অফিস থেকে বন্ধুর
বিয়ের নিমন্ত্রণে যেতে হবে, অথচ সারা দিনের কাজকর্মের শেষে শরীর থেকে এমন দুর্গন্ধ
বেরোচ্ছে যে বিয়েবাড়ি যাওয়া নিয়েই তৈরি হচ্ছে সঙ্কোচ? এমন বিড়ম্বনায় কোনও মতে সুগন্ধি
ঢেলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করতে হয়েছে অনেককেই। আসলে ঘামের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন
ধরনের বর্জ্য পদার্থ ও লবণ দেহের বাইরে নির্গত হয়। তা ছাড়া বাহুমূলের মতো স্থানে ময়লা
ও জীবাণু জমেও তৈরি হতে পারে দুর্গন্ধ। রইল এমন কিছু খাবারের সন্ধান যা কমিয়ে দিতে
পারে এই সমস্যা।
১। জল: ঘামের
দুর্গন্ধ কমাতে পর্যাপ্ত জলপানের কোনও বিকল্প নেই। পর্যাপ্ত জলপান করলে বর্জ্য পদার্থের
ঘনত্ব কমে যায়। ফলে কমে দুর্গন্ধ। তাই বেশি ঘাম হলে তাল মিলিয়ে বাড়াতে হবে জলের পরিমাণও।
জলের পাশাপাশি ফলের রস, শরবত, গ্লুকোজও পান করা যেতে পারে। তবে এড়িয়ে চলুন ঠান্ডা পানীয়
ও অতিরিক্ত চা-কফি।
২। মাংস কম, শাক-সব্জি
বেশি: তেল-মশলার পরিমাণ কমিয়ে বেশি খেতে হবে মরসুমি ফল ও শাকসব্জি। দুর্গন্ধের সমস্যায়
কাজে আসতে পারে তাজা টম্যাটোর রসও। টম্যাটোতে ‘অ্যাস্ট্রিনজেন্ট’ নামক উপাদান থাকে যা ঘর্মগ্রন্থিকে সঙ্কুচিত
করে। মাংস যদি খেতেই হয়, অল্প মশলায় সেদ্ধ করে খান।
৩। আপেল সিডার
ভিনিগার: ঘামের দুর্গন্ধ কমাতে অনেকে সরাসরি ত্বকে এই ভিনিগার ব্যবহার করেন। শুধু ত্বকে
লাগানোই নয়, আপেল সিডার ভিনিগার নিয়মিত খেলেও মিলতে পারে উপকার। এতে ত্বকের পিএইচ স্তর
বা অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য যথাযথ থাকে, যা কমিয়ে দেয় দুর্গন্ধ তৈরির আশঙ্কা।