Logo
শিরোনাম

৯ হাজার কোটি টাকার গ্যাস বিল বকেয়া

প্রকাশিত:বুধবার ২০ এপ্রিল ২০22 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | ২০১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বারবার চিঠি দিয়ে, বৈঠক, অভিযান, ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করেও বকেয়া গ্যাস বিল আদায়ে সুবিধা করতে পারছে না সরকার। গত মার্চের মধ্যে সব বকেয়া গ্যাস বিল আদায় করতে বিতরণ কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছিল জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। গত ডিসেম্বরে দেওয়া সে নির্দেশের সময় ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির অধীনে বকেয়া বিলের পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ২৭৯ কোটি টাকা। মার্চ শেষে এখন সেই অনাদায়ি পাওনা এখনো ৯ হাজার ৫০ কোটি টাকার বেশি। তিন মাসে বকেয়া বিলের পরিমাণ আড়াই শ কোটি টাকাও কমাতে পারেনি গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এবং বিতরণ কোম্পানিগুলো সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বকেয়া গ্যাস বিল সহনশীল মাত্রায় না কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে চারটি বড় কারণ শনাক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এক. কয়েকটি শিল্প গ্রুপের সঙ্গে দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস বিতরণকারী কোম্পানি তিতাসের মামলা। মামলার কারণে প্রায় ১ হাজার ৩১৬ কোটি টাকা আদায় করতে পারছে না সরকারি প্রতিষ্ঠানটি। এই টাকার মধ্যে এভারেস্ট পাওয়ার এবং ইউনাইটেড পাওয়ারের কাছেই পাওনা রয়েছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকার বেশি। দুই. দেশের কয়েকটি বড় শিল্প গ্রুপ এবং কয়েক জন রাজনীতিকের ছত্রছায়ায় থাকা কিছু কারখানা প্রায় প্রতি মাসেই বিলের কিছু অর্থ পরিশোধ করলেও বকেয়ার পরিমাণ ২০ থেকে ১০০ কোটি টাকার মধ্যে স্থির রাখছে। এ বকেয়া তারা পরিশোধ করছেন না। এমনকি অর্থ আদায় করতে গেলে অনেক সময় তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলাও করছে স্থানীয়রা।

বর্তমানে শুধু তিতাস গ্যাসেরই বেসরকারি খাত থেকে প্রায় ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। তিন. সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও প্রতিষ্ঠানও বছরের পর বছর ধরে বিপুল পরিমাণ বিল বাকি রাখছে। গত জানুয়ারি শেষে শুধু তিতাসের সরকারি খাত থাকে পাওনা ছিল ৭৪৩ কোটি টাকা। চার. বেসরকারি খাতে বিপুল পরিমাণ বিল বকেয়া এবং অবৈধ সংযোগের পেছনে তিতাসের কয়েক জন শীর্ষ কর্মকর্তা এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিবন্ধিত ঠিকাদারদের একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। অপকৌশলে অর্থ আয়ের জন্য তারা নানা কৌশলে বিল ফাঁকি ও গ্যাস চুরি করছে। এমনকি বিল না দেওয়া বা গ্যাস চুরির কারণে বিচ্ছিন্ন হওয়া সংযোগেও ফের সংযোগ দিচ্ছে।

দেশের সিংহ ভাগ গ্যাস ব্যবহার করেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির গ্রাহকরা। সংখ্যার বিচারেও বাকি সবগুলোর চেয়ে এর গ্রাহকসংখ্যা বেশি। এ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ বলেন, বকেয়া বিল আদায়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। কিছু বাধা থাকলেও সেগুলো সরিয়ে বিল আদায় করা হচ্ছে। মামলার কারণে বড় পরিমাণ বিল আদায় করতে পারছি না। আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি দ্রুত সুরাহা হবে বলে আশা করছি।

সূত্র জানায়, তিতাস মাসে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা মূল্যের গ্যাস বিক্রি করে। গত জানুয়ারিতে ১ হাজার ৫২৫ কোটি টাকার গ্যাস বিক্রি করে ১ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা বিল আদায় করে। অর্থাৎ মাসিক বিক্রির পরিমাণের টাকাই আদায় করতে পারেনি। ফেব্রুয়ারিতে ১ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা আদায় করে যা বিক্রির পরিমাণের চেয়ে অল্প কিছু বেশি। তবে মার্চে বকেয়া আদায়ে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। এ মাসে ১ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা বিক্রির বিপরীতে ১ হাজার ৬১৩ কোটি টাকার বিল আদায় করেছে। অর্থাৎ ১২৩ কোটি টাকা বকেয়া কমেছে। তিন মাসে মোট বকেয়া কমার পরিমাণও এটি।

এ ব্যাপারে পেট্রোবাংলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও পরিচালক (অর্থ) এ কে এম বেনজামিন রিয়াজী বলেন, বকেয়া আদায়ের ওপর খুবই জোর দেওয়া হয়েছে। গত মাস পর্যন্ত বেশ ভালো পরিমাণ বকেয়া আদায় করা হয়েছে।

এদিকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে গ্যাস খাতের সংস্থা-কোম্পানিগুলোর অনাদায়ি পাওনা সংক্রান্ত একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সভায় জানানো হয়, ডিসেম্বর শেষে ছয়টি বিতরণ কোম্পানির অনাদায়ি পাওনা ছিল ৯ হাজার ২৭৯ কোটি টাকা। জানুয়ারি শেষে তা মাত্র ৪ কোটি কমে হয় ৯ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে ২০০ কোটি টাকার মতো বকেয়া আদায় হয়েছে। গত মার্চ শেষে এটি এখনো ৯ হাজার কোটি টাকার বেশি।

ঐ সভায় উপস্থাপিত তথ্যে দেখা যায়, জানুয়ারি শেষে তিতাস গ্যাসের বকেয়ার পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৬৩৯ কোটি টাকা। বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ৮১৫ কোটি টাকা, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ৮০৫ কোটি টাকা, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের ৭৩৯ কোটি টাকা, সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির ১৭৬ কোটি টাকা, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানির ৯৯ কোটি টাকা বকেয়া ছিল। ফেব্রুয়ারি ও মার্চে ছয় কোম্পানি মিলে ২০০ কোটি টাকার মতো বকেয়া আদায় করেছে।


আরও খবর

আতশবাজির আলোতে ঝলমলে রাজধানী

রবিবার ০১ জানুয়ারী ২০২৩

রসগোল্লার জন্মদিন আজ

মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর