চট্টগ্রাম প্রকৌশল
ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে ৫ জুলাই পর্যন্ত
স্নাতক পর্যায়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের
সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠিত
সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে- ২১ জুন পর্যন্ত চুয়েটের স্নাতক পর্যায়ে একাডেমিক কার্যক্রম
ও হল বন্ধ থাকবে।
বিষয়টি নিশ্চিত
করেছেন চুয়েটের ডেপুটি ডিরেক্টর ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, ২২ তারিখ থেকে সব কিছু চলবে আবার।
স্নাতকের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকলেও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম
চলবে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের
এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গত কয়েক দিন ধরে
বিরাজমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য ড. রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে
চুয়েটের সব ডিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, প্রভোস্ট ও ছাত্রকল্যাণ
পরিচালকের সমন্বয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্তক্রমে আজ মঙ্গলবার থেকে ৫ জুলাই
পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম (পরীক্ষাসহ) এবং
আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হলো। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ৬ জুলাই থেকে ১৪ জুলাই
পর্যন্ত ঈদুল আযহা উপলক্ষে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
আজ বিকেল ৫টার
মধ্যে ছাত্রদের এবং বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের চলমান সব একাডেমিক কার্যক্রম যথারীতি অব্যাহত থাকবে বলে
জানিয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান
চৌধুরী।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত শনিবার চট্টগ্রাম শহরে একটি বাস ৩০ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এরই জের ধরে গত দুইদিন ধরে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবদমান ওই দুই পক্ষের একটি চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির এবং আরেক পক্ষ শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসানের অনুসারী বলে পরিচিত।
আজ মঙ্গলবার সকাল
থেকে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে অবস্থান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে শহরে আসার সব বাস আটকে দেয়। সকাল ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী
ও কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহনের বাস চট্টগ্রাম শহরের দিকে রওনা দিলে তারা বাসগুলো আটকে
দিয়ে গ্যারেজে ফেরত পাঠায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা ও এক শিক্ষার্থী বলেন, স্বাধীনতা চত্বরের আশপাশে অবস্থানকারী
ওই তরুণদের হাতে রামদা ও লাঠি এবং মাথায় হেলমেট ছিল।