চুয়াডাঙ্গায়
কৃষক সুনীল কুমার দাসকে হত্যার মামলায় ২৯ বছর পর দুই ভাইসহ তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক
মাসুদ আলী এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত
আসামিরা হলেন আলমডাঙ্গার রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের কালু ফকিরের ছেলে সুলতান হোসেন (৫৫),
লালু মণ্ডলের ছেলে লিয়াকত আলী ওরফে ন্যাকো (৫৮) ও তার ভাই শওকত আলী (৬০)।
মামলার এজাহার
সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার রায় লক্ষ্মীপুর গ্রামে জমিজমা নিয়ে
বিরোধে ১৯৯৩ সালের ৯ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে ওই তিন আসামিসহ অন্তত ১৫-১৬ জন কৃষক সুনীলের
বাড়িতে যান। পরে সুনীলের দুই হাত বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন তাঁরা।
ঘটনাস্থলেই মারা যান সুনীল। এ ঘটনার পরদিন মৃতের অপর ভাই অনিল কুমার ওই তিনজনসহ অজ্ঞাত
কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় মোট
১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত
হওয়ায় আদালতের বিচারক মাসুদ আলী আসামি সুলতান হোসেন, লিয়াকত আলী ও শওকত আলীকে যাবজ্জীবন
কারাদণ্ড প্রদান করেন। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত সবাইকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও করা
হয়েছে। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত
দায়রা জজ-২ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর গিয়াসউদ্দিন বলেন, এ হত্যা মামলায় মোট আসামি
ছিলেন ২৫ জন। তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁদের খালাস দেওয়া হয়েছে।