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয়েই বসন্তকালীন বড় অভিযান শুরু করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্বাধীন থাকার জন্য ইউক্রেনীয় জনগণের আকাঙ্ক্ষা অব্যাহত রয়েছে। মাসের পর মাস ধরে অবিরাম ও ভয়াবহ হামলার পরও রাশিয়ার বিরুদ্ধে সহনশীলতায় অটল ছিলেন ইউক্রেনীয়রা। ২০২২ সালের অক্টোবরে কিয়েভ ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব সোসিওলজির জরিপের তথ্য অনুসারে, ৮৬ শতাংশ ইউক্রেনীয় রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান প্রতিরোধকে সমর্থন করেন।
রুশ আক্রমণের পর ৮০ লাখের বেশি ইউক্রেনীয় নিজেদের মাতৃভূমি ছেড়েছেন। জাতিসংঘের লিপিবদ্ধ তথ্য অনুসারে, যুদ্ধের উভয়পক্ষের ৮ হাজারের বেশি বেসামরিক নিহত হয়েছে। যারা দেশ ছেড়ে যাননি তাদের জীবন ছিল বিপর্যস্ত। লুকিয়ে রাখা মাইন ছিল নাগরিকদের জীবনের জন্য হুমকি। জাতিসংঘের তদন্তে উঠে এসেছে, বাড়ি-ঘর, স্কুল ও হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংস হয়েছে। রুশ দখলকৃত এলাকায় ধর্ষণ, নির্যাতন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ও শিশুদের বন্দি করার মতো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামোতে রুশ হামলা যুদ্ধাপরাধ কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ক্রেমলিন অবশ্য বেসামরিকদের টার্গেট করার অস্বীকার করে আসছে।
সহনশীলতার জন্য ইউক্রেনীয়দের প্রশংসা করে যাচ্ছেন বিশ্বনেতারা। এই সাহসিকতার আড়ালে ১ কোটি মানুষ, প্রতি চারজন ইউক্রেনীয়ের একজন, সংঘাতের কারণে মানসিক স্বাস্থ্যজনিত জটিলতায় পড়েছেন বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যে বলা হয়েছে। ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের এক বছর প্রায় পূর্ণ হতে চললেও এর সমাধান দৃশ্যমান হচ্ছে না। ইউক্রেনে যারা রয়ে গেছেন তাদেরকেই যুদ্ধের বেশিরভাগ বোঝা বহন করতে হচ্ছে, দৈনন্দিন জীবন চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
রণক্ষেত্র থেকে দূরের শহরের মানুষেরা এখনও বিমানহামলার সংকেত শুনতে শুনতে দোকানপাট খুলছেন। বড়দিনের বাজার খুলেছে। রেস্তোরাঁগুলোতে নিজেরা রান্না করা শিখছেন, বিদ্যুৎ না থাকলেও অতিথিদের আপ্যায়ন করা হচ্ছে। যারা লড়াইয়ের খুব কাছাকাছি থাকে তারা বেঁচে থাকার জন্য অনেক দূরে নতুন জীবন চায়। লাখ লাখ ইউক্রেনীয়ও বিদেশে শরণার্থী হিসেবে তাদের জীবন পুনরায় গড়ে তুলছে। কিন্তু জনগণ যত দিন দেশকে রক্ষা করছে তত দিন ইউক্রেন টিকে থাকবে।
ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’
শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩
ক্রেডিট সুইসের মন্দায় বিশ্বের ব্যাংকিং খাতে নতুন সঙ্কটের শঙ্কা
বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩
যুদ্ধে হেরে গেলে রাশিয়া বিলীন হয়ে যাবে


ইউক্রেন যুদ্ধে নিয়ে বোমা ফাটালেন রাশিয়ার
সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রুশ ফেডারেশনের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের উপ-প্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ।
তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এই যুদ্ধে হেরে গেলে রাশিয়া ‘বিলীন’ হয়ে যাবে।
রাশিয়ায় পুতিনের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের
উপ-প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মেদভেদেভ। এর আগে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট হিসেবে
চার বছর দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় পুতিন ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ
সম্পর্ক তার। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর নিজেকে কট্টর
যুদ্ধবাজ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন মেদভেদেভ।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) টেলিগ্রামে পোস্টে মেদভেদেভ বলেন, মস্কো যদি ইউক্রেন থেকে বিজয় লাভ না করে বিশেষ সামরিক অভিযান বন্ধ করে দেয়, তাহলে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দিলে যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবে। গত মঙ্গলবার পোল্যান্ডে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বক্তব্যের পরই এমন এ কথা বললেন রাশিয়ার এই সাবেক প্রেসিডেন্ট।
বাইডেন তার ভাষণে বলেছিলেন, মস্কো যদি
ইউক্রেনে হামলা বন্ধ করে তাহলেই যুদ্ধের অবসান ঘটবে। আর ইউক্রেন যদি রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে
আত্মরক্ষা বন্ধ করে দেয়, তবে কিয়েভের পতন ঘটবে।
এর প্রতিক্রিয়া মেদভেদভেদ বলেন, নিজেদের
দেশের সমস্যায় থাকা সত্ত্বেও, কেন তিনি অন্য দেশের কাছে সহায়তার জন্য আবেদন করেন? কেন
রাশিয়ার নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রের নেতাকে বিশ্বাস করবে, যিনি ২০ এবং ২১ শতকে সবচেয়ে
বেশি যুদ্ধ চালিয়েছেন। আর আগ্রাসনের কথা বলে আমাদের তিরস্কার করবেন?
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি বাতিল করে ইউক্রেন নিয়ে পশ্চিমাদের প্রতি পারমাণবিক হুমকি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন সংঘাতকে বৈশ্বিক যুদ্ধে পরিণত করতে চাইছে বলে সতর্ক করে পুতিন বলেছেন, নতুন স্ট্র্যাটেজিক আর্মস রিডাকশন ট্রিটি (এসটিএআরটি) চুক্তিতে অংশগ্রহণ বাতিল করছে রাশিয়া। পুতিনের এমন পদক্ষেপকে ‘একটি অত্যধিক এবং অনিবার্য সিদ্ধান্ত’ বলে অভিহিত করেছেন মেদভেদেভ।
ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’
শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩
ক্রেডিট সুইসের মন্দায় বিশ্বের ব্যাংকিং খাতে নতুন সঙ্কটের শঙ্কা
বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩
ইন্দোনেশিয়ায় বড় হচ্ছে ইভির বাজার


ইন্দোনেশিয়ায় বিদ্যুৎচালিত গাড়ি (ইভি) বিক্রির পরিমাণ বাড়ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় অর্থনীতির এ দেশের বাজারে প্রবেশ করতে শুরু করেছে বিভিন্ন ইভি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার গাড়ি নির্মাতা হুন্দাই ও তার চীনা প্রতিদ্বন্দ্বী উলিংও।
চলতি বছর ইন্দোনেশিয়ার বাজারে ইভি বিক্রির পরিমাণ বাড়বে বলে প্রত্যাশার কথা জানিয়েছে কোম্পানিটি। গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় শুরু হওয়া ইন্টারন্যাশনাল মোটর শোতে বিদ্যুৎচালিত গাড়ির প্রদর্শন থেকেও দেশটির বাজারে ইভির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
এ মুহূর্তে ইন্দোনেশিয়ার বাজারে ইভি বিক্রির ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে উলিং মোটরস। কোম্পানিটির স্থানীয় নির্বাহী জানিয়েছেন, গত বছরের আগস্টে ইন্দোনেশিয়ায় এয়ার ইভি হ্যাচব্যাক মডেল বিক্রি শুরু করেন তারা। গত বছর বাকি সময়ে বিক্রি হয়েছে আট হাজার ইভি। চলতি বছর তা সহজেই ১০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। এসব গাড়ির দাম শুরু হয়েছে ১৬ হাজার ডলার থেকে। উলিংসহ অন্য কোম্পানির ইভি মিলিয়ে গত বছর ১০ হাজারের বেশি ইভি বিক্রি হয়েছে। এর আগে ২০২১ সালে বিক্রি হয়েছিল মাত্র ৬০০টি। সে হিসেবে গত বছরের পরিসংখ্যান অনেক এগিয়ে।
ইন্দোনেশিয়ার উলিং মোটরসের ভাইস প্রেসিডেন্ট আরিফ প্রামাদানা বলেন, ‘গত বছর খুব সহজেই বাজারের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল এয়ার ইভি। চলতি বছরটিও তেমন যাবে বলেই প্রত্যাশা করছি।’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার এ খাতের জন্য কিছু প্রণোদনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে ইভি চার্জ দেয়ার অবকাঠামোর সংখ্যাও। এসব কিছুই ইন্দোনেশিয়ার বাজারে বিদ্যুৎচালিত গাড়ির বিক্রি বাড়াচ্ছে। কেবল জাকার্তাতেই নয়, গোটা দেশেই বাড়ছে ইভি বিক্রি।
বিশ্বের অন্যতম নিকেল উৎপাদক দেশ ইন্দোনেশিয়া। যে উপাদানটি ইভি গাড়ির ব্যাটারি তৈরির মূল উপাদান। এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে ইন্দোনেশিয়ায়ই ব্যাটারি নির্মাণ কারখানা চালুর বিষয়ে নির্মাতাদের আকৃষ্ট করতে চেষ্টা করছে দেশটির সরকার। সেই সঙ্গে এটাও প্রচার করা হচ্ছে যে ২৭ কোটি মানুষের এ দেশটি ইভির ভবিষ্যৎ বাজার হিসেবে খুবই আকর্ষণীয়।
উলিং চলতি বছরই অন্তত একটি নতুন মডেলের ইভি ইন্দোনেশিয়ায়ই তৈরি করতে চায়। সেই সঙ্গে এশিয়ার দেশগুলোয় ইন্দোনেশিয়ায় উৎপাদিত ইভি বাজারজাত করারও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এজন্য পশ্চিম জাভার চিকারাং এলাকায় এয়ার ইভির যন্ত্রাংশ সংযোজনের কারখানা খোলা হয়েছে। এ কারখানায় ডান দিকে ড্রাইভিং হুইল থাকে এমন ইভি তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।
হুন্দাই মোটরও এ বছর ইন্দোনেশিয়ার বাজার নিয়ে আলাদা করে ভাবছে। চলতি বছর থেকেই ব্যবসা বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তারা। গত বছরের মার্চ থেকে চিকারাংয়ের কারখানায় আয়োনিক ফাইভ মডেলের ইভি উৎপাদন শুরু করেছে হুন্দাই। গত বছর দুই হাজারটির বেশি ইভি বিক্রি করেছে কোম্পানিটি। যদিও গত বছর চিপ সংকটের কারণে সময়মতো গাড়ি সরবরাহ করতে পারেনি হুন্দাই। তবে চলতি বছর সে সংকট কাটিয়ে ওঠার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’
শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩
ক্রেডিট সুইসের মন্দায় বিশ্বের ব্যাংকিং খাতে নতুন সঙ্কটের শঙ্কা
বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩
মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত রামাস্বামী


বিবেক রামাস্বামীর বয়স ৩৭ বছর। থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। পেশা প্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা, অধিকারকর্মী, বিনিয়োগকারী। ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় এসেছেন তিনি। রিপাবলিকান দল থেকে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতে চান ভারতীয়-আমেরিকান বিবেক।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের প্রাইম টাইম শোতে অংশ নিয়ে ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রার্থীতার লড়াইয়ে নামার ঘোষণা দেন বিবেক। গতকাল মঙ্গলবার এই অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়। প্রেসিডেন্ট হয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হারানো মর্যাদা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি চীনের ওপর অত্যধিক নির্ভরতা কমাতে চান।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে প্রার্থীতার লড়াইয়ে নামার ঘোষণা দিয়েছেন আরেক ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিক্কি হ্যালি। তিনি দক্ষিণ ক্যারোলাইনার দুবারের গর্ভনর এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে জাতিসংঘে মার্কিন দূত ছিলেন।
বিবেক অভিবাসী পরিবারের সন্তান। বিবেকের মা-বাবা ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছিলেন। ওহাইও অঙ্গরাজ্যে একটি ইলেকট্রিক প্ল্যান্টে কাজ করতেন তাঁরা।
২০১৪ সালে বিবেক রয়ভ্যান্ট সায়েন্সেস নামের একটি প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করে এই প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনি। গত বছর স্ট্রাইভ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন বিবেক।
ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিবেক বলেন, ‘আমরা সবাই আমেরিকাকে শীর্ষে দেখতে চাই। এ জন্য সবার আগে আমাদের আমেরিকা কী, তা বুঝতে হবে। এটাই আমার মূল লক্ষ্য। মেধাতন্ত্র থেকে বাক্স্বাধীনতার পথে, অভিজাততন্ত্র থেকে স্ব-শাসনের পথে যাত্রায় জাতিকে নেতৃত্ব দিতে চাই আমি।’
চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তারকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি মনে করেন বিবেক। তাঁর মতে, এটাই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান চ্যালেঞ্জ। তাই ক্ষমতায় গেলে পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নে চীনের প্রভাব থেকে দেশকে মুক্ত করার পদক্ষেপকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিবেক।
২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হিসেবে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লড়তে চান। তবে ইতিমধ্যেই ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন নিক্কি হ্যালি ও বিবেক রামাস্বামী। এ ছাড়া রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হিসেবে ফ্লোরিডার গর্ভনর রন ডিস্যান্টিস, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, সাইথ ক্যারোলাইনার সিনেটর টিম স্কটের নামও শোনা যাচ্ছে।
ট্রাম্প বললেন, ‘আই এম ব্যাক’
শনিবার ১৮ মার্চ ২০২৩
ক্রেডিট সুইসের মন্দায় বিশ্বের ব্যাংকিং খাতে নতুন সঙ্কটের শঙ্কা
বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩