আশঙ্কা ছিলই।
শেষমেশ সত্যিই পিছিয়ে গেল এস এস রাজামৌলি পরিচালিত ‘আরআরআর’-এর মুক্তি। বছরের প্রথম দিনে ছবির অফিশিয়াল
পেজ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে সে কথা।
৭ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে
মুক্তির অপেক্ষায় ছিল ছবিটি। বছরের শুরুতে দক্ষিণী অভিনেতা রাম চরণ, জুনিয়র এনটিআর
এবং বলি তারকা আলিয়া ভট্টের এই ছবির জন্য দিন গুনছিল দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ। কিন্তু
করোনার দাপটে আরও দীর্ঘ হল সে অপেক্ষা।
ছবির অফিশিয়াল
পেজে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ‘অনেক চেষ্টা করেছি
আমরা। কিন্তু কিছু পরিস্থিতি তৈরি হয়, যা আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। ভারতের একাধিক
রাজ্যে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ করে দেওয়ায় আমাদের কাছে আর কোনও রাস্তা নেই। তাই বাধ্য হচ্ছি,
আপনাদের উত্তেজনায় বাধ সাধতে। ঠিক সময়ে ভারতীয় ছবির ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি
দিলাম।’ ছবির উপরে লেখা, ‘সবার কথা মাথায়
রেখে ছবি মুক্তির তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হল। প্রত্যেক অনুরাগীর নিঃশর্ত ভালবাসা পাওয়ায়
আমরা কৃতজ্ঞ।’
শাহিদ কপূরের
‘জার্সি’ ছবির মুক্তি পিছিয়ে যাওয়ার পর থেকেই আশঙ্কা
তৈরি হচ্ছিল ‘আরআরআর’ নিয়ে। অনেকেই
ভয় পাচ্ছিলেন, এই ছবিটিও পূর্বনির্ধারিত সময়ে মুক্তি পাবে না। দিন কয়েক আগে বলিউডের
বাণিজ্য বিশ্লেষক তরণ আদর্শ টুইটে লেখেন, ‘আরআরআর ২০২২-এ
৭ জানুয়ারিই মুক্তি পাবে। এসএস রাজামৌলি আমাকে পাকাপাকি ভাবে জানিয়েছেন। ছবি মুক্তির
দিন পিছনো হবে না।’ কিন্তু করোনার
ক্রমবর্ধমান রেখাচিত্রের দিকে তাকিয়ে সিদ্ধান্ত বদল করলেন প্রায় ৪০০ কোটি বাজেটের এই
ছবির নির্মাতারা।
তেলুগুতে ছবির
নাম ‘রৌদ্রম রণম রুধিরাম’। হিন্দি সংস্করণে সেটিই হয়েছে ‘রাইজ রোর রিভোল্ট’। গত বছরের ৩০ জুন ছবিটি মুক্তি পাওয়ার
কথা ছিল। তার পর থেকেই করোনার দাপটে সমানে পিছিয়ে যাচ্ছে মুক্তির তারিখ।