কোনো গাড়ি রিকুইজিশন
করে সাত দিনের বেশি রাখা যাবে না। আর এই গাড়ি শুধু জনস্বার্থে ব্যবহার করা যাবে, ব্যক্তিগত
কাজে বা অন্য উদ্দেশে নয়। এ ছাড়া ব্যক্তিগত, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের গাড়ি রিকুইজিশনের
ক্ষেত্রে মালিককে কারণ উল্লেখ করে আগে নোটিশ দিতে হবে। এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে
হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে এসব বলা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন
পুলিশ অধ্যাদেশের ১০৩(ক) ধারার অধীনে পুলিশের গাড়ি রিকুইজিশনের বিধান নিয়ে ২০১০ সালে
রিট করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। ওই সময় রুল জারি হলেও ২০১৯ সালের
৩১ জুলাই রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর
বেঞ্চের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।
রায় প্রকাশের
বিষয়টি আজ বুধবার (০৮ জুন) জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি বলেন, ডিএমপি
আইনে রিকুইজিশন করার ক্ষমতা ডিএমপি কমিশনারের। তবে সেখানে কয়েক দফা গাইডলাইন অনুসরণ
করতে বলেছেন আদালত।
রায়ে বলা হয়,
রিকুইজিশনে থাকার সময় গাড়ির তেল ও আনুষঙ্গিক খরচ কর্তৃপক্ষ বহন করবে। ডিএমপির মাধ্যমে
কমিটি গঠন করে রিকুইজিশন করা গাড়ির ক্ষতিপূরণ এবং দৈনিক ভাতা নির্ধারণ করতে হবে। ১৫
দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এ ছাড়া কোনো গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে যথাযথ ক্ষতিপূরণ
দিতে হবে।
রায়ে আরও বলা
হয়, রিকুইজিশনের বিষয়ে কোনো অভিযোগ এলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। আর রোগী বহনকারী
ও এয়ারপোর্টের বিদেশগামীযাত্রী বহনকারী গাড়ি রিকুইজিশন করা যাবে না। এ ছাড়া রিকুইজিশন
করা গাড়ির রেজিস্টার মেইনটেন করতে বলা হয়েছে রায়ে।
রায় পাওয়ার ৯০
দিনের মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশনা সার্কুলার আকারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পাঠাতে ডিএমপি
কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।