Logo
শিরোনাম

শিনজোর মতোই প্রাণঘাতী হামলার মুখে যে সমস্ত রাষ্ট্রনায়ক

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১১৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাষ্ট্রনায়ক,মানেই বিপুল ক্ষমতার অধিকারী। একটা গোটা দেশের ক্ষমতার সূর্য তিনি। তবু সেই সূর্য কখনও-কখনও অসহায় হন। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কিছু করার থাকে না তাঁর।

আসলে পদমর্যাদার সঙ্গে যেমন ক্ষমতা হাতে আসে, তেমনই বিপুল দায়িত্বের কাঁটার মুকুটও চেপে বসে মাথায়। সেই মুকুট সামলাতে আঁচড় তো লাগবেই। কিন্তু কোনও কোনও আঁচড় দগদগে ঘা হয়ে প্রাণঘাতীও হয়ে ওঠে। ২০২২ সালের ৮ জুলাই জাপানের প্রাক্তন এবং দীর্ঘতম সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেরও সম্ভবত তা-ই হল।

শিনজোকে হত্যা করলেন টেটসুয়া ইয়ামাগামি। যিনি নিজের বয়ানে জানিয়েছেন, শিনজোর কাজে সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। তাই তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। হত্যা করেওছেন।

দেশের বর্তমান বা প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধানকে ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত ক্ষোভ থেকে হত্যার ঘটনা হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে। আধুনিক কালে যখন তাঁদের রক্ষা করতে রাষ্ট্র অত্যাধুনিক নিরাপত্তার নিশ্ছিদ্র বেড়া তৈরি করে দিয়েছে, তার পরও ঠেকানো যায়নি হামলাকারীদের।

শিনজোর মতোই প্রাণঘাতী হামলার শিকার হয়েছে বহু রাষ্ট্রনায়ক। রাষ্ট্রনেতা। দেশনেতা।

আব্রাহাম লিঙ্কন:

আব্রাহাম লিঙ্কন ছিলেন আমেরিকার ষোড়শ প্রেসিডেন্ট। তাঁকে ১৮৬৫ সালের ১৪ এপ্রিল, একটি থিয়েটারে মাথার পিছন থেকে গুলি করে খুন করেন জন ওয়াইকস বুথ। সন্ধে ৬টা নাগাদ লিঙ্কনের উপর হামলা হয়। পরের দিন সকাল ৭টায় মৃত্যু হয় তাঁর।

লিঙ্কনের মৃত্যুর কারণ হিসেবে তাঁর দাসপ্রথা বন্ধের আইনকেই দায়ী করেন বিশেষজ্ঞরা। ১৮৬৫ সালে হত্যা করা হয় লিঙ্কনকে। তার তিন বছর আগে ১৮৬২ সালে দাস প্রথা বন্ধের আইন প্রণয়ন করেন লিঙ্কন। তাঁর হন্তক বুথ ছিলেন দাস প্রথার অন্যতম সমর্থক।

মারি ফ্রাসোঁয়া সাদি:

১৮৯৪ সালে ফরাসি প্রেসিডেন্ট মারি ফ্রাসোঁয়া সাদি কার্নটকে ছুরি মেরে খুন করেন তাঁর হন্তক সাঁতে জেরোনিমো সিজেরিও। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে ফরাসি প্রেসিডেন্ট কার্নট তখনও সাত বছর পূর্ণ করেননি। অথচ এরই মধ্যে জনতার বিপদে-আপদে তাঁর যথা সময়ের উপস্থিতি তাঁকে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেয়। লোকের মুখে মুখে কার্নটের সততা, নীতিপরায়ণতার কথা। সেই সময়েই একটি জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে খুন হন কার্নট।

হত্যাকারী কার্নটের সামনে গিয়ে তাঁর পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। ১৮৯৪ সালের ২৪ জুন এই ঘটনার পরের দিনই মারা যান কার্নট। তদন্তকারীরা জানান, এক ফরাসি নৈরাজ্যবাদীর মৃত্যুদণ্ডের প্রতিশোধ নিতেই ওই হামলা করা হয় কার্নটের উপর। খুনি সিজেরিও নিজেও ছিলেন সেই নৈরাজ্যবাদীদেরই একজন।

লিওন ট্রটস্কি:

লেনিনের ভাবশিষ্য ছিলেন মার্কসবাদী বিপ্লবী লিওন ট্রটস্কি। তিনি ছিলেন রুশ বিপ্লবের প্রথম সারির নেতা। ১৯৪০ সালের ২১ অগস্ট তাঁকে হত্যা করা হয়। জাইমে রেমন মার্সেডার ডেল রিয়ো নামে এক স্প্যানিশন কমিউনিস্ট কর্মী তাঁকে হত্যা করেন বরফ কাটার কুড়ুল দিয়ে।

ট্রটস্কিকে অবশ্য তার আগেও বহু বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। সোভিয়েতের এক নায়ক জোসেফ স্টালিন নিজে তাঁকে হত্যার চেষ্টায় বিভিন্ন সংগঠনকে কাজেও লাগিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু বার বারই বেঁচে যাচ্ছিলেন ট্রটস্কি। ১৯৪০ সালের ২১ অগস্ট যখন তাঁকে হত্যা করা হয় তখন ট্রটস্কি মেক্সিকোতে। তাঁকে তাঁর পড়ার ঘরে ঢুকে মাথায় কুড়ুল দিয়ে আঘাত করে খুন করেন রেমন। তবে তার পরও এক দিন বেঁচে ছিলেন ট্রটস্কি।

লুথার কিং:

মার্টিন লুথার কিং ছিলেন আমেরিকান ব্যাপ্টিস্ট মন্ত্রী এবং আফ্রিকান-আমেরিকান মানবাধিকার কর্মী। আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গদের সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠার গণআন্দোলনের নেতা ছিলেন মার্টিন। ভারতের মহাত্মা গান্ধীর অহিংসা আন্দোলন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি শ্বেতাঙ্গদের বৈষম্যমূলক আচরণের বিরোধিতা করে আন্দোলন শুরু করেন। ১৯৬৮ সালে মার্টিনকে সামনে থেকে গুলি করে খুন করে জেমস আর্ল রে নামে এক শ্বেতাঙ্গ যুবক।

জেমস ছিল দাগী আসামি। বহু বার জেল খেটেছে, জেল থেকে পালিয়েওছে। ১৯৬৮ সালের ৪ এপ্রিল মার্টিনকে খুন করে জেমস। মার্টিন একটি মোটেলের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তখন। জেমস ছিলেন হোটেলের গা ঘেঁষা অন্য একটি বাড়ির লাগোয়া ঘরে।

মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী:

নাথুরাম গডসের হাতে খুন হন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। রাষ্ট্রনেতা না হলেও গান্ধী দেশনেতা। জাতির জনক। তাঁকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরোধা মনে করেন দেশের একটি বড় অংশ। গান্ধী দিল্লিতে তাঁর সান্ধ্যকালীন প্রার্থনাসভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি। তাঁকে সামনে থেকে বুকে পর পর তিনটি গুলি করেন হিন্দুত্ববাদী নাথুরাম।

গান্ধীর বেশ কিছু নীতির বিরোধী ছিলেন নাথুরাম। তাঁর বক্তব্য ছিল গান্ধী হিন্দুদের থেকে মুসলিমদের বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি মন্দিরে কোরান পড়ার কথা বলেছেন অথচ মসজিদে ভগবৎ গীতা পড়তে বলেননি। বহু বছর পর নাথুরাম বলেছিলেন তিনি গান্ধীকে সামনে থেকে গুলি করার আগে তাঁর সামনে মাথা ঝুঁকিয়ে প্রণাম জানিয়েছিলেন। নাথুরামের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গান্ধীর।

জন এফ কেনেডি:

আমেরিকার ৩৫ তম প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকে হত্যা করা হয় ১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর ডালাসে। হুড খোলা গাড়িতে সওয়ারি ছিলেন সস্ত্রীক প্রেসিডেন্ট। তাঁর হন্তক লি হার্ভে ওসওয়াল্ড রাস্তার ধারের একটি বাড়ির ছতলা থেকে প্রেসিডেন্টের মাথা লক্ষ্য করে তিনটি গুলি চালান।

প্রমাণ না হলেও কেনেডির হত্যাকাণ্ডে তাঁর দলেরই অন্তর্ঘাতের অভিযোগ উঠেছিল। ওসওয়াল্ডকে অবশ্য এই ঘটনার দুদিনের মধ্যেই গুলি করে হত্যা করেন টেক্সাসের এক নাইট ক্লাবের মালিক।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান:

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। ওই দিন ভোরে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সদস্যরা মুজিবকে তাঁর ধানমণ্ডি ৩২ এর বাসভবনে আক্রমণ করেন। মুজিবকে মোট ১৮টি গুলি করা হয়েছিল। হত্যা করা হয়েছিল তাঁর স্ত্রী, ভাই এবং দুই পুত্রবধূকেও।

বেনজির ভুট্টো:

পাকিস্তানের প্রথম এবং একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো। ১৯৮৮ এবং ১৯৯৩ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। মাঝে প্রায় নবছর আড়ালে থেকে আবার ২০০৭ সালে দেশে ফেরেন ভুট্টো। ঠিক করেন নির্বাচনে লড়বেন। প্রচারও শুরু করে দেন। কিন্তু ভোটের ঠিক দুসপ্তাহ আগে একটি জনসভায় হত্যা করা হয় ভুট্টোকে।

২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে একটি জনসভায় বক্তৃতা দিয়ে তার বুলেটপ্রুফ গাড়ির কাচ সরিয়ে হাত নাড়ছিলেন ভুট্টো। এক যুবক তাঁকে লক্ষ্য করে প্রথমে তিনটি গুলি করে। তারপর আত্মঘাতী বিস্ফোরণও ঘটায়। তদন্তে জানা যায়, ওই হামলার নেপথ্যে আদতে পাক তালিবান বাইতুল্লা মেহসুদের ষড়যন্ত্র ছিল।

২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে একটি জনসভায় বক্তৃতা দিয়ে তার বুলেটপ্রুফ গাড়ির কাচ সরিয়ে হাত নাড়ছিলেন ভুট্টো। এক যুবক তাঁকে লক্ষ্য করে প্রথমে তিনটি গুলি করে। তারপর আত্মঘাতী বিস্ফোরণও ঘটায়। তদন্তে জানা যায়, ওই হামলার নেপথ্যে আদতে পাক তালিবান বাইতুল্লা মেহসুদের ষড়যন্ত্র ছিল।

ইন্দিরা গান্ধী:

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যা করেন তাঁরই দুই দেহরক্ষী সতবন্ত সিংহ এবং বিয়ন্ত সিংহ। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর সকাল ৯টা ২০ মিনিটে তাঁর সফদরজং রোডের বাসভবনের বাগানে হাঁটছিলেন ইন্দিরা। বাড়ি থেকে এক ব্রিটিশ সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দিতে তাঁর আকবর রোডের অফিসে যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। ঠিক সেই সময়েই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালান তাঁর রক্ষীরা।

ইন্দিরার হত্যার মাস খানেক আগেই পঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরে অপারেশন ব্লু-স্টার চালিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। শিখদের ধর্মীয় নেতা জার্নেল সিংহ ভিন্দ্রনওয়ালে এবং তাঁর অনুগামীদের মন্দির থেকে বিতাড়িত করতে চালানো হয়েছিল ওই অভিযান, যা শিখদের মধ্যে ইন্দিরাকে নিয়ে অসন্তোষ তৈরি করে বলে অভিযোগ। যার জেরেই তাঁকে হত্যা করা হয় বলেও অনুমান।

রাজীব গান্ধী:

রাজীব গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত। তাঁকে হত্যা করা হয় ১৯৯১ সালের ২১ মে। রাজীব তখন ভোটের প্রচারে দক্ষিণ ভারতে। তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে একটি জনসভা ছিল। সভাস্থলে পৌঁছে বুলেটপ্রুফ গাড়ি থেকে নেমে ডায়াসের দিকে এগোচ্ছিলেন রাজীব। একের পর এক শুভার্থীরা মালা পরিয়ে দিচ্ছিলেন তাঁকে। তাঁর হত্যাকারী তেনমোজি রাজারত্নমও এগিয়ে আসেন তাঁর দিকে। শুভেচ্ছা জানিয়ে পা ছোঁওয়ার পরই কোমরে বাঁধা আরডিএক্স বেল্টে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটান। ঠিক ১০টা বেজে ১০ মিনিটে।

রাজীবের হত্যায় ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব দেয় তদন্তকারী দল। রাজীবকে হত্যার ঘটনার নেপথ্যে তামিল উগ্রপন্থী সংস্থা এলটিটিই-র ভূমিকা রয়েছে বলেও জানান গোয়েন্দারা। তাঁরা এ-ও বলেছিলেন যে, ওই এলটিটিই গোষ্ঠীর সদস্যদের সে সময় তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকার আশ্রয় দিয়েছিল।


আরও খবর

আতশবাজির আলোতে ঝলমলে রাজধানী

রবিবার ০১ জানুয়ারী ২০২৩

রসগোল্লার জন্মদিন আজ

মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর