কুমিল্লায় আবাসিক
হোটেলে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৬ যুবতীসহ ৩৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার
অপর ১৩ জনের মধ্যে ৭ পুরুষ ও হোটেলের ৬ জন স্টাফ রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭
ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ এ অভিযান
চালায়। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বিকালে জেলা
ডিবি পুলিশের ওসি রাজেশ বড়ুয়া সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের
জেলার আদর্শ সদর উপজেলার ঝাগুরঝুলি এলাকার ‘রাজধানী আবাসিক
হোটেলে’ কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলার যুবতী মেয়েদের
এনে পতিতাবৃত্তি করা হয়’ এমন গোপন সূত্রে
মঙ্গলবার রাতে ওই হোটেলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় হোটেলটির বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি
করে ২৬ জন নারী, ৭ জন পুরুষ ও হোটেলের ৬ জন স্টাফকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় পালিয়ে যায় হোতা হোটেল মালিক জসিম উদ্দিন শান্ত। সে জেলার দেবীদ্বার উপজেলার নোয়াবগঞ্জ গ্রামের সায়েদ আলীর ছেলে। জেলা ডিবির ওসি রাজেশ বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানান, এই আবাসিক হোটেল কর্তৃপক্ষ হোটেল ব্যবসার আড়ালে বিভিন্ন এলাকার যুবতী নারীদের মাধ্যমে পতিতাবৃত্তি ও মাদক সেবনসহ পুরুষদের ফাঁদে ফেলে মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় হয়রানী করে আসছিলো বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কোতয়ালি
মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ হানিফ সরকার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারীরা জানিয়েছে
তাদের কেউ এক সপ্তাহ আগে, কেউ ২ বা ৩ দিন আগে এই হোটেলে এসেছে। এ হোটেলে গড়ে ১০ থেকে
১২ দিন থাকার পর তারা অন্য হোটেলে উঠতো। তারা পারিবারিক আর্থিক সমস্যার কারণে এ পেশায়
এসেছে বলেও জানিয়েছে। গ্রেফতার ২৬ নারী ও ৭ পুরুষের বিরুদ্ধে পতিতাবৃত্তি এবং হোটেলের
৬ কর্মচারী