Logo
শিরোনাম

২৮ অক্টোবর: ইতিহাসে আজকের এই দিনে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ১২৮৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আজকের দিনটি কাল হয়ে যায় অতীত। এই প্রতিটি দিনই এক একটি ইতিহাস। ২৮ অক্টোবর, ২০২১ ইংরেজি। রোজ শুক্রবার। ১২ কার্তিক, ১৪২৯, বঙ্গাব্দ। ০১ রবিউল সানি, ১৪৪৪ হিজরী। ২৮ অক্টোবর গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ৩০১ তম ( অধিবর্ষে ৩০২ তম ) দিন। বছর শেষ হতে আরো ৬৪ দিন বাকি রয়েছে। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের আজকের এই দিনে কি কি ঘটেছিল। কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন।

চলুন তাহলে জেনে নেই ইতিহাসে আজকের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম ও মৃত্যু এবং দিবস সমূহ।

ইতিহাসে আজকের ঘটনাবলী:

 ১৪৯২ ক্রিস্টোফোর কলম্বাস কিউবা উপকুল আবিস্কার করেছিলেন।

 ১৬৩৮ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

 ১৭২৬ জনাথন সুইফটের কালজয়ী গ্রন্থ গালিভারস ট্রাভেলস’ প্রকাশিত হয়।

 ১৭৪৬- পেরুর লিমা-কালাওতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি।

 ১৮৩১ মাইকেল ফ্যারাডে প্রথম ডাইনামো প্রস্তুত করেন।

 ১৮৮৬ নিউইয়র্ক পোতাশ্রয়ে ভাস্কর ফ্রেডেরিক অগাস্ট বার্থাল্ড কর্তৃক নির্মিত স্টাচু অব লিবার্টি স্থাপন করা হয়।

 ১৯০৪- সেন্ট লুইস পুলিশ তদন্তে নতুন পদ্ধতি ফিঙ্গার প্রিন্টের প্রচলন করে।

 ১৯১৮ চেকোস্লোভাকিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

 ১৯২০ অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস প্রথম অধিবেশন শুরু করে।

 ১৯২৯ ফ্লোরিডায় একটি বিমানে প্রথমবারের মতো শিশু জন্মের ঘটনা ঘটে।

 ১৯৪০- ফ্লোরেন্সে অ্যাডলফ হিটলার ও বেনিতো মুসোলিনির সাক্ষাৎ।

 ১৯৪০ ইতালি গ্রিস আক্রমণ করে।

 ১৯৪৪ মিত্র বাহিনী ও বুলগেরিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরোধী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

 ১৯৫২ গণতান্ত্রিক জাপান প্রতিষ্ঠিত হয়।

 ১৯৬২ কিউবা ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের সমাপ্তি ঘটে।

 ১৯৬২ গভর্নর আবদুল মোনেম খান শপথ গ্রহণ করেন।

 ১৯৮৯ ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় ১১৮ জন নিহত হয়।

 ১৯৯১ পোল্যান্ডের নির্বাচনে ক্ষমতাচ্যুত কমিউনিস্ট পার্টি আবার বিজয়ী হয়।

 ২০০৬ বাংলাদেশে বিচারপতি কে.এম. হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ গ্রহণকে বাধা দিতে সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মিরা বৈঠা লগি নিয়ে নেমে পড়ে। এতে সারাদেশে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়তের সাথে সংঘর্ষে ১৮ জন নিহত হন।

ইতিহাসে আজকে যাদের জন্ম:

 ১৫৮৫ জন্মগ্রহণ করেছিলেন কর্নেলিয়াস জান্সেন, তিনি ছিলেন ডাচ বিশপ ও ধর্মতত্ত্ববিদ।

 ১৬৯৬ জন্মগ্রহণ করেছিলেন মরিস ডি সাক্সে, তিনি ছিলেন ফ্রান্সের মার্শাল জেনারেল।

 ১৮০৪ জন্মগ্রহণ করেছিলেন পিয়ের ফ্রাসোয়া ভেরহুলস্ট, তিনি ছিলেন বেলজিয়ান গণিতবিদ ও তাত্তিক।

 ১৮৬৭ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভগিনী নিবেদিতা, তিনি ছিলেন আইরিশ বংশোদ্ভূত ভারতীয় নার্সের, শিক্ষাব্রতী ও লেখিকা।

 ১৯০২ জন্মগ্রহণ করেছিলেন এলসা ল্যানচেস্টার, তিনি ছিলেন ইংরেজ অভিনেত্রী।

 ১৯১২ জন্মগ্রহণ করেছিলেন রিচার্ড ডল, তিনি ছিলেন ব্রিটিশ শারীরবিজ্ঞানী।

 ১৯১৩ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ডগলাস সেয়ালে, তিনি ছিলেন ইংরেজ বংশোদ্ভূত আমেরিকান অভিনেতা ও গায়ক।

 ১৯১৩ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ডগলাস সেয়ালে, তিনি ছিলেন ইংরেজ বংশোদ্ভূত আমেরিকান অভিনেতা ও গায়ক।

 ১৯১৪ জন্মগ্রহণ করেছিলেন রিচার্ড লরেন্স মিলিংটন সিঞ্জ, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্রিটিশ প্রাণরসায়নবিদ।

 ১৯১৪ জন্মগ্রহণ করেছিলেন জোনাস সাল্ক, তিনি ছিলেন পোলিও প্রতিরোধক ওষুধের মার্কিন উদ্ভাবক।

 ১৯৩৮ জন্মগ্রহণ করেছিলেন অ্যানা পেরি, তিনি ইংরেজ লেখক।

 ১৯৫৫ জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিল গেটস, তিনি মার্কিন কম্পিউটার প্রোগ্রামার, মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সাবেক প্রধান, সফটওয়্যার নির্মাতা ও সাবেক সি ই ও।

 ১৯৫৬ জন্মগ্রহণ করেছিলেন মাহমুদ আহমাদিনেজাদ, তিনি ইরানের সাবেক রাষ্ট্রপতি।

 ১৯৬৩ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ইরোস রামাযোটি্‌, তিনি ইতালীয় গায়ক, গীতিকার ও গিটার।

 ১৯৬৭ জন্মগ্রহণ করেছিলেন জুলিয়া রবার্টস, তিনি একজন অভিনেত্রী।

 ১৯৮০ জন্মগ্রহণ করেছিলেন অ্যালান স্মিথ, তিনি একজন ইংরেজ পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়।

 ১৯৮৪ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ওবাফেমি মারটিন্স, তিনি নাইজেরিয়ান ফুটবলার।.

ইতিহাসে আজকে যাদের মৃত্যু:

 ০৩১২ মৃত্যুবরণ করেন মাক্সেন্টিউস, তিনি ছিলেন রোমান সম্রাট।

 ১৬২৭ মৃত্যুবরণ করেন জাহাঙ্গীর, তিনি ছিলেন মোগল সম্রাট।

 ১৭০৪ মৃত্যুবরণ করেন জন লক, তিনি ছিলেন প্রভাবশালী ইংরেজ দার্শনিক ছিলেন।

 ১৮৯৪ মৃত্যুবরণ করেন রেভারেন্ড লালবিহারী, তিনি ছিলেন বাংলায় প্রথম লোক কাহিনী সংগ্রাহক।

 ১৯০০ মৃত্যুবরণ করেন ম্যাক্স মুলার, তিনি ছিলেন বিখ্যাত ভারত বিদ্যাবিশারদ, সংস্কৃত ভাষার সুপ্রসিদ্ধ পণ্ডিত ও অনুবাদক।

 ১৯৫২ মৃত্যুবরণ করেন বিলি হিউজেস, তিনি ছিলেন ইংরেজ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান রাজনীতিবিদ ও ৭ তম প্রধানমন্ত্রী।

 ১৯৭১ মৃত্যুবরণ করেন বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান, তিনি ছিলেন বাংলাদেশী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা।

 ১৯৭৩ মৃত্যুবরণ করেন তাহা হুসাইন, তিনি ছিলেন মিশরীয় ইতিহাসবিদ, লেখক ও অধ্যাপক।

 ১৯৯৮ মৃত্যুবরণ করেন টেড হিউজেস, তিনি ছিলেন ইংরেজ লেখক, কবি, নাট্যকার।

 ২০০৫ মৃত্যুবরণ করেন রিচার্ড এরেট স্মোলি, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান রসায়নবিদ।

 ১৯৭১ মৃত্যুবরণ করেন বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান, তিনি ছিলেন বাংলাদেশী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা।

 ২০০২ মৃত্যুবরণ করেন অন্নদাশঙ্কর রায়, তিনি ছিলেন একজন স্বনামধন্য বাঙালি কবি ও লেখক।


আরও খবর

২০ ফেব্রুয়ারি: ইতিহাসের এই দিনে

সোমবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০23

১৯ ফেব্রুয়ারি : ইতিহাসের এই দিনে

রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর