পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোংলা
বন্দর সংলগ্ন সুন্দরবনে আঘাত হানবে আগামীকাল (২৬ মে)। কিন্তু এর আগেই সমুদ্র বন্দরে
কিছুটা প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। মোংলা বন্দরে আসা বিদেশি চারটি জাহাজ আজ মঙ্গলবার সকালে
পণ্য খালাস শেষে বন্দর ত্যাগ করার কথা ছিল। কিন্তু সমুদ্র উত্তাল থাকায় জাহাজ চারটি
বন্দর ত্যাগ করতে পারেনি।
মঙ্গলবার (২৫ মে) সকালে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের
হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গত ২৪ মে থাইল্যান্ড পতাকাবাহী
জাহাজ সেনা, সেনা-৮ ও সুমি-৫ এলপিজি (তরল গ্যাস) নিয়ে মোংলা বন্দরে আসে এবং ইন্দোনেশিয়া
পতাকাবহী মিরাটুস পরনটালো জাহাজ কন্টেইনার নিয়ে আসে গত ২৩ মে। এসব জাহাজের পণ্য খালাস
শেষে আজ বন্দর ত্যাগ করার কথা থাকলেও সমুদ্র উত্তাল থাকায় বন্দরের হিরণ পয়েন্ট ও সুন্দরী
কোঠায় নিরাপদে শিফটিং করা হয়েছে।
তবে বন্দরে থাকা অন্যান্য পণ্যবাহী জাহাজে
পণ্য ওঠা-নামার কাজ চলছে, চার নম্বর সংকেত জারি না হওয়া পর্যন্ত পণ্য ওঠা-নামার কাজ
বন্ধ করা হবে না বলেও হারবার মাষ্টার জানান।
এদিকে মঙ্গলবার (২৫ মে) ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের
প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বঙ্গোপসাগরে দুবলার চরে চার থেকে পাঁচ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে
বলে জানান দুবলা টহল ফাঁড়ির ওসি প্রহ্লাদ চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, দুবলায় প্রচণ্ড ঝড়
বৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে দুর্যোগ মোকাবেলায় আজ সকালে উপজেলায়
জরুরি সভা করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন
নাহার। তিনি দুর্যোগে সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার অনুরোধ করে বলেন, সুন্দরবন আমাদের
রক্ষা করে আসছে, এবারও তাই হবে।
এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার,
পৌর মেয়র শেখ আব্দুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার, সহকারী
কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার রাজবংশি, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জীবিতেষ
বিশ্বাস, প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ নাহিদুজ্জামান, মোংলা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী
ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা লিটন হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন