দুই বাংলার অন্যতম অভিনেত্রী জয়া আহসানের কোনও ছবি নিয়ে এতো অনিশ্চয়তা তৈরি হয়নি। যেটা হয়েছে ‘বিউটি সার্কাস’ ঘিরে। যে ছবির একজন অভিনেতা এরমধ্যে প্রয়াতও হয়েছেন। প্রায় পাঁচ বছর পর অবশেষে স্বস্তির বাতাস বইতে শুরু করলো জয়া শিবিরে। ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে এই অভিনেত্রীকে ফের পাওয়া যাবে প্রেক্ষাগৃহে।
বাংলাদেশ সরকারের অনুদানপ্রাপ্ত (২০১৪-১৫), ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত চলচ্চিত্রটি নিবেদন করছে বসুন্ধরা গুঁড়া মশলা।
মাহমুদ দিদার বলেন, মুক্তির আগেই ‘বিউটি সার্কাস’ নিয়ে মানুষের প্রত্যাশা ও ভালোবাসা অভাবনীয়। চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের লড়াই শেষ হতে যাচ্ছে। যেহেতু সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র সে কারণেই সরকারের প্রতি দায়বোধ থেকে আমরা মাননীয় তথ্যমন্ত্রীর হাতে অফিসিয়াল পোস্টারটি উপহার হিসেবে তুলে দিয়েছি।
২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নওগাঁর সাপাহার ও মানিকগঞ্জে সার্কাসের বিশাল যজ্ঞে দুইশত জনের নির্মাণ সঙ্গী নিয়ে প্রায় দুই হাজার গ্রামবাসীর অংশগ্রহণে চিত্রধারণের কাজ করেন নির্মাতা। এর জন্য নির্মাতা বিশাল সার্কাস প্যান্ডেল নির্মাণ ও গ্রাম্যমেলার আয়োজন করেন। ২০১৭ সালে নির্মাণ শুরু হলেও চলচ্চিত্রটির ব্যাপ্তি ও নির্মাণের বৃহৎ আয়োজন সম্পন্ন করতে প্রায় পাঁচবছর সময় লাগে নির্মাতার। করোনা মহামারির কারণেও পিছিয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্রটির মুক্তি।চলচ্চিত্রটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। এর অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেন ফেরদৌস, তৌকীর আহমেদ, এবিএম সুমন, শতাব্দী ওয়াদুদ, গাজী রাকায়েত, হুমায়ূন সাধু (প্রয়াত), মানিসা অর্চি, প্রমুখ।
চলচ্চিত্রটিতে জয়া আহসান সেজেছেন সার্কাসকন্যা বিউটিরূপে। চলচ্চিত্রটি প্রসঙ্গে জয়া বলেন, আমি বলবো এই কাজটি আমার অভিনয় জীবনের খুব রোমাঞ্চকর কাজের একটি। অভিনয়শিল্প আপনাকে এমন কিছু জায়গায় নিয়ে যায় যেখানে আপনি আগে কোনোদিন যাননি আবার এমন কিছু চরিত্র প্রদর্শন করার সুযোগ করে দেয় যার অভিজ্ঞতাটাও একেবারে নতুন। এমনি একটি ভিন্নধর্মী চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ এসেছিল সার্কাস- প্রদর্শনকারী সেজে তাও আবার এক জম্পেশ সার্কাসের স্টেজে! সার্কাস এর এই পুরো অভিজ্ঞতাটাই আমার জন্য সম্পূর্ণ নতুন ছিল, সামনে থেকে কখনও দেখার সুযোগ হয়নি বলে।
চলচ্চিত্রটিতে ব্যবহৃত হয়েছে তিনটি গান। গানগুলো গেয়েছেন চিরকুট ব্যান্ডের শারমিন সুলতানা সুমী, অ্যাশেজ ব্যান্ডের ইভান ও টুনটুন বাউল।