Logo
শিরোনাম

২৪ ঘণ্টায় ২৩ জেলায় ১৭৪ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৭ অক্টোবর ২০২৩ | ১২২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামেগঞ্জে। পরিস্থিতির ভয়াবহতায় উচ্চঝুঁকিতে রাজশাহী, খুলনা, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল ও সাতক্ষীরা জেলা। এখন পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ১৭৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

রাজশাহী:

রাজশাহীতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা সবাই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৯২ শতাংশ।

খুলনা:

খুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনা ১৩০ শয্যার ডেডিকেটেড হাসপাতলে  ১০ জন, খুলনা জেনারেল হাসপাতালে  ৫ জন, আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ২ জন এবং বেসরকারি গাজী মেডিকেলে ৫ জন মারা গেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা ১০২ জনের করোনা শনাক্ত হয়।

বরিশাল:

বরিশালে গত ২৪ ঘণ্টায় শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ৭ জন মারা গেছে। শনাক্তের হার ৬৯ দশমিক ১৪ শতাংশ। জেলায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১৭৩ জন। বর্তমানে মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে ২১০ জন করোনা রোগী। এরমধ্যে ৪৯ জন করোনা ওয়ার্ডে বাকি ১৬১ জন আইসোলেসন ওয়ার্ডে।

পঞ্চগড়:

পঞ্চগড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ৪৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩২৫ জন। এ পর্যন্ত জেলায় ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছে ৮৭৮ জন।

টাঙ্গাইল:

টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ৬ জন মারা গেছেন। একই সময়ে ৫৪২টি নমুনা পরীক্ষায় ২৭৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৫১ দশমিক ১০ শতাংশ। এদিকে প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর  তালিকা দীর্ঘ হওয়ায় চিকিৎসকরা চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।

ফরিদপুর:

ফরিদপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে আরও ৯ জন মারা গেছেন। ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। একই সময়ে ৩৫৪ নমুনা পরীক্ষার নতুন করে আরও ১৬৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছে ২৯৭ জন।

কুড়িগ্রাম:

কুড়িগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃতরা জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

ঠাকুরগাঁও:

ঠাকুরগাঁওয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২২৫টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১০৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে জেলায় শনাক্তের হার ৪৮ শতাংশ। এ অবস্থায় রোগীর ভিড়ে জায়গা সংকটে পরে মেঝেতেই চিকিৎসা নিচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে ও ক্লিনিকে মারা গেছে চারজন।

সাতক্ষীরা:

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় ৩৮৫ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেল। আর করোনা পজেটিভ রোগী মারা গেছে ৭৬ জন। এদিকে ১৬০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪১ জনের পজেটিভ হয়েছে। যার আক্রান্তের হার দাড়ালো ২৫ দশমিক ৬ শতাংশ।

চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৪ জন মারা গেছেন।

কুষ্টিয়া:

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৮০১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৩৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ২৩৪ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরের ৯৬ জন, দৌলতপুরের ৪৭ জন, কুমারখালীর ৩৯ জন, ভেড়ামারার ১৭ জন, মিরপুরের ১৬ জন ও খোকসার ১৯ জন রয়েছেন।

নড়াইল:

নড়াইলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা:

চুয়াডাঙ্গায় একদিনে করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত হয়েছেন ১৩০ জন। তাদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৫০, আলমডাঙ্গায় ৩২, দামুড়হুদায় ২০ এবং জীবননগরে ২৮ জন রয়েছেন। বর্তমানে জেলায় আক্রান্ত রোগী এক হাজার ৫৯১ জন।

ফরিদপুর:

ফরিদপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে আরও ৯ জন মারা গেছেন। ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। একই সময়ে ৩৫৪ নমুনা পরীক্ষার নতুন করে আরও ১৬৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছে ২৯৭ জন।

বগুড়া:

বগুড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় এবং উপসর্গ নিয়ে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

নওগাঁ:

নওগাঁয় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

নাটোর:

নাটোরে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ৩ জন মারা গেছেন। তারা সবাই নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ৩৪০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ৩৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

ঝিনাইদহ:

সীমান্তবর্তী জেলা ঝিনাইদহে একদিনে করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১৫৬ জন। আক্রান্তের হার ৩৪ দশমিক ১৩ ভাগ। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫ হাজার ১শ ৭৬ জন। এদিকে সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বর্তমানে ১১৫ জন রোগি চিকিৎসাধীন রয়েছে।

বাগেরহাট:

গত ২৪ ঘণ্টায়বাগেরহাটে করোনা ভাইরাসে আরও ৩ জন মারা গেছেন। বাগেরহাট সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা গেছেন।  একই সময়ে ৪০২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের ২৯ দশমিক ৪২ শতাংশ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সাদেক হোসেন (৬০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারাযান। ওই ব্যক্তির বাড়ী জেলা শহরের কলেজ পাড়া এলাকায়। এ নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

সিলেট:

গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে করোনা ভাইরাসে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে আরও ২১৩ জন। মৃতরা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

ময়মনসিংহ:

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন করোনায় এবং চারজন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৭২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৯৭ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ২৭.৩২ শতাংশ।

নারায়ণগঞ্জ:

নারায়ণগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত আরো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৭ জনে। এছাড়া ৪৯৭ জনের নমুনা সংগ্রহের মধ্যে ১৫৬ জন আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তের হার বর্তমানে ৩১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। নগরীর খানপুরে ৩০০ শয্যাবশিষ্ট করোনা হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টার ও আইসিউতে রোগি ভর্তির সংখ্যাও  প্রতিদিন বাড়ছে। 


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর