Logo
শিরোনাম

আবারও বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারে আলজাজিরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ এপ্রিল ২০21 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | ১৯৮৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image
২০০৯ সালের পর থেকেই বাংলাদেশের নানা ঘটনা নিয়ে অপপ্রচার করে চলেছে আলজাজিরা। ওই বছর তিন ব্যক্তির গুম হওয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের একজন ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা ও সামরিক কর্মকর্তার যোগসাজশ নিয়ে বিতর্কিত

আবারও বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে নেমেছে কাতারভিত্তিক মিডিয়া নেটওয়ার্ক আলজাজিরা। ভাসানচরে প্রত্যাবাসন করা রোহিঙ্গাদের নিয়ে সম্প্রতি একটি নেতিবাচক প্রতিবেদন প্রচার করে চ্যানেলটি। তবে বাস্তব চিত্র হলো, কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যাওয়া রোহিঙ্গারা সেখানে আগের তুলনায় অনেক ভালো পরিবেশে রয়েছেন। ভাসানচরে প্রত্যাবাসিত রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে দেশি-বিদেশি অনেক গণমাধ্যমে সেখানকার সঠিক তথ্য তুলে ধরা হলেও আলজাজিরা তাদের প্রতিবেদনে অনেক তথ্য গোপন করেছে।

শুধু প্রত্যাবাসিত রোহিঙ্গারাই নয়, জাতিসংঘের টেকনিক্যাল টিম এবং ১০টি দেশের কূটনৈতিক দলও ভাসানচর পরিদর্শন করে তাদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে। ঠিক সেই মুহূর্তে আলজাজিরার ভাসানচর নিয়ে নেতিবাচক সংবাদ প্রচার নতুন ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করছেন অনেকে। এর আগেও বিভিন্ন সময় ভুয়া তথ্য দিয়ে উস্কানিমূলক সংবাদ প্রচার করে সমালোচনার মুখে পড়েছে চ্যানেলটি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্নেষক এয়ার কমডোর (অব.) ইশফাক এলাহী চৌধুরী বলেন, ভাসানচর নিয়ে আলজাজিরা যা প্রচার করেছে, এটা স্রেফ অপসাংবাদিকতা। এর আগেও নানা ইস্যুতে ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করে তারা বিতর্ক তৈরি করে। হলুদ সাংবাদিকতার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ চ্যানেলটি প্রত্যাখ্যান করেছে। পশ্চিমা মিডিয়ার বিকল্প প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দাঁড়াতে গিয়ে তারা অনেক ক্ষেত্রেই নৈতিক মানদণ্ড বজায় রাখছে না।

ইশফাক এলাহী বলেন, ভাসানচরে যেসব রোহিঙ্গাকে নেওয়া হয়েছে, তারা আগের তুলনায় সব দিক থেকে ভালো রয়েছেন। বাংলাদেশ যেভাবে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য আবাসস্থল তৈরি করেছে, তা এক অনন্য উদাহরণ। অনেক পরিচ্ছন্ন পরিবেশে তাদের রাখা হয়েছে। বিশ্বের বহু দেশে শরণার্থী শিবিরের করুণ দশা। আলজাজিরা ভাসানচর নিয়ে যে মিথ্যাচার করেছে, এটা শেষ পর্যন্ত কেউ বিশ্বাস করবে না। কারণ সবাই দেখেছেন, সেখানে রোহিঙ্গারা কেমন পরিবেশে জীবনযাপন করছে।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, শুরু থেকে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক শক্তি ও মানবতাবিরোধীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে আলজাজিরা। বিশ্ববাসী দেখেছে, কীভাবে বিভিন্ন সময় চ্যানেলটি আইএস ও আল কায়দার মুখপত্র হিসেবে কাজ করেছে। এটিকে গণমাধ্যম বলতে রাজি নই আমি। সরকারকে আরও সতর্ক হতে হবে। আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়েও তারা যে অপপ্রচার চালিয়েছে, তা জঘন্য।

অনেকে বলছেন, সম্প্রতি সরকার ও সেনাবাহিনীকে নিয়ে মিথ্যাচার করে আলজাজিরা। হেফাজতের পক্ষেও তাদের সমর্থন ব্যক্ত করে সংবাদ প্রচার করে আসছে। আলজাজিরা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষেও তাদের অবস্থান ব্যক্ত করে ধারাবাহিক প্রতিবেদন করেছে।

সম্প্রতি আলজাজিরায় প্রচারিত একটি প্রতিবেদনে অন্যতম প্রধান চরিত্র হিসেবে বাংলাদেশি নাগরিক সামিউল আহমেদ খান ওরফে সামিকে উপস্থাপন করা হয়। ওই প্রতিবেদন প্রচারের পর সামিউলের নাম আবার সামনে আসে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তার ব্যাপারে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, অনেক আগে থেকেই নানা ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছিলেন সামিউল। র‌্যাব কর্মকর্তা পরিচয়ে আর্থিক প্রতারণায় জড়িত থাকার ঘটনায় ২০০৬ সালে গ্রেপ্তারও হন তিনি। এ ছাড়া ২০২০ সালের মে মাসে র‌্যাবের একজন কর্মকর্তা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে রমনা থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলার ১১ আসামির মধ্যে ৬ নম্বর আসামি ছিলেন সামি। অপকর্মের জন্য তিনি সেনানিবাসে নিষিদ্ধও ছিলেন। তবে আলজাজিরা তাদের প্রতিবেদনে তার অতীত সব অপকর্ম চেপে যায়।

অভিযোগ আছে, ২০০৯ সালের পর থেকেই বাংলাদেশের নানা ঘটনা নিয়ে অপপ্রচার করে চলেছে আলজাজিরা। ওই বছর তিন ব্যক্তির গুম হওয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের একজন ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা ও সামরিক কর্মকর্তার যোগসাজশ নিয়ে বিতর্কিত প্রতিবেদন করে তারা। এতে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের পক্ষেও প্রচার চালায় চ্যানেলটি। মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মো. কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায়ের পর 'বাংলাদেশ পার্টি চিফ টু হ্যাং ফর ওয়ার ক্রাইমস' শিরোনামে এক প্রতিবেদনে ৩০ লাখ মানুষের শহীদ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে ব্যঙ্গ করে বলা হয়, ইতিহাসবিদদের হিসাবে মুক্তিযুদ্ধে তিন থেকে পাঁচ লাখ মানুষ মারা গেছে।

ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আলজাজিরা নিউজ চ্যানেলের প্রচারিত প্রতিবেদনটি মিথ্যা ও মানহানিকর। এটি বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভ্রান্তিকর, যা উগ্রবাদী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে কুখ্যাত ব্যক্তিদের যোগসাজশে রাজনৈতিক মদদপুষ্ট অপপ্রচার বলে স্পষ্ট। বাংলাদেশের প্রগতিশীল এবং ধর্মনিরপেক্ষ নীতির বিরোধিতা করছে চ্যানেলটি।'


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর