দেশের তিন জায়গায়
গ্রামীণফোনের অপটিক্যাল ফাইবার বা মাটির নিচের সংযোগকারী তার বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায়
দেশের অন্যতম মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক হঠাৎ করে উধাও হয়ে যায়।
পরে দুঃখ প্রকাশ করে গ্রামীণফোন জানায়, ‘দ্রুত সমস্যা
সমাধানে আমাদের টিম সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে কাজ করে যাচ্ছে।’
সেবা বিচ্ছিন্ন
হওয়ার প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর দুপুর ২টার দিক থেকে নেটওয়ার্ক ফিরতে শুরু করেছে মোবাইল
ফোন অপারেটরটির। ২টার পর থেকে গ্রাহকরা কল করতে পারছেন, ইন্টারনেটও ব্যবহার করতে পারছেন
বলে জানায় গ্রামীণফোন।
এ বিষয়ে গ্রামীণফোনের
এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে নেওয়ার্ক পুরোপুরি
সচল হয়ে যাবে।’
সেবা বিঘ্নিত
হওয়ার পর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘তবে ঠিক কী সমস্যা
হয়েছে জানি না। এ বিষয়ে তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।’
এদিকে, নেটওয়ার্ক
ভোগান্তি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে অনেক ভুক্তভোগী। বলছেন গ্রামীণফোন নিয়ে তাদের ভোগান্তির
কথা। আবার কেউ ভিড় করেন গ্রামীণফোন সেন্টারে।
বিজনেস পোস্টের
ডেপুটি চিফ রিপোর্টার ফরহাদ হোসেন গ্রামীণফোনের একটি সেন্টারে তার ছবিসহ পোস্ট দিয়ে
লিখেছেন, ‘গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক হঠাৎ শাটডাউন। আমিসহ বহু গ্রাহক
সেন্টারে ভিড় করছে।’
ব্যবহারকারীরা
বলছেন, কারো ফোনে শুধু লেখা আসছে, ‘নট রেজিস্ট্রার
অন নেটওয়ার্ক’। কারো বা সিগন্যালের জায়গায় কিছুই লেখা আসছে না।
কল, মেসেজ বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাচ্ছে না।’
এর আগে, মোবাইল
ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ
নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)। গ্রাহকসেবার মান নিম্নমানের একারণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া
হয়। দীর্ঘ ছয়মাস পর তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।