শঙ্কার মেঘ ঘনীভূত হচ্ছে নেইমারের বিশ্বকাপে
অংশগ্রহণের বিষয়টি নিয়ে। কর জালিয়াতি ও দুর্নীতির মামলার কার্যক্রম শুরু হবে ১৭ অক্টোবর
থেকে। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে জরিমানার পাশাপাশি ব্রাজিলিয়ান এই তারকাকে ভোগ করতে হবে
৫ বছরের কারাদণ্ড।
একদিকে শুরু হয়েছে কাতার বিশ্বকাপ মাঠে
গড়ানোর দিনক্ষণ। শেষ মূহূর্তের প্রস্তুতি ব্যস্ত সময় পার করছে আয়োজক দেশ কাতার। অন্যদিকে
বিশ্বকাপে অংশ নেয়ার বিষয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার জুনিয়রের।
২০১৩ সালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোস ছেড়ে বার্সেলোনায় যোগ দেন নেইমার। অভিযোগ রয়েছে,
সেই সময়ে বিশাল অংকের কর ফাঁকি দেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা ঠুকে দেয় ব্রাজিলের
বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ডিআইএস। মামলায় নেইমারের পাশাপাশি আসামি করা হয় তার বাবা-মা, বার্সেলোনার
সাবেক দুই সভাপতি স্যান্দ্রো রোসেল ও হোসে মারিয়া বার্তেমেউকে।
ডিআইএস’র আইনজীবী পাওলো
নাসের বলেন, ২ মিলিয়ন ইউরোতে বার্সেলোনায় যোগ দেয় নেইমার। অথচ সর্বোচ্চ দাম হাঁকানো
ক্লাবের কাছে বিক্রি করা হয়নি এই ফুটবলারকে। এ থেকেই কর জালিয়াতির বিষয়টি স্পষ্টভাবে
বোঝা যায়। ১৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ হিসেবে দাবি করেছি আমরা।
ডিআইএস দাবি করছে, নেইমারের ৪০ শতাংশ ইমেজ
স্বত্বের মালিকানা রয়েছে তাদের। ২০০৯ সালে ২০ লাখ ইউরোর বিনিময়ে স্বত্ব কিনে নেয় তারা।
তবে নেইমার তা অস্বীকার করায় বিপত্তি তৈরি হয়। তবে ডিআইএস’র অভিযোগ ভিত্তিহীন
বলে উড়িয়ে দিয়েছেন নেইমারের আইনজীবী। তিনি জানান, প্রত্যেক ফুটবলারের নিজস্ব স্বাধীনতার
কথা।
১৭ অক্টোবর মামলার শুনানি শুরু হবে বার্সেলোনায়।
আদালতের প্রথম দিনের কার্যদিবসে উপস্থিত থাকতে হবে এই ফুটবলারকে। তাই বিশ্বকাপে খেলা
নিয়ে শঙ্কা রয়েছে এই ব্রাজিলিয়ান তারকার।