Logo
শিরোনাম

৫ জানুয়ারি: ইতিহাসের এই দিনে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | ১৪১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আজ বৃহস্পতিবার ৫ জানুয়ারি ২০২৩। ২১ পৌষ, ১৪২৯, বঙ্গাব্দ। ১১ জমাদিউস সানি , ১৪৪৪ হিজরি।

ইতিহাসের প্রতিটি দিনেই ঘটে কিছু না কিছু যুগান্তকারী ঘটনা। তাই প্রতিটি দিনই এক একটি ইতিহাস। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনাবলি:

৬০৩ - ইরান ও রোম সম্রাজ্যের মধ্যে ২৪ বছরব্যাপী যুদ্ধ শুরু হয়।

১৫০০ - ডিউক লুদভিক সোফারজ ইতালির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং লাম্বারদিয়া অঞ্চলের রাজধানী ও প্রধান শহর মিলান জয় করেন।

১৫৫৪ - নেদারল্যান্ডের আইন্দহোভেনে ভয়াবহ অগ্নিকার্ড সংগঠিত হয়।

১৬৬৫ - প্যারিসে পৃথিবীর প্রথম সাময়িক প্রকাশিত হয়।

১৬৯১ - ইউরোপে সর্বপ্রথম কাগুজে মুদ্রা ছাপানো হয়।

১৭৫৯ - আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন মার্থা কসটিসকে বিবাহ করেন।

১৭৮১ - আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ: ভার্জনীয়ার রিচমন্ড বন্দর ব্রিটিশ ক্যাপ্টেন বেনডিক্ট আরন্ল্ডের নেতৃত্বে ব্রিটিশ নৌ-বাহিনী জ্বালিয়ে দেয়।

১৭৮২ - আমেরিকার গৃহযুদ্ধ: ফ্রান্সের সেনাবাহিনী কর্তৃক ব্রিটিশ সেনানিবাস ব্রিমস্টনের সেন্ট কিটস অবরোধ।

১৮০৯ - ওসমানীয় ও বৃটিশ সরকারের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১৮৫৪ - সান ফ্রান্সিসকোতে স্টিমারে বিস্ফোরন। এতে প্রায় ৩০০ মানুষ নিহত হয়।

১৮৬৭ - জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ীতে জোড়াসাঁকো থিয়েটার এর উদ্বোধন করা হয়।

১৮৯৬ - অস্ট্রিয়ান সংবাদপত্র সংবাদ প্রকাশ করে উইলিয়াম রনজেনের আবিস্কৃত নতুন ধরনের রশ্মী নিয়ে যা পরে এক্স-রে হিসাবে পরিচিত হয়।

১৯০০ - আইরিশ নেতা জন রেডমন্ড ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে।

১৯০৯ - কলম্বিয়া পানামাকে স্বাধীন ঘোষনা করে।

১৯১৫ - প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে তুর্কি বাহিনী ককেশাসে পরাজয় বরণ করে।

১৯১৮ - জার্মান ওয়ার্কার পিস গঠিত হয় যা পরে নাৎসি পার্টি হিসাবে পরিচিত হয়।

১৯১৯ - জার্মানিতে ন্যাশনাল সোশালিস্ট পার্টি গঠিত হয়।

১৯২২ - কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত বিদ্রোহী কবিতা প্রকাশিত হয়।

১৯২৯ - দক্ষিণ স্লাভিয়াতে রাজা আলেকজান্ডারের অভ্যুত্থান।

১৯৩৩ - গোল্ডেন গেট ব্রিজের কাজ শুরু হয়।

১৯৩৪ - কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ভারত-ইংল্যান্ড প্রথম টেস্ট ক্রিকেট শুরু হয়।

১৯৩৪ - কলকাতায় ভয়াবহ হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা বাঁধে।

১৯৪২ - ৫৫টি জার্মান ট্যাংক উত্তর আফ্রিকায় পৌঁছায়।

১৯৫০ - ইলা মিত্রের নেতৃত্বে নাচোলে কৃষক বিদ্রোহের সূচনা হয়।

১৯৬৯ - পাকিস্তানে আইয়ুব-বিরোধী আন্দোলনের উদ্দেশ্যে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়।

১৯৭১ - প্রথম ওয়ানডে ক্রিকেট ম্যাচ মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত। এতে অংশ গ্রহন করে অস্ট্রোলিয়া ও ইংল্যান্ড।

১৯৯৬ - জাপানের প্রধানমন্ত্রী তোমিচ মুরায়ামার পদত্যাগ করেন।

১৯৯৬ - ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের যোদ্ধা হামাস কর্মী ইয়াহিয়া আয়াস ইজরাঈলী বোমা হামলায় নিহত হন।

২০০০ শ্রীলংকায় গৃহযুদ্ধ বাঁধে। কলম্বোয় তামিল টাইগার নেতা কুমার পুনামবালাম পুলিশের গুলিতে নিহত হন।

২০১৪ - বিএনপি ও তার জোটের দল ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

জন্ম:

১২২৯ - রোমান সম্রাট রিচার্ডের জন্মগ্রহণ করেন।

১৫৯২ - মুঘল সম্রাট শাহজাহান জন্মগ্রহণ করেন।

১৮৪৬ - নোবেলজয়ী জার্মান সাহিত্যিক রুডলফ অইকেন জন্মগ্রহণ করেন।

১৮৫৫ - সেফটি ব্লেডের আবিষ্কারক কিং জিলেট জন্মগ্রহণ করেন।

১৮৮৫ - ইতালিয়ান বংশোদ্ভুত ইংরেজ কবি হামবার্ট উলফ জন্মগ্রহণ করেন।

১৯২৮ - পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো জন্মগ্রহন করেন।

১৯৩৮ - ছড়াকার সুকুমার বড়ূয়া জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৪০ - লেখক অনুবাদক ফরুজ্জামান চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৬৯ - আমেরিকান গায়ক মার্লীন ম্যানসন জন্মগ্রহণ করেন।

মৃত্যু:

৮৪২ - বাগদাদের খলিফা আল মুতাসিম ইন্তেকাল করেন।

১০৬৬ - ইংল্যান্ডের রাজা এডওয়ার্ডের মৃত্যু হয়।

১৩২৬ - আলাউদ্দিন খিলজি মৃত্যুবরণ করেন।

১৮৯০ - প্রথম ভারতীয় ব্যারিস্টার জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুর মৃত্যুবরণ করেন

১৯৮১ - রসায়নে নোবেলজয়ী মার্কিন বিজ্ঞানী হ্যারল্ড কেইটন উর মৃত্যুবরণ করেন।

১৯৩৩ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩০তম রাষ্ট্রপতি ক্যালভিন কুলিজ মৃত্যুবরণ করেন।

১৯৯৪ - কথাসাহিত্যক ও সঙ্গীত শিল্পী সুচরিত চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেন।

১৯৯৫ - প্রথম বাঙালী মুসলমান অভিনেত্রী বনানী চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেন।

দিবস:

গণতন্ত্র বিজয় দিবস (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ),

গণতন্ত্র হত্যা দিবস (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল),

জাতীয় পাখি দিবস (যুক্তরাষ্ট্র),

সন্তানকে কাজে নিয়ে যাওয়ার দিবস (অস্ট্রেলিয়া),

তুসিন্দা (সাইবেরিয়া, মন্টিনেগ্রো)

নিউজ ট্যাগ: ইতিহাসে এই দিনে

আরও খবর

২০ ফেব্রুয়ারি: ইতিহাসের এই দিনে

সোমবার ২০ ফেব্রুয়ারী ২০23

১৯ ফেব্রুয়ারি : ইতিহাসের এই দিনে

রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর